Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সিরাজদিখানে কাক-শালিকে নষ্ট করছে উস্তে

ইসমাইল খন্দকার, সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) থেকে | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম

করোনায় পাইকারী হাট বন্ধ থাকায় মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে ৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে উস্তে। রাজধানীর বিভিন্ন বাজারের পাইকারের অভাবে অবিক্রিত থেকে যাচ্ছে এ অঞ্চলের উৎপাদিত এ সবজি। আবার পরিবহন সংকটে উস্তে বাজারজাতও করতে পারছে না চাষীরা। এতে জমিতেই পঁচে যাচ্ছে উস্তে। একই সঙ্গে কাক-শালিকে উস্তে খেয়ে বিনষ্ট করছে। খুচরা বাজার গুলোতে উস্তের দাম না কমলেও চাষীদের কাছ থেকে পাইকাররা উস্তে কিনতে আসছেন না।
এদিকে, উপজেলার বালুরচর আল-আমিন মার্কেটের পাইকারী হাট বন্ধ থাকায় উস্তে বিক্রি করতে পারছে না চাষীরা। এতে উস্তে চাষীদের কপালে পড়েছে লোকসানের ভাঁজ। আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে মাথায় উপর। জেলার সিরাজদিখান উপজেলার বয়রাগাদি, কংসপুরা, রামানন্দ, বালুরচর গ্রামের উস্তে চাষীদের দুর্দশার এ চিত্র পাওয়া গেছে।
উপজেলার রামানন্দ গ্রামের চাষী মো. শাহীন এ বছর এক বিঘা জমিতে উস্তে চাষ করেছেন। সব মিলিয়ে তার খরচ পড়েছে ২০ হাজার টাকা। উত্তোলনের শুরুতে ৫ হাজার টাকার মতো উস্তে বিক্রি করতে পেরেছেন। তবে করোনার কারনে জমি থেকে পুরোদমে উস্তে উত্তোলন থমকে গেছে। তিনি বলেন, শ্রমিকের অভাবে উস্তে তুলতে পারছি না। বাজারেও দাম পাচ্ছি না। পাইকারও আসেন না। একারনে উস্তে চাষে এ বছর লোকসান গুনতে হচ্ছে। জমিতে শালিক খাচ্ছে উস্তে। পঁচে যাচ্ছে উস্তে। সামান্য কিছু উস্তে উত্তোলন করে স্থানীয় বাজারে নেওয়ার পর ৫ টাকা কেজি প্রতি বিক্রি করতে পেরেছি। তাই এ বছর ১০ হাজার টাকা থেকে ১৫ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হচ্ছে।
উস্তে চাষে লোকসানের একই সুরে কথা বললেন উপজেলার কংসপুরা গ্রামের উস্তে চাষী মো. রবিউল ও নুর মোহাম্মদ। তারা জানান, লতব্দী ইউনিয়নের কংসপুরা ও বালুরচর ইউনিয়নের আল-আমিন মার্কেটে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উস্তে বিক্রির পাইকারী হাট বসত। ঢাকার কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ি, শ্যামপুর ও নারায়নগঞ্জের বিভিন্ন বাজারের পাইকাররা এ হাটে এসে উস্তে কিনে নিয়ে যান। করোনায় সেই সব পাইকাররা আসছেন না। তাই অগত্যা স্থানীয় বাজারে ৫ টাকা কেজিতে উস্তে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন তারা। অথচ করোনার আগে পাইকারী বাজারে এক কেজি উস্তে ১৮ টাকা ২০ টাকায় বিক্রি করেছেন। গত বছর উস্তে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, সিরাজদিখান উপজেলার ১০০ হেক্টর জমিতে এ বছর উস্তের চাষ হয়েছে। ফলনও বেশ ভালো। তবে করোনার কারনে বাজারজাত করতে না পারায় চাষীদের লোকসান গুনতে হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ