বাংলাদেশের জনজীবন ও অর্থনীতিতে ফারাক্কা বাঁধের বিরূপ প্রতিক্রিয়া
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে প্রবাহিত গঙ্গার ওপর নির্মিত ভারতের ফারাক্কা বাঁধের প্রতিক্রিয়া যেমন বাংলাদেশের অর্থনৈতিক
মুহাম্মদ রেজাউর রহমান
সন্ত্রাসী হয়ে কেউ জন্মগ্রহণ করে না-সন্ন্যাসী হয়েও নয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো বিশেষ ধর্মের অনুসারী পিতামাতার ঘরে জন্মগ্রহণ করলেই মানুষ সন্ত্রাসী হয় না বা তার মধ্যে যে দুষ্ট প্রবৃত্তি রয়েছে, তার কারণে কেউ সন্ত্রাসী হয় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কোনো একজনের সন্ত্রাসী হওয়ার কারণ হচ্ছে সমাজে তার অবস্থান সম্পর্কে সে যখন হতাশায় নিমজ্জিত হয়, যখন সে দেখে রাষ্ট্রের সম্পদ ও সুবিধার সুযোগ নিচ্ছে অল্পকিছু সংখ্যক মানুষ, মানবাধিকারের অনুপস্থিতি, রাজনৈতিক কারণে ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়া, দেশে শাসন রয়েছে কিন্তু সুশাসনের অভাব, বিচারহীনতার সংস্কৃতি, অর্থনৈতিক সুবিধা থেকে বঞ্চনাÑএসবই একজনকে বিশেষ করে তরুণদেরকে সন্ত্রাসের পথে চালিত করে। সংবেদনশীল তরুণ মন সমাজ ও দেশে অবিচার, বঞ্চনা ও শোষণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহের আগুনে পুড়তে থাকার সময় উগ্রপন্থী ধর্মান্ধ কিছু সংখ্যক মানবতাবিরোধী মানুষের সস্পর্শে এলে তাদেরকে ধ্বংসাত্মক ও নিরীহ, নিরপরাধ সাধারণ জনগণকে হত্যার প্ররোচনা দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকা-ে নিয়োজিত করা সম্ভব হয়। এরকম একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে গত ১ জুলাই ঢাকার গুলশানে অবস্থিত একটি অভিজাত রেস্তোরাঁয় কতিপয় সন্ত্রাসী তরুণের দ্বারা ১৭ জন বিদেশি ও তিন জন বাংলাদেশিকে হত্যা। এর পর ৭ জুলাই কিশোরগঞ্জ শোলাকিয়া ঈদের জামাতে আক্রমণের চেষ্টা পুলিশ ব্যর্থ করে দিলেও মারা যায় পুলিশসহ চারজন। এ দুটি ঘটনাই প্রমাণ করে যে এর আগে সংগঠিত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পুরোহিত, মন্দিরের সেবায়েত, মুসলমানদের পীর, মাজারের খাদেম, নিরপরাধ জাপানী ও ইতালীয় নাগরিক হত্যার মতো ঘটনার পরেও আমরা সন্ত্রাস দমনে কোনো দূরদৃষ্টির পরিচয় দিতে পারিনি এবং সন্ত্রাসীদের মগজ ধোলাই করা, অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ দেওয়া ও অধিক সংখ্যায় দলে টানার যে প্রস্তুতির কথা অনুমান করা যায়, সেই তুলনায় আমাদের সামর্থ্য ও প্রস্তুতি অনেক কম ছিল।
এতে আরো প্রমাণিত হয়, যারা সামাজিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য ও রাজনৈতিক শোষণের দ্বারা নিষ্পেষিত, তারা আইএসের মতো গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবান্বিত হয়ে সাধারণ ও নিরপরাধ জনগণকে হত্যার পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সরকার কর্তৃক গৃহীত সকল প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও পরিকল্পনার তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে। তাই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিৎ সকল দল ও মতের অনুসারীদের নিয়ে এমন একটি সর্বসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করা যাতে শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা আমলাদের অংশগ্রহণই নয়, বরং সমাজের সকল স্তরের মানুষের অংশগ্রহণমূলক পরিকল্পনা ও কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা। আমাদের দেশের পরিপ্রেক্ষিতে যা বলা যায়, তা হচ্ছে সরকারি দল বা ১৪ দলীয় জোটের মাঠ-কর্মী থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ যে তাৎক্ষণিক দোষারোপের রাজনীতির চর্চা করে চলেছেন, দেশের এই ক্রান্তিকালে সন্ত্রাসের ফ্রাঙ্কেনস্টাইনকে তা আরো শক্তি সঞ্চয় করার সুযোগ করে দিচ্ছে। মনে রাখা প্রয়োজন যে, দেশের সকল রাজনৈতিক দল বিশেষ করে কোনো সময় ক্ষমতায় ছিলেন বা জোটের রাজনীতিতে ক্ষমতার অংশীদার ছিলেন, কোনো সময়েই তারা সন্ত্রাসের কর্মকা- উস্কে দিতে পারেন না বা চাইবেন না। বিশেষ করে যারা অদূর ভবিষ্যতে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যেতে চান, তারা নিজেরা বা তাদের সহযোগীদের মধ্যে কেউ সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকতা করে ক্ষমতায় আসতে চাইবেন না, কারণ তাহলে তারা সন্ত্রাসী বিভিন্ন গোষ্ঠীর কাছে জিম্মি হয়ে পড়বেন। এইটুকু মাথায় রেখে বা বিশ্বাস করে সকল দলের অংশগ্রহণমূলক জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সন্ত্রাস প্রতিরোধ আন্দোলনকে গ্রামে-গঞ্জে, বিদ্যালয়সমূহে, মহল্লায় ও জনপদে ছড়িয়ে দিতে হবে।
সন্ত্রাস হচ্ছে এমন এক শত্রু, যাকে দেখা যায় না, বলা যায় না কখন কোথায় তার নৃশংস আক্রমণ ঘটবে। সন্ত্রাস নির্মূল প্রচেষ্টায় যদি দেশের বিরাট এক জনগোষ্ঠীকে শুধুমাত্র তাদের সরকার-বিরোধিতার কারণে বিরোধী দলীয় মাঠ-কর্মী, মধ্যম সারির নেতা বা শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বাদ দিয়ে, সরকারি প্রচেষ্টার বাইরে রাখা হয়, তাহলে যারা সরকারি নির্যাতন নিষ্পেষণের শিকার হয়েছেন তাদের মধ্যে যারা উগ্রবাদী তারাও সন্ত্রাসের পথে পা বাড়ালে সন্ত্রাস বাড়বে ছাড়া কমার বা বিলুপ্ত হওয়ার আশা করা যায় না। জামায়াত বা শিবিরের ব্যাপারেও যারা অনবরত বলে যাচ্ছেন নিষিদ্ধ করার কথা, দাবি জানাচ্ছেন দেশের মূল ধারার রাজনীতি থেকে তাদেরকে বাইরে রাখার জন্য অথচ তাদেরই সরকার, স্বাধীনতার স্বপক্ষের সরকার জামায়াত ও শিবিরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সময় নিচ্ছেনÑএটাকে এক দোদূল্যমান অবস্থা বলা চলে। যারা নিষিদ্ধের পক্ষে তারা ভুলে যাচ্ছেন পাকিস্তান আমলে কমিউনিস্ট পার্টিকে নিষিদ্ধ করার পরেও কি তাদের গোপন তৎপরতা বন্ধ ছিল? কোনো দলের কর্মকা- নিষিদ্ধ করলে তা কেবল পর্দার অন্তরালে চলে যায়Ñযা প্রকাশ্য কর্মকা- থেকে খারাপ হতে পারে।
যারা সরকারে আছেন, তারা নিজেদের ভাবাদর্শে দীক্ষিত অন্যান্য রাজনৈতিক দল, পেশাজীবী সংগঠন, বুদ্ধিজীবী সমাজ, ছাত্র ও যুব সংগঠন সকলের পুনঃপৌনিক দাবি সত্ত্বেও জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারে সময় ক্ষেপণ করছেন, তাদের অবস্থানই কি তাহলে সঠিক যে নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে আদর্শগত যুদ্ধে জামায়াত শিবিরকে পরাজিত না করে হঠকারিতার দ্বারা নিষিদ্ধ করলে ফিনিক্স পাখির মতো জামায়াত-শিবির পুনরায় মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে? তাছাড়া সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসেবে সকলেই বুঝতে পারেন যে, জামায়েতুল মুজাহেদীন বাংলাদেশ বা জেএমবি, হরকাতুল জেহাদ, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, হিযবুত তাহরীর ও এ ধরনের সন্ত্রাসী সংগঠন জামায়াত-শিবিরের চাইতেও এক কাঠি সরেস। সন্ত্রাসীদের মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সকল শ্রেণি, পেশা ও বয়সের নাগরিকদের বিশেষ করে তরুণ ও ছাত্র সমাজের সম্মিলিত প্রয়াসের প্রয়োজন, সেখানে গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের পূর্বে অনুষ্ঠিত চারটি সাধারণ নির্বাচনে যে দলটি প্রায় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের কাছিকাছি বা সামান্য বেশি বা সামান্য কম ভোট পেয়েছিল, তাদেরকে বাদ দিয়ে কোনো সর্বসম্মত তৎপরতা, ব্যবস্থা বা সিদ্ধান্তকে ‘সর্বসম্মত’ বলে দাবি করা ঠিক হবে না। অথচ ‘বাবু যত বলে পারিষদ দলে বলে তার শতগুণ’ এটা প্রমাণ করার জন্যেই আওয়ামী লীগের মধ্যম সারি থেকে শুরু করে ১৪ দলের অন্যান্য দলের পাতি নেতারাও সর্বসম্মত কোনো ব্যবস্থায় উপনীত হওয়ার প্রক্রিয়া থেকে জামায়াত-শিবির দূরের কথা বিএনপিকেও বাদ দেওয়ার ‘মহান সংগ্রামে’ বক্তৃতা-বিবৃতির ঝড় বইয়ে দিচ্ছেন। সন্ত্রাসী আক্রমণ থেকে দেশ রক্ষার সংগ্রামে আমরা এখনও কেবল নিজেদের অস্ত্রধারী বাহিনীরগুলির ওপর নির্ভরশীল, সেখানে জনমত শতকরা ত্রিশ-বত্রিশ ভাগের সমর্থন নিয়ে এবং অবশিষ্ট জনসমর্থিত দল বা দলসমূহের যারা প্রতিনিধিত্ব করে বলে পরিসংখ্যান রয়েছে, সেখানে তাদেরকে সর্বসম্মত প্রক্রিয়ার বাইরে রাখলে ইপ্সিত ফল পাবো বলে কোনো নিশ্চয়তা আছে কি?
সারা বিশ্বে সন্ত্রাসী তৎপরতার দাবিদার আইএস বা পুরো নাম দেয়া হয়েছে আইএসআইএস অর্থাৎ ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড সিরিয়া এবং যারা প্রকৃত অর্থেই ঐ দুটি দেশের বিরাট এলাকা দখল করে নিজেদের তৎপরতা চালাচ্ছেÑতাদের নির্মূল করার সংগ্রামে মার্কিন বাহিনীর ক্রমাগত বোমা ফেলে আইএসকে নেতৃত্বশূন্য করার প্রক্রিয়াও ব্যর্থ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব সমাজের পক্ষ থেকে দাবি উঠেছে এভাবে ব্যাপক বোমা বর্ষণেও অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন সম্ভব নাও হতে পারে। কারণ আইএসের কোনো নেতা মার্কিন বাহিনীর বিমান আক্রমণে নিহত হলেও পরক্ষণেই তার স্থলে নতুন নেতার নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। ফলে তাদের কর্মকা- বন্ধ হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। ওয়াশিংটনভিত্তিক আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা ইনস্টিটিউট কর্তৃক আয়োজিত এবং এ বছরের এপ্রিল মাসে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত বিশ্বের প্রায় চারশত বিশেষজ্ঞদের আলোচনা সভায় বলা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশের যৌথ সামরিক শক্তি বিশেষ করে বিমান হামলা কোনো দীর্ঘ মেয়াদী সমাধান আনবে না। সামরিক ও বিমান বাহিনীর প্রতিদিনের অভিযানের জন্য আমেরিকার জনগণের প্রদত্ত কর ব্যয় করা হচ্ছে সাড়ে এগারো কোটি ডলার। আর বিমান আক্রমণ চলছে এক বছর যাবৎ। “সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ” শীর্ষক ওই আলোচনা সভায় বিশেষজ্ঞগণ গুরুত্ব আরোপ করেছেন সহিংসতা দূর করার জন্য প্রতিটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, সামাজিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা, সম্মিলিত প্রয়াস এবং সকল দল ও মতের দ্বারা ঐক্যবদ্ধ সকল দলের অংশগ্রহণমূলক সরকারের প্রতিষ্ঠা।
সহিংস উগ্রবাদ প্রতিরোধ কর্মসূচিতে বিশেষজ্ঞগণ নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুর ওপর বোমা বর্ষণে ও তথ্য সংগ্রহকে গোটা কর্মসূচিকে বত্রিশ ভাগে নামিয়ে আনতে বলেছেন। বিশেষ বাহিনী ও বিশেষ অভিযানে নির্দিষ্ট সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার বিষয়টিকেও ছত্রিশ ভাগে হ্রাস করতে সুপারিশ করা হয়েছে। আমাদের দেশেও শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্বারা সন্ত্রাস নির্মূল সম্ভব হবে না বলেই অনেক নিরাপত্তা বিশ্লেষকেরই ধারণা। জনগণকে সাথে নিতে চাইলে জনগণের কোনো অংশকেই বাদ দিলে কাক্সিক্ষত ফল পাওয়া যাবে না বলেই অনেকে মনে করেন। সন্ত্রাস আর এখন শুধু সরকারের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে থাকতে পারে না, এটা এখন বিশেষ করে গুলশান ও শোলাকিয়ার সন্ত্রাসী আক্রমণের পরে গোটা জাতির মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অথচ সন্ত্রাস দমন ও নির্মূলের জন্য জাতীয় পর্যায়ে কোনো সর্বসম্মত কর্মসূচি ও কৌশল নির্ধারণের আগেই সামাজিক ও রাজনৈতিক বিভক্তিকে আরো দৃশ্যমান করার কথা বলা হচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি বাহিনীর সাথে সম্মিলিত ও সমগ্র সমাজ একত্রে সহযোগিতা না দিলে মাঠে কর্মরত বাহিনীর সকল প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে বলেই অনেকে মনে করেন। সন্ত্রাস দমনের বিভিন্ন প্রকার কর্মসূচিতে সরকার ও জনগণের সকল শ্রেণি, শিক্ষার্থী, যুব সমাজ এক সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যেতে হবে। সমাজপতি, ধর্মীয় নেতা, নারী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের আন্তরিক ও সক্রিয় সমর্থন আদায়ের অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে হবে।
আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে যে, সন্ত্রাস নির্মূল করা শুধু অস্ত্রের দ্বারাই সম্ভব হবে না। সকল মত ও শ্রেণি পেশার জনগণকে সন্ত্রাস নিমর্ূূল প্রচেষ্টার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে। যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের এই উপলব্ধি হওয়া একান্তই প্রয়োজন যে, বিভক্ত সমাজ দ্বারা কোনো জাতীয় সমস্যার মোকাবেলা করা সম্ভব নয়। কারণ বিভক্ত সমাজের সুযোগ নিয়েই সন্ত্রাসের জন্ম হয়, সন্ত্রাসীদের উত্থান ঘটে।
য় লেখক : গবেষক ও প্রাবন্ধিক
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।