পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সারাদেশে চলছে লকডাউন। সরকারি ছুটির পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে সব ধরণের গণপরিবহন চলাচল। কিন্তু উল্টো চিত্র দেশের গুরুত্বপূর্ণ দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে।
গতকাল সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৫ নম্বর ফেরি ঘাটে পন্টুনের ওপরে কর্মমুখী মানুষের ঢল নামে। করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই সবাই ছুটছেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়। ঘাট সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকার ছুটি বাড়িয়েছে কিন্তু গার্মেন্টসহ সাধারণ শ্রমিকদের ছুটি না বাড়ায় তারা নিজ নিজ কর্মস্থলে ছুটছেন। এক গার্মেন্টস শ্রমিক জানান, কর্মস্থলে যোগ দিতে বাড়ি থেকে সকালে বের হয়েছি। তাছাড়াও সকল গার্মেন্টসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিকের জন্য ছুটি বাড়েনি। এ জন্য গতকাল কর্মস্থলে যোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ করোনা আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে ছুটছেন। তাছাড়া নিম্ন আয়ের এ সকল মানুষের বাড়িতে বসে থেকে চলারও উপায় নেই। তাইতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কর্মের উদ্দেশে বেড়িয়েছেন।
বিআইডবিøউটিসির দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক আবু আব্দুল্লাহ রণি জানান, সরকারি আদেশে সারাদেশে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। নৌপথে শুধুমাত্র পণ্য পারাপারের জন্য সীমিত আকারে ফেরি চলাচল চালু রাখা হয়েছে। যানবাহন কমে যাওয়ায় এ নৌরুটের ১৬টি ফেরির মধ্যে ১১টি বসিয়ে রেখে মাত্র ৫টি ফেরি চালু রেখেছি। কিন্তু গতকাল সকাল থেকে মানুষের চাপে ঠিকমত পণ্যবাহী যানবাহন পারাপার করতে পারছি না। প্রতিটি ফেরিতেই মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এরা সকলেই বিভিন্ন গার্মেন্টস ও অন্যান্য ছোট-খাটো কারখানা ও ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের কর্মী। করোনা ঝুঁকি থাকলেও ফেরিতে এদের এভাবে পারাপার ঠেকানো আসলে সম্ভব নয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।