Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রেকর্ড শনাক্ত ৬৪১ মৃত বেড়ে ১৬৩

দেশে করোনাভাইরাস

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০২০, ১২:০৯ এএম

গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৬৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন। এখন পর্যন্ত এটাই একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড। এর আগে এতদিনের মধ্যে সর্বোচ্চ আক্রান্ত শনাক্ত ছিল গত মঙ্গলবার ৫৪৯ জন। এ নিয়ে ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ১০৩ জনে। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরো ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, এ নিয়ে এ মহামারী ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬৩ জনে।

গতকাল বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস সংক্রান্ত নিয়মিত হেলথ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। অনলাইনে বুলেটিন উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা। তিনি জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও চার হাজার ৯৬৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ হাজার ৭০১টি। নতুন যাদের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে, তাদের মধ্যে আরও ৬৪১ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন সাত হাজার ১০৩ জন। আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মারা গেছেন আরও আটজন। ফলে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৩ জনে। এছাড়া সুস্থ হয়েছেন আরও ১১ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১৫০ জন।

যারা নতুন করে মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ছয়জন পুরুষ এবং দুজন নারী। ছয়জন ঢাকার বাসিন্দা এবং দুজন ঢাকার বাইরের। বয়সের দিক থেকে চারজন ষাটোর্ধ্ব, দুজন পঞ্চাশোর্ধ্ব এবং দুজন ত্রিশোর্ধ্ব। তিনি বলেন, ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে একভাগ রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি তিনভাগ বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাড়ি থেকে চিকিৎসা যারা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ৩৮ জন সুস্থ হয়েছেন।

ডা. নাসিমা সুলতানা আরও বলেন, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে যারা বাড়িতে রয়েছেন, তারা আমাদের হটলাইনের মাধ্যমে চিকিৎসা নেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাদের লক্ষণ ও উপসর্গগুলো মৃদু থাকে। তারা বাড়িতে চিকিৎসা নিয়েই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। করোনার উপসর্গ যখন শেষ হয়ে যাবে, তার ১৪ দিন পর তার দ্বিতীয় নমুনা নেয়া হয়। তার সাতদিন পর আবার নমুনা নেয়া হয়। পরপর দুটি পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ আসলে আমরা তাদের সম্পূর্ণ সুস্থ বলি।

অতিরিক্ত মহাপরিচালক জানান, রাজধানীর তিনটি বেসরকারি হাসপাতালকে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- এভারকেয়ার হাসপাতাল লিমিটেড (সাবেক অ্যাপোলো হাসপাতাল), স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড ও ইউনাইটেড হাসপাতাল লিমিটেড। এখন থেকে এ হাসপাতালগুলোতে যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হবে সেগুলো সরকারি ল্যাবরেটরির মোট নমুনার সঙ্গে যোগ করে প্রকাশ করা হবে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে সবাইকে ঘরে থাকার এবং স্বাস্থ্য অধিদফতর ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ-নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয় বুলেটিনে।

প্রায় চার মাস আগে চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এখন গোটা বিশ্বে তান্ডব চালাচ্ছে। চীন পরিস্থিতি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠলেও এখন মারাত্মকভাবে ভুগছে ইউরোপ-আমেরিকা-এশিয়াসহ বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চল। এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্তের প্রায় সাড়ে ৩১ লাখ। মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার। তবে নয় লাখ ৬১ হাজারের বেশি রোগী ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।

প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার। নিয়েছে আরও নানা পদক্ষেপ। যদিও এরই মধ্যে সীমিত পরিসরে ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকার কিছু পোশাক কারখানা সীমিত পরিসরে খুলতে শুরু করেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি-না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা।



 

Show all comments
  • Shirazuzzaman Helala ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    করোনা রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অথচ সরকার গার্মেন্টস দোকান রেস্টুরেন্ট খুলে দিচ্ছে। যা খুবই দুঃখজনক। পরে কারফিউ দিয়েও এটি সামাল দিতে পারবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Obaidul Islam ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    প্রতিদিন টেস্ট এর পরিমান আরো অনেক বাড়ানো উচিত আর হাসপাতালে না যেয়ে বাসা থেকে নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করা উচিত।। হসপিটালে যেয়ে ভীড় করে নমুনা দিতে যাওয়ার ফলে যে আসলে করোনা আক্রান্ত না তারাও ইনফেকটেড হবার সুযোগ আছে!
    Total Reply(0) Reply
  • Rayhan Pervez ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    প্রতিদিন দশ থেকে বিশ হাজার টেস্ট করতে হবে। >সনক্রামন জতই হুক তাদেরকে সনাক্ত করতেই হবে খুব অল্প সময়ের মধ্যে > তারপর সঠিক ভাবে কয়ারেন্টাইন করতে হবে > যথাযথ চিকিৎসার বেবস্থা করতে হবে এবং আমাদেরকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে নতুন ভাবে জেন আর সংক্রামিত না হয়। তারপরও একমাত্র আল্লাহর সাহায্যই দরকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Nusrat Nupur ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
    মৃত্যুর মিছিলের জন্য এই দেশ বেশি দূরে নয় । শুধু মাত্র সঠিক সিদ্ধান্ত হীনতার জন্য এই ভয়াবহ অবস্থা হচ্ছে । সু বুদ্ধি উদয় হোক । আল্লাহ্ সবার প্রতি সহায়ক হোক
    Total Reply(0) Reply
  • Md Ershadullah ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
    সুস্থ অপেক্ষা মৃত্যু সংখ্যা বেশি। এটা ভয়ংকর। সঠিক পরিকল্পনা ও কঠোরভাবে সেটার প্রয়োগ খুব জরুরি। আল্লাহ সকলকে রক্ষা করুন ।
    Total Reply(0) Reply
  • Tarak Chandra Roy ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
    It's true that virus is spreading across the country rapidly. We should take reliable initiatives to contain the spread of the coronovirus otherwise we will face the bad effects of the virus.
    Total Reply(0) Reply
  • Kodom Ali Matubbar ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
    খুব তাড়াতাড়িই চলতি বছরের আগামী মে মাসের শুরু হইতে বাণিজ্যিক ভাবে করোনা চাষের প্রস্তুতি গ্রহন করতেছে টেক্সটাইল/স্পিনিং মিল এবং গার্মেন্টস মালিকরা। চাষাবাদে পরিচর্যাকারীর দায়িত্বে থাকবেন স্থানীয় নেতাকর্মী ও ফ্যাক্টরি প্রশাসন। সার্বিক তত্ত্বাবধায়ক ও সহযোগীতায় কাজ করবে - BGMEA,BKMEA এবং বাংলাদেশ সরকার। এই ফসলের ফলন ভোগ করতে হবে সবার। কেউ খাবে-কেউ খাবেনা, তা হবে না- তা হবে না। দেশে চাল,ডাল,তেলের সুষম বন্টন না হলেও, এইটা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ঠিকঠাক বন্টন হবে। অপেক্ষায় থাকুন আপনার ভাগের অংশ সময় মত পেয়ে যাবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • শওকত আকবর ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫৮ এএম says : 0
    প্রতিদিনই ইনকিলাবের দিকে তাকিয়ে থাকি।বর্তমানে ডেকোরেটরের কাজ নাই।কবে যে অনূষ্ঠানাদি হবে তা ও জানিনা।তাই ঘরেই নামাজ রোজা তারাবি তজবি তাহলিল ওয়াজিফা পড়ি।ইনকিলাব পড়ে কমেন্ট করে সমায় কাটাই।তবুও বলবো আল্লাহ ভালো রেখেছেন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ