পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালতপাড়ার করিডোর,বিভিন্ন শাখা ও আনাচকানাচে রুদ্ধশ্বাস ছুটে চলা তাদের। কখনো আইনজীবীদের আগে কখনো বা তাদের পিছু পিছু ফাইল বগলদাবা করে ছোটেন তারা। ব্যতিব্যস্ত এই শ্রেণীর মানুষগুলোর কদর কেবল আদালতপাড়ায়। ‘বস’র ফাইল বহন, মামলার খোঁজ-খবর রাখা, মামলার ফলো আপ, কার্যতালিকায় মামলাটি আছে কি না খোঁজ নেয়া, এজলাসে বিচারক উঠলেন কি না, রায় টাইপ হলো কি না, বিচারক স্বাক্ষর করলেন কি না, রায়ের কপি সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হলো কিনা ডেসপাচে খোঁজ নেয়া, সেকশনে ফাইল তল্লাশি-ইত্যাদি কাজে পারঙ্গম তারা। যা হুট করেই কোনো বিচারপ্রার্থীর পক্ষে সম্পাদন করা সম্ভব নয়। সম্ভব নয় ব্যস্ত কোনো আইনজীবীর পক্ষেও। বিচারাঙ্গনের জটিল আর সূক্ষèসব সহযোগিতামূলক কাজগুলো সম্পাদন করেন আইজীবী সহকারিরা। অপরিহার্য এই জনগোষ্ঠি ‘মুহুরি’ হিসেবে সমধিক পরিচিত। তাদের আইনগত স্বীকৃতি এখনো দেয়া হয়নি। তবে ‘আইনজীবী সহকারি’ হিসেবে স্বীকৃতির জন্য আন্দোলন চালাচ্ছেন দীর্ঘদিন। অথচ আইনজীবী পেশার মতোই পুরনো আইনজীবী সহায়কদের পেশাগত ইতিহাস।
দিন যতই যাচ্ছে ততোই তাদের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছেন আইনজীবীরা। আইনজীবী সহকারি হিসেবেও সম্পৃক্ত হচ্ছেন মেধাবী ও শিক্ষিত তরুণরা। দেশের আদালতগুলোতে ৪৫ হাজারের মতো আইনজীবী সহকারি রয়েছেন। আইনজীবীদের দেয়া সামান্য বেতন আর বিচারপ্রার্থীদের দেয়া ‘বখশিস’ এ চলে তাদের সংসার। কিন্তু এই করোনা পরিস্থিতি আঘাত হেনেছে তাদের জীবীকায়। তাদের সংসার যেন চলছেই না। সব আদালত বন্ধ। মামলা নেই। আইনজীবীদের আয়ও বন্ধ। মধ্যম ও স্বল্প আয়ের অনেক আইনজীবী সহকারিদের বেতন শোধ করতে পারছেন না। অন্যদিকে মামলা না থাকায় বিচারপ্রার্থীদের কাছ থেকেও মিলছে না কোনো ‘বখশিস’। চরম অর্থ কষ্টে কাটছে তাদের দিন। আইনজীবীরা নিজ নিজ বার থেকে সুদমুক্ত ঋণ পাচ্ছেন। আইনজীবী সংগঠন গুলো সরকারের কাছ থেকে প্রণোদনা দাবি করেছে। হয়তো পেয়েও যাবে। কিন্তু আইনজীবী সহকারিরা পাচ্ছেন না তেমন কোনো আর্থিক সহায়তা। কোনো কোনো স্বচ্ছল সিনিয়র আইনজীবী তাদের ফার্মে চাকরিরত আইনজীবী সহকারিদের খোঁজ-খবর নিচ্ছেন। কিন্তু অধিকাংশ সহকারির অবস্থাই করুণ। তাদের খোঁজও কেউ নিচ্ছে না। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সহকারি সমিতির সাধারণ সম্পাদক খোরশেদ আলম জানান, অন্তত: ১৫ হাজার আইনজীবী সহকারি রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টে। সারাদেশে আছে অন্তত ৪৫ হাজার। তাদের অনেকের ঘরে আজ চাল-ডাল নেই। ব্যক্তিগত পর্যায়ে কেউ কেউ সামান্য কিছু সহযোগিতা পেয়েছেন। কিন্তু অধিকাংশের অবস্থাই শোচনীয়। কিভাবে পরিবার পরিজন নিয়ে আমরা বাঁচবো ? এ পরিস্থিতিতে সরকারের কাছ থেকে আর্থিক সহযোগিতা পাওয়া ছাড়া আমাদের ছেলে- মেয়ে নিয়ে বাঁচার পথ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।