পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার সময়ে অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবন করতে হলে ব্যাংকগুলোকে আরো দক্ষ ও সময়উপযোগি হতে হবে। এই সময়ে ব্যাংকগুলোর অযথা বা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে। এছাড়া দ্রুত এনপিএল কমানোর কোন বিকল্প নেই। সরকারের প্রনোদনা প্যাকেজগুলিকে বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংকের আরো সহায়তা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অর্থনীতির বিকল্প অর্থায়নের জন্য একটি বন্ড বাজারের বিকাশের জন্য সবার পরামর্শ দরকার। করোনাপূর্ণ অর্থনীতিতিতে ফিরে যেতে ব্যাংকের সহযোগিতা প্রয়োজন।
গত মঙ্গলবার ব্যাংক খাতের উদ্যোক্তা এবং ব্যাংকারদের নিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার উপস্থিত ছিলেন।
কনফারেন্সে ব্যাংকিং খাতের মাধ্যমে কীভাবে অর্থনীতিতে সরকারী উদ্দীপনা প্যাকেজগুলি বিতরন করা যায়, কীভাবে অর্থনীতিকে ট্র্যাকের দিকে ফিরিয়ে আনতে হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিএবি এবং এবিবির চেয়ারম্যান দুজনেই করোনভাইরাসের কারনে অর্থনৈতিক প্রভাব কাটিয়ে উঠতে ৯৮ হাজার ৬১৯ কোটি টাকার সরকারী প্রনোদনা প্যাকেজের প্রশংসা করেছেন। প্যাকেজের সামগ্রিক আকার দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের প্রায় ৩ দশমিক ৫ শতাংশে।
অর্থনীতিতে প্রয়োজনীয় তহবিল ইনজেকশনের জন্য তারল্য সংকট দূর করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) নীতিগত উদ্যোগ ও নীতিসহায়তার প্রশংসা করেন এবিবি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। এছাড়া ব্যাংক ঘোষিত আর্থিক উদ্দীপনা প্যাকেজগুলি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংক সিআরআর হারকে ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বা ৪ শতাংশে নামিয়েছে। যা আগে ছিলো ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। এছাড়া রেপো হার ৬ শতাংশ থেকে ৭৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৫ দশমিক ২৫ শতাংশে নামানোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপেরও প্রশংসা করেছেন তিনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ ধরনের পদক্ষেপের কারনে করোনভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পরে আমানত সঙ্কুচিত হবার পরেও নগদ অর্থের উচ্চ প্রবাহেরর চাপ সত্তে¡ও ব্যাংকগুলি তাদের তহবিলকে দক্ষতার সাথে পরিচালনা করতে সহায়তা করবে।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ব্যাংকিং খাতের উদ্যোক্তাদের এনপিএল কমিয়ে আনতে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহন করতে হবে। কারন অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সামনের রাস্তা চ্যালেঞ্জ হবে। তিনি ব্যাংকগুলি পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনা এবং পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর যে হারে আয়-ব্যয় অনুপাত রয়েছে সেটিতে কিভাবে উন্নীত করা যায় সেবিষয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন। করোনাকালে অযথা ব্যয় কমিয়ে আনতে হবে।
সাম্প্রতিক উদ্দীপনা প্যাকেজের আওতায় দেওয়া ঋণ ও অগ্রিমগুলো রক্ষার জন্য একটি ক্রেডিট রিস্ক গ্যারান্টি স্কিম প্রতিষ্ঠার বিষয়ে পরামর্শ দেন এবিবি চেয়ারম্যান। বিএবি চেয়াারম্যান অর্থমন্ত্রী এবং গভর্নরকে ঋণ খেলাপিকরনের বা হিসাব ডাউন গ্রেডেশন করার বিষয়ে বাড়তি সময় চান। তিনি চলতি বছরের ৩০ জুনের পরিবর্তে ৩১ ডিসেম্বর করার জন্য অনুরোধ করেন। জবাবে গভর্নর বিষয়টি নিয়ে কাজ করবেন বলে জানান।
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতটি অর্থনীতির লাইফলাইন। তিনি ব্যাংকার ও উদ্যোক্তাদের আশ^স্থ করেন, সরকার অর্থনীতিকে করোনভাইরাস পূর্ব পরিস্থিতিতে ফিরিয়ে আনতে ব্যাংকিং খাতকে সব ধরনের সহায়তা দেওয়া হবে।
এবিবি চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রীর দেওয়া সমস্ত পরামর্শ ও নির্দেশনা বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন। সুপারিশ ও পরামর্শ বাস্তবায়নের পদ্ধতি জানতে শিগগিরই বিএবি এবং এবিবির আবার বসবেন। তারা সমস্ত ব্যাংকগুলিকে দেওয়া পরামর্শগুলি বাস্তবায়নের জন্য একটি রোড ম্যাপ প্রস্তুত করার জন্য অনুরোধ করবে।
গভর্নর ফজলে কবির সকল উদ্দীপনা প্যাকেজ এবং র্সেগুলির চলমান বাস্তবায়ন সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীকে অবহিত করেছেন। তিনি অর্থমন্ত্রীকে আশ্বাস দেন, বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবসায়িক সম্প্রদায় এবং ব্যাংকিং খাত পরিচালিত রাখার জন্য যা কিছু প্রয়োজনীয় নীতি সহায়তা গাইডেন্স প্রদান করবে।
আলী রেজা ইফতেখার বলেন, অর্থনীতিতে অর্থ সহায়তা ও ইনজেক্ট করার বিকল্প উৎস না থাকায় করোনার মহামারীর প্রভাব থেকে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য ব্যাংকগুলির আর্থিক স্বাস্থ্য এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।