পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ক্রান্তিকালে হাজারো ইনোভেটিভ কাজ করছে পুলিশ সদস্যরা। করোনাভাইরাস যুদ্ধে সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য জেনে শুনেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে গিয়ে নিজের অজান্তেই করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ বাহিনীর সদস্য হিসেবে মঙ্গলবার রাতে প্রথম মারা গেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের কনস্টেবল জসিম উদ্দিন (৪০)।
অন্যদিকে গত ৫দিনে সারাদেশে ১৭৪ জন পুলিশ সদস্য নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে। গত ২৩ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ২১৮। তা বেড়ে বুধবার দাঁড়িয়েছে ৩৯২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে শুরু করে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তারাও। পুলিশ কনস্টেবল জসিম উদ্দিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন পুলিশ আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ। তাকে হারানোর শোককে শক্তিতে পরিণত করে পুলিশ এগিয়ে যাবে বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জসিম উদ্দিন ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের একটি পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। করোনাকালে অর্পিত দায়িত্ব পালনকালে হঠাৎ করে জ্বরে আক্রান্ত হলে গত ২৫ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এরপর থেকেই তিনি কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করেই বেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। দায়িত্বরত চিকিৎসক রাত ১০টায় জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল সকালে আইইডিসিআর থেকে জানানো হয়, জসিম উদ্দিন করোনা পজেটিভ ছিলেন।
ওই সূত্র জানায়, পুলিশের ব্যবস্থাপনায় জসিম উদ্দিনের লাশ তার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় পাঠানো হবে। সেখানেই ধর্মীয়রীতি মেনে তাকে দাফন করা হবে। তিনি স্ত্রীসহ দুই মেয়ে ও এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
আইজিপি বলেছেন, করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যের সুচিকিৎসাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে পর্যাপ্ত আয়োজন রাখা হয়েছে। রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালসহ পুলিশের অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে করোনা সংক্রান্ত চিকিৎসা সুবিধা বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া বিভাগীয় পর্যায়েও করোনা আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, দায়িত্ব পালনরত সব পুলিশ সদস্যের জন্য ইতোমধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সামগ্রী সংগ্রহ করা হয়েছে। এখন তা বিভিন্ন ইউনিটে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। করোনায় আক্রান্ত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য পুলিশের হাসপাতালগুলোতে প্রয়াজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।