পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কোভিড-১৯ মহামারীতে দেশের সকল নাগরিক লকডাউনের আওতায় স্বেচ্ছায় ঘরবন্দী। এমতাবস্থায় দৈনন্দিন কার্যক্রম যেমন অফিস, চিকিৎসা, যোগাযোগ, অর্থ লেনদেন, কেনাকাটা, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষাসহ সকল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা অনলাইনভিত্তিক। সরকার এই সেবাকে জরুরী সেবা হিসেবে সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করে সকল কার্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে করতে বলছেন। অথচ অনলাইন সেবা থেকে দেশের ৫০ শতাংশ নাগরিকই বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সে বলেছেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকবে। সরকার ও বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ভিত্তিক লেখাপড়া করতে। কিন্তু দেশের অধিকাংশ নাগরিক যখন অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত তাহলে কিভাবে দেশের সকল শিক্ষার্থী অনলাইন সেবা পাবে এটি অবশ্যই একটি প্রশ্নের বিষয়।
সংগঠনটির পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে বলা হয়, ১৭ কোটি নাগরিককে সেবা দেয়ার জন্য টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট ব্যবস্থা, সেই সাথে গ্রাহকদের সামর্থ্য ও সক্ষমতাই ঘাটতি রয়েছে। দেশে প্রায় ১৬ কোটি সিম সক্রিয় রয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি। তার মধ্যে মুঠোফোন ভিত্তিক ব্যবহাকারীর সংখ্যা প্রায় ৯ কোটি ৪০ লাখ। বাকিরা ব্রডব্যান্ড ভিত্তিক ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। দেশের অধিকাংশ নাগরিকের হাতেই স্মাটফোন নেই। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ৫০ শতাংশ নাগরিক অনলাইন সেবা থেকে বঞ্চিত।
মহিউদ্দিন আহমেদ অপারেটরদের নিম্নমানের ইন্টারনেট সেবার তথ্য তুলে ধরে বলেন, দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের সক্ষমতার দিকে তাকালে দেখা যাবে ২০ লাখ গ্রাহককে সেবা দিতে এক মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করছে। অথচ অনেক দেশ আছে যেখানে ১ কোটি গ্রাহককে সেবা দিতে ৬০ থেকে ১০০ মেগাহার্জ তরঙ্গ ব্যবহার করে থাকে। অল্প তরঙ্গ ব্যবহার করে সেবা দেবার ফলে সেবার মান কি হচ্ছে তা সহজেই অনুমেয়। ধীরগতির ইন্টারনেটের ফলে প্রান্তিক পর্যায়ে ফোর জি তো দূরে থাক থ্রি জি পাওয়াই দুস্কর হয়ে পড়েছে। ডেটার অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ইন্টারনেট ব্যবহার ধীরগতি গ্রাহককে চরম ভোগান্তিতে ফেলছে।
্মুঠোফোন এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কয়েকটি প্রস্তাবনা তুলে ধরে বলা হয়, অধিক তরঙ্গ ব্যবহার করে নেটওয়ার্ক তৈরী করা। মোবাইল ডিভাইস প্রাপ্তিতে প্রতিবন্ধকতা দূর করে অপারেটরদের মাধ্যমে সহজ কিস্তির মাধ্যমে জামানতবিহীনভাবে গ্রাহকের হাতে পৌঁছানো। আইএসপি অপারেটরদের ফিক্সড ইন্টারনেট প্রদানের ক্ষেত্রে জামানতবিহীন সংযোগ প্রদান করা। সেই সাথে প্রতিটি সংযোগে মাসিক চার্জ সর্বোচ্চ ২০০ টাকার অতিরিক্ত না নেওয়া। প্রতিটি স্কুল-কলেজকে অনলাইন সেবার আওতায় আনা। সেই সাথে প্রতিটি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে প্রত্যেকটি ছাত্র-ছাত্রীর যোগাযোগ নিশ্চিত করে শ্রেণী ক্লাস ও পরীক্ষা নিশ্চিত করা। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।