পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনারভাইরাসের কারণে দেশের সমুদ্রাঞ্চলের তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম থমকে গেছে। নতুন খনি আবিষ্কার না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে আসবে। উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদনের পর চলতি বছরের শেষ সাগরে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য দরপত্র আহবান করার কথা ছিল পেট্রোবাংলার। কিন্তু বিশ্ব বাজারের জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনে কোনও কোম্পানি এখন এ কাজে এগিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করছেন বিশেষজ্ঞরা।
বঙ্গোপসাগরে ২০১৭ সালের যে ব্লক মানচিত্র তৈরি করেছিল পেট্রোবাংলা সেখানে দেখা যায়, সব মিলিয়েব্লক রয়েছে ২৬টি। এর মধ্যে অগভীর সমুদ্রে রয়েছে ১১টি আর গভীর সমুদ্রে রয়েছে ১৫টি ব্লক। এর মধ্যে মাত্র চারটি ব্লকে আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনকারী কোম্পানি কাজ করছে। অন্য ২২টি ব্লক একেবারে পড়ে রয়েছে। এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান এ বি এম আবদুল ফাত্তাহ্ ইনকিলাবকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সীমিত আকারে অফিস করা হচ্ছে। এ বছরে আমরা প্রক্রিয়া শুরু করবো। কিছুটা হলেও কাজ থমকে আছে। কিন্তু আমরা অফিস করছি সামান্য কয়েকজন।
দেশের খনিগুলোতে গ্যাসের উৎপাদন কমতে শুরু করেছে। গত জুন পর্যন্ত এক বছরের হিসাব পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দেশীয় গ্যাসের উৎপাদন কমেছে মাসে ৩৫০ মিলিয়ন ঘনমিটারের (এমএসসিএম) ওপরে। হাইড্রোকার্বন ইউনিটের সমীক্ষা এবং পেট্রোবাংলার থেকে বলা হয়, নতুন খনি আবিষ্কার না হলে ২০৩০ সাল নাগাদ দৈনিক গ্যাসের উৎপাদন ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের নিচে নেমে আসবে। ইতোমধ্যে দেশের গ্যাসের ঘাটতি মোকাবিলায় এলএনজি নির্ভরতা বাড়তে শুরু করেছে সরকার। দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সাগাে তেল গ্যাস অনুসন্ধান জোরদার করার চেষ্টা করছিল। সেই প্রচেষ্টাকে জোরদার করতে আগামী সেপ্টেম্বরে পিএসসি আহবানের প্রক্রিয়া শুরু করবে পেট্রোবাংলা। কিন্তু, অব্যাহত জ্বালানির দরপতনে আন্তর্জাতিক তেল গ্যাস কোম্পানিগুলো বিপাকে রয়েছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানির দর না বাড়লে সাগরের মতো ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে তেল গ্যাস অনুসন্ধানকারী কোম্পানি খুঁজে পাওয়া কঠিন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এর আগে ২০০৮ পরবর্তী সময় থেকেও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের অব্যাহত দরপতনের কারণে বিদেশি কোম্পানিকে পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।
পেট্রোবাংলার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক হোসেন মনসুর ফোনে ইনকিলাবকে বলেন, আমরা সাগরের বাড়তি অনেক ব্লক পেলাম। কিন্তু কোনও কাজ হলো না। বসেই থাকলাম। এখন পর্যন্ত আন্তর্জাতিক দরপত্র আহবান করতে পারলাম না। কেন জানি বসেই থাকলাম। বারবার উদ্যোগ নেওয়া হলো, কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুই হয়নি। এখন আবার শোনা যাচ্ছে, চলতি বছর আহবান করা হবে। কিন্তু এই বছর বিশ্বের জ্বালানি খাতের অবস্থা কী হবে, তা এখন দেখার বিষয়।
২০১১ সালে মার্কিন কোম্পানি কনোকো ফিলিপস গভীর সমুদ্রের ১০ এবং ১১ নম্বর ব্লকে তেল গ্যাস অনুসন্ধানের চুক্তি করে। এরপর ২০১৩ সালের শেষের দিকে ৭ নম্বর ব্লকে পিএসসি সই করার কথা ছিল কনোকো ফিলিপস এর সঙ্গে। কিন্তু অনেক চেষ্টার পরও কনোকো নতুন ব্লকে পিএসসি সই করতে রাজি হয়নি। এছাড়া পিএসসির বাইরে গিয়ে গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে দেন দরবার করে কনোকো। কিন্তু সরকার এতে রাজি না হওয়ায় ২০১৫ সালে গ্যাস ১০ এবং ১১ ব্লক দুটি ছেড়ে দিয়ে যায় মার্কিন এই কোম্পানি।
বর্তমানে অগভীর সমুদ্রে ব্লক-১১টি- তে অস্ট্রেলিয়ার সান্তোস, সিঙ্গাপুরের ক্রিস এনার্জি কাজ করছে। ভারতের প্রতিষ্ঠান ওএনজিসি ভিদেশ লিমিটেড অগভীর সাগরের ৪ এবং ৯ নম্বর ব্লেে কাজ করছে। বঙ্গোপসাগরের ১২ নম্বর ব্লকে কাজ করছে কোরিয়ান কোম্পানি পোসকো দাইয়ু। এর মধ্যে কোরিয়ান কোম্পানি পোসকো দাইয়েেমে্প্রতি অনুসন্ধান কাজে অংশীদার পাচ্ছে না এমন অজুহাতে চলে যাওয়ার জন্য পেট্রোবাংলাকে চিঠি দিয়েছে। তবে পেট্রোবাংলা তাদের অংশীদার অনুসন্ধানে ছয় মাস সময় দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।