বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুলনা মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের পিসিআর মেশিনে এখন পর্যন্ত ২০ জন কোভিট-১৯ বা করোনাভাইরাস শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশই চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী। ব্যাপকহারে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের আক্রান্ত হওয়াকে খুবই উদ্বেগজনক হিসাবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা নিশ্চিতের পাশাপাশি রোগীরা যাতে তথ্য গোপন না করে সেদিকেও নজর দেয়ার মত তাদের।
এদিকে খুমেকের পিসিআর মেশিনে গত বুধবার ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে তিনজনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। খুলনা জেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা ১৩। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, খুলনা মেডিকেল কলেজের পিসিআর মেশিনে এখন পর্যন্ত ১৮২১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়। এর মধ্যে ২০ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। যার ৪ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্স, ২ জন টেকনিশিয়ান, ২ জন হাসপাতালের কর্মচারী ও একজন ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি।
সূত্র জানায়, গত ৭ এপ্রিল পরীক্ষা শুরু হওয়ার পরই ১২ এপ্রিল আক্রান্ত হয় মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য সহকারি। পরদিনই নড়াইলের লোহাগড়ার একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি আক্রান্ত হয়।
১৮ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হন খুলনা মেডিকেল কলেজের ইউরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক। পরদিন অর্থাৎ ১৯ এপ্রিল আক্রান্ত হন খুলনা মেডিকেল কলেজের আরও দুই শিক্ষক। এর একজন গ্যাস্ট্রেএন্ট্রোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং অন্যজন শিশু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
২৩ এপ্রিল রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনিশিয়ানের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। ২৫ এপ্রিল কুষ্টিয়ায় একটি বেসরকারি হাসপাতালের কর্মরত একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স করোনায় আক্রান্ত হন।
২৬ এপ্রিল রূপসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিচ্ছন্ন কর্মী ও নৈশপ্রহরী দু’জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। গত ২৮ এপ্রিল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স করোনা আক্রান্ত হন যিনি নূরনগরে করোনা (ডায়াবেটিক) ডেডিকেটেড হাসপাতালে টানা ১৪ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন। সর্বশেষ গত বুধবার খুমেকের পিসিআর ল্যাবে করোনা শনাক্ত হন যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. জিহাদুল ইসলাম। ২০ জন করোনা পজেটিভ এর মধ্যে ১১ জনই প্রত্যক্ষভাবে স্বাস্থ্য সেবার সাথে জড়িত।
চিকিৎসকদের ব্যাপকহারে আক্রান্তের বিষয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজের উপাধ্যক্ষ ও খুলনা বিএমএ সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মেহেদী নেওয়াজ বলেন বিষয়টি উদ্বেগজনক। চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সামগ্রী নিশ্চিতের পাশাপাশি রোগীদের কোন তথ্য গোপন করলে চলবে না। অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে, রোগীরা তাদের লক্ষণ ও ভ্রমণ ইতিহাস ডাক্তারদের কাছে গোপন করে চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছে। পরবর্তীতে সেখান থেকে অনেক চিকিৎসকই আক্রান্ত হয়েছে।
কোয়ারেন্টিনে না থেকে বিয়ের আয়োজন
জয়পুরহাট জেলা সংবাদদাতা : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগজানা ইউনিয়নের গার্মেন্টস কর্মী ঢাকা থেকে বাড়ি ফিরেই বিয়ের আয়োজন করার খবর পেয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক।
এলাকাসী জানায়, গত বুধবার রাতে উপজেলার বাগজানার ইউনিয়নের কুটাহার গ্রামের পাতানু খলিফার পুত্র ফজলু (৪৫) এবং শেকটা গ্রামের ছালামের মেয়ে আসিফা (৩৫) নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে হোম কোয়েরান্টইন না থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বাগজানা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছেনে সাফিয়ার আত্মীয় হাবিবের বাড়িতে উভয়ের পরিবার বিয়ের আয়োজন করে।
গ্রামবাসী বিষয়টি জানতে পেরে তাদের কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা বললে তারা না শোনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য, বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচবিবি থানার ওসিকে বিষয় জানালে ইউপি চেয়ারম্যান গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ১৪দিনের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে বাগজানা ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুল হক বলেন, বিষয়টি জানার পর পরই গ্রাম পুলিশ দিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি এবং বাধ্যতামূলক হোম কোয়েরেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।