Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সেনাবাহিনীর মাধ্যমে বিতরণের দাবি বিরোধী নেতাদের

ত্রাণ চুরি ও অনিয়ম দুর্নীতি থামছে না

রফিক মুহাম্মদ | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

সরকারারি ত্রাণ এবং ১০টাকা কেজি দলের চাল চুরির ঘটনা কিছুতেই থামছে না। ত্রাণ আত্মসাৎ ও চুরির ঘটনায় সরকারদলীয় জনপ্রতিনিধি ও নেতাদের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে অনেক জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছেন। অনেকে গ্রেফতারও হয়েছেন।

স্থানীয় সরকার বিভাগ এ পর্যন্ত ২৪জন জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করেছে। গ্রেফতার হয়ে জেল হাজতে আছেন কয়েকজন। তারপরও চুরি থামছে না। গত রোববার সিলেটের জকিগঞ্জে ১০টাকা কেজি দরের ২২৪ বস্তা চাল লুটের ঘটনা ঘটেছে। সারা দেশে এই যখন হযবরল অবস্থা তখন চুরি দুর্নীতি থামাতে ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ বিষয়ে গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অসলে এই সরকারতো নৈতিকভাবে দুর্বল। জনগণের ভোট চুরির মাধ্যমে তারা ক্ষমতায় দখল করেছে। যাদের দিয়ে কিছুদিন আগে ভোট চুরি করিয়েছে তারাতো এখন সুযোগ পেয়ে চাল চুরি, তেল চুরি এসব করবে। এটা বন্ধ করতে সচিবদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেটা কর্যকর হবে বলে মনে করি না। সচিবরা যাদের দিয়ে কাজ করবেন তারাতো সবই সরকারের আজ্ঞাবহ। আমরা সব সময় বলে আসছি সর্বদলীয় কমিটির মাধ্যমে এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে। সরকার সে বিষয় আমলে নিচ্ছে না। সেটা না হলে ত্রাণ বিতরণে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করলে এই চুরি বন্ধ হবে এবং যারা ত্রাণ পাওয়ার উপযুক্ত তারা সঠিকভাবে পাবে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, করোনার এই চরম দুর্দিনেও হত-দরিদ্র উপার্জনহীন অসহায় মানুষদের ত্রাণসামগ্রী বিতরণে চুরি, আত্মসাৎ ও অনিয়মের যে নির্মম চিত্র প্রকাশিত হয়েছে, তা অপরাজনীতির দেউলিয়াত্বের-ই বহিঃপ্রকাশ।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী ইনকিলাবকে বলেন, ত্রাণ চুরি, ১০টাকা কেজি দরের চাল চুরি অব্যাহত আছে। সেই সাথে দলীয় লোকদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের কার্ড করার ক্ষেত্রে হচ্ছে ব্যাপক অনিয়ম। এসব অনিয়ম দুর্নীতি দূর করতে হলে ত্রাণ বিতরণ এবং অন্যান্য কাজে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সম্পৃক্ত করতে হবে।

বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক ইনকিলাবকে বলেন, সারাদেশে ত্রাণ চুরির যে লোমহর্যক চিত্র তা ধামাচাপা দিতে সরকার সচিবদের ত্রাণ বিতরণের দায়িত্ব দিয়েছে। শুরু থেকে দাবি করে আসছি ত্রাণ বিতরণের যে অনিয়ম দুর্নীতি তা দূর করতে সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করার জন্য। সরকার সেটা করছে না।

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়ক জুনায়েদ সাকি এ বিষয়ে বলেন, দেশের এই ভয়াবহ দুর্যোগ পরিস্থিতিতেও সরকার তার পুরানো রাজনৈতিক ধারা বজায় রেখে চলছে। এতে করে সর্বত্র এক অব্যবস্থাপনা ও অরাজকতা বিরাজ করছে। সচিবদের দায়িত্ব দিয়ে এটা সামাল দেয়ার চেষ্টা করেছে সরকার তবে তা কর্যকর হবে বলে মনে হয়না। আমরা শুরু থেকে এসব অরাজকতা অনিয়ম দূর করতে সর্বদলীয় কমিটি গঠনের দাবি করে আসছি। সেনাবাহিনীর প্রতি দেশের মানুষের আস্থা এখনো অটুট আছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ