Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা মোকাবেলায় বড়পুকুরিয়ায় বাংলাভাষী শ্রমিকদের ছুটি, খনিতে কয়লা উৎপাদন অর্ধেক

আপদকালিন মজুদ সংকটের আশঙ্কা

ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ৫:৪৪ পিএম

মহামারী করোনা মোকাবেলায় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে বাঙালী শ্রমিকদের ছুটি দেয়ার কারণে কয়লা উৎপাদন অর্ধেকে নেমে এসেছে।
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে কয়লা উৎপাদন কাজে কর্মরত স্থানীয় বাঙ্গালী বা বাংলাদেশী শ্রমিকদের। কেবল মাত্র চীনা শ্রমিক দিয়ে উৎপাদন কার্যক্রম চলায় প্রতিদিনের কয়লা উৎপাদন নেমে এসেছে অর্ধেকে। ফলে আগামী দুই মাসের আপদকালিন মজুদ নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
কয়লা খনি সুত্রে জানা গেছে খনি থেকে প্রতিদিন ৩ হাজার ৫শ থেকে চার হাজার মেট্রিকটন কয়লা উৎপাদন হয়। সেইসাথে প্রতি তিন মাস পর পর কয়লার উত্তোলন ফেইজ (সুড়ঙ্গপথ) উন্নয়নের জন্য এক মাস করে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ থাকে। একারনে কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখতে আপদকালিন কয়লা মজুদ করতে হয়। কিন্তু সাম্প্রতিক করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায়, ভাইরাস সংক্রমণ রোধে কয়লা উত্তোলন কাজে কর্মরত বাঙ্গালী শ্রমিকদের গত ২৬ মার্চ থেকে ছুটি দেয়া হয়েছে। ফলে শুধুমাত্র চীনা শ্রমিকদের মাধ্যমে কয়লা উত্তোলন চলতে থাকায় বর্তমানে কয়লা উত্তোলন অর্ধেকে নেমেছে।
সুত্রটি জানায় প্রতিদিন যেখানে কয়লা উত্তোলন করা হতো ৩ হাজার ৫শ মেট্রিকটন থেকে চার হাজার মেট্রিকটন, সেখানে এখন কয়লা উত্তোলন হচ্ছে দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৪শ মেট্রিকটন। যা প্রতিদিনের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। একারণে আপদকালিন মজুদ রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে খনি কর্তৃপক্ষের।
খনিটির মাইনিং বিভাগ সুত্রে জানা গেছে আগামী মে মাস পর্যন্ত বর্তমান ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন চলবে। এরপর নতুন ফেইজ উন্নয়নের জন্য জুন ও জুলাই দুই মাস কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে।
বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান বলেন, আগামী জুন মাস থেকে ফেইজ উন্নয়ন কাজের জন্য কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকবে, সেই সময় আপদকালিন কয়লার মজুদ না হলে, তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এই বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী কামরুজ্জামান খান বলেন, সারা বিশে^ করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতেও এর প্রভাব পড়েছে। তবে এই আপদকালিন সময়ে তাপ বিদ্যুৎতের উৎপাদন সচল রাখার জন্য খনি কতৃপক্ষ বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্ঠা করছেন বলে তিনি জানান।

উল্লেখ্য বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ উত্তরের ৮জেলার বিদ্যুতের চাহিদা পুরণ করে। তাই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন বন্ধ হয়ে গেলে অন্ধকারে পড়বে রংপুর বিভাগের উত্তরের ৮টি জেলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ