Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রস্তুত এক ডজন মামলা

করোনা সংক্রমণরোধে ব্যর্থতা প্রতিকার মেলেনি লিগ্যাল নোটিসে

সাঈদ আহমেদ | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে নানামুখী ব্যর্থতা চ্যালেঞ্জ করে প্রস্তুত হয়ে আছে অন্তত এক ডজন মামলা। আদালত খুললেই সংক্ষুব্ধরা দায়ের করবেন এসব মামলা। এ কথা জানিয়েছেন তিন মাস ধরে করোনা প্রতিরোধ ও বিহিত-ব্যবস্থা চেয়ে দেয়া লিগ্যাল নোটিস ইস্যুকারী আইনজীবীরা। আদালত বন্ধ থাকায় জনগুরুত্বপূর্ণ মামলাগুলো এখন তারা ফাইল করতে পারছেন না। তাই অপেক্ষায় আছেন ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর।

আলাপচারিতায় আইনজীবীরা জানান, দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার এক মাস আগের ঘটনা। বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে গত ৯ ফেব্রুয়ারি সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিস দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির পল্লব। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে লিগ্যাল নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়। নোটিসে করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে একটি সেন্ট্র্রাল মনিটরিং সেল এবং প্রতিটি জেলায় মনিটরিং সেলের শাখা স্থাপন ও দেশের প্রতিটি বিমানবন্দর, স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর, হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া মানুষের জন্য ভাইরাস প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সংখ্যক মাস্ক, স্যানিটাইজার, পিপিই, গ্লাভস, ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থা করতে অনুরোধ জানানো হয়। এ নোটিসটিও আমলে নেননি সংশ্লিষ্টরা। পরে ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এবং তা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এখন মৃত্যুবরণ করছেন শত শত মানুষ।

চাল চোরদের দ্রæত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের উদ্যোগ চেয়ে ১৩ এপ্রিল নোটিস দেন সুপ্রিম কোর্ট বারের অ্যাডভোকেট এ.এইচ.ইমাম হাসান ভুইয়া। নোটিসে কর্মহীনদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রীসহ সরকারি চাল সুষ্ঠু বিতরণে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়। কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এখনও উদ্ধার হচ্ছে চুরিকৃত চাল ও সামগ্রী।

আগত প্রবাসী ও অভিবাসীদের হয়রানি বন্ধ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রদানে ব্যর্থতায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহা-পরিচালকের পদত্যাগ চাওয়াসহ করোনা বিষয়ক একাধিক লিগ্যাল নোটিস দিয়েছেন অ্যাডভোকেট জে.আর.খান রবিন। এসব নোটিসের কোনো প্রতিকার নেই।

স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষায় কার্যকর আইন প্রণয়ন এবং বীমা সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি লিগ্যাল নোটিস দেন অ্যাডভোকেট তানজিম আল ইসলাম। নাইটিংগেল মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হসপিটালের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো.ওবায়দুর রহমানের পক্ষে তিনি এ নোটিস দেন। সাংবাদিকদের নিরাপত্তা সরঞ্জাম ও বিশেষ প্রণোদনা চেয়ে লিগ্যাল নোটিস দেন অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান লিংকন। করোনা কেন্দ্রিক এরকম এক ডজনের বেশি লিগ্যাল নোটিস দেয়া হয়। এসব নোটিস ইস্যুকারীরা প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

অ্যাডভোকেট জে.আর.খান রবিন এ বিষয়ে ইনকিলাবকে বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিজির পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিস দিয়েছি। এটির কোনো ফিডব্যাক নেই। ভেজাল পিপিই এবং মাস্কের কারণে এতোগুলো চিকিৎসক আক্রান্ত হলেন। যে কোম্পানি ভেজাল মাস্ক ও পিপিই দিয়েছে দেশের স্বার্থে সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার দায়িত্ব ছিল স্বাস্থ্য অধিদফতরের। এটি তার বড় ব্যর্থতা। অথচ তিনি এখনো পদত্যাগ করেননি। আদালত খুললে আমরা অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ