Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

করোনার মধ্যে ডেঙ্গু আতঙ্ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের নানা প্রচেষ্টার মধ্যে রাজধানীতে আরেক আতঙ্ক হয়ে এসেছে ডেঙ্গু। করোনা প্রতিরোধে সবকিছু বন্ধ থাকায় রাজধানীতে মশা নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে না। এতে করে রাজধানীতে মশার প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ফলে করোনা মহামারীতে ঘরবন্দি মানুষের কাছে মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু এখন নতুন আতঙ্ক।

দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শত শত করে বেড়ে এখন সাত হাজার ১০৩ জনে দাঁড়িয়েছে। গতকাল পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬৩ জন। এভাবে করোনা বৃদ্ধি পাওয়ায় চিন্তায় সবাই আস্থির। এই অবস্থায় মশা নিধনের কার্যকর উদ্যোগ না নিলে ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। গতবছর দেশের মানুষের কাছে আতঙ্কের নাম ছিল ডেঙ্গু। তোলপাড় করা ডেঙ্গুতে সরকারি হিসাবেই ১৭৯ জনের প্রাণহানির কথা বলা হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমে আসা খবরে সেটি অন্তত ৩০০। আর হাসপাতালে ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।

পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, গত বছরের এপ্রিল পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিল ১৩১ জন। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে গত বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রাস্তের সংখ্যা ২৯১ জন। এদের মধ্যে ২৮৯ জনই হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গু চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন দুইজন ডেঙ্গু রোগী।

রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) তথ্য অনুযায়ী, এ বছরে ডেঙ্গুতে কিংবা ডেঙ্গু সন্দেহে কোনো মৃত্যুর তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৯ জন। আর ফেব্রুয়ারিতে ৪৫ জন ও মার্চ মাসে ২৭ জন। চলতি মাসে এখন পর্যন্ত ২০ জন আক্রান্ত হয়েছেন।

গত মার্চ মাস থেকেই ডেঙ্গু প্রতিরোধে কর্মসূচি শুরু করার কথা। কিন্তু সিটির করপোরেশনের কর্মীদের এখন রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা জীবানুমুক্ত করার কাজে ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। অর্থাৎ করোনাভাইরাসের মধ্যে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের মনোযোগ কমেছে। যে কারণে বিশেষজ্ঞরা সামনে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরো বাড়ার আশঙ্কা করছেন। বর্ষার আগের এই সময় রাজধানীতে এডিস মশা নিধনে কার্যকর উদ্যোগের তাগিদ দিয়েছেন তারা। এ অবস্থায় দফায় দফায় ওষুধ ছিটানোর আগে রাজধানীর খালসহ মশার প্রজনন ও উৎপত্তিস্থল পরিষ্কার করারও পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম এ নিয়ে কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন। এডিস মশার উপদ্রব কমাতে সবার আগে মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংস করার ওপর জোর দিচ্ছেন উত্তরের এই মেয়র। তিনি বলছেন, মশার উৎপত্তিস্থল ধ্বংসের জন্য অবশ্যই সবকিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখেতে হবে। এজন্য আমি রাজউক থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার সাথে বসে আলোচনা করেছি, যেন তারা এ বিষয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ