পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসে শুক্রবার পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছে চার পুলিশ সদস্য। সারাদেশে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৬৭৭জন পুলিশ। গত ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৯জন পুলিশ সদস্য। প্রতিদিনই পুলিশে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ১হাজার ২শ’ ২৫জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৫৫জন। পুলিশ সদর দপ্তর সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, পুলিশ সদস্যরা ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। ইতিমধ্যে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে জীবন উৎসর্গ করেছেন চার সদস্য। পুলিশ সদর দপ্তর এই চার সদস্যের পরিবারের পাশে রয়েছে। তিন জানান, করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এমনকি প্রত্যেকের প্রয়োজনীয় সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ঢাকায় কর্মরত পুলিশ সদস্যরা। এ পর্যন্ত ৩২৮জন পুলিশ সদস্য ডিএমপিতে আক্রান্ত হয়েছে। যে চারজন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে মৃত্যুরবন করেছেন তারা সবাই ডিএমপি ও এসবিতে কর্মরত ছিলেন। এ নিয়ে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আতঙ্কও দেখা দিয়েছে। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, আতঙ্ক নয় বরং সবাইকে সচেতন করা হচ্ছে। প্রত্যেকের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী দেয়া হচ্ছে। পুলিশের পরিবহন, প্রোটেকশন, উন্নয়ন, গোয়েন্দা, স্পেশাল অ্যাকশন গ্রæপ, আটটি অপরাধ বিভাগসহ ২২টি বিভাগের সদস্যরা করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্তের তালিকায় একজন অতিরিক্ত উপ কমিশনার থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, কনস্টেবলসহ ১২ জন নারী সদস্যও রয়েছেন।
সচেতনতার বিষয়ে ডিএমপির থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, ইচ্ছে থাকলেও নিজেকে সবসময় সুরক্ষিত রাখা যায় না। উদহারণ দিতে গিয়ে তিনি জানান, কোথাও কোনো লাশ পড়ে থাকলে সেটা মর্গে নিয়ে যেতে এখন কেউ এগিয়ে আসবে না। পুলিশকেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে নিয়ে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও হাট-বাজার বসার সময় নিয়ন্ত্রন, ত্রাণ বিতরণে শৃঙ্খলা বজায় রাখা, মানুষের চলাফেরার ক্ষেত্রে সরকারি নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে গিয়ে কাছাকাছি যেতে হয় পুলিশ সদস্যদের। কোথাও কোনো অপরাধ মূলক কর্মকান্ড ঘটলে পুলিশকেই যেতে হয়। কিছু না ঘটলেও দিনে রাতে বাইরে ডিউটি করতে হয়। সবকিছু করতে গিয়ে করোনাভাইরাস থেকে নিজেকে সুরক্ষা দেয়া কঠিন হয়ে যায় বলে মনে করেন মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।