পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মোকাবেলায় ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের কি পরিমাণ নিরাপত্তা সরঞ্জাম প্রয়োজন সেই তালিকা এক মাসেও আদালতে দাখিল করেনি স্বাস্থ্য অধিদফতর। এমনকি এক মাসেও গঠন করা হয়নি আইনের আলোকে আদালত নির্দেশিত ‘উপদেষ্টা কমিটিও’। তবে নির্দেশনা অগ্রাহ্য করার দায়-দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদেরই নিতে হবে বলে জানিয়েছেন এ সংক্রান্ত রিটের আইনজীবী।
আদালত সূত্র জানায়, করোনার সংক্রমণ রোধে ডাক্তার, নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তায় পিপিই, মাস্কসহ প্রয়োজনীয় উপকরণের তালিকা প্রণয়ন, সেই অনুযায়ী উপরকণ সংগ্রহ এবং সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্র্ট। ‘হিউম্যানন রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র পক্ষে অ্যাডভোকেট এখলাসউদ্দিন ইয়ার করা রিট পিটিশনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল এবং বিচারপতি সরদার মো.রাশেদ জাহাঙ্গীরের ডিভিশন বেঞ্চ গত ২২ মার্চ এ নির্দেশ দেন। নির্দেশনায় আদালত করোনা সংক্রমণ রোধে কি কি উপকরণ প্রয়োজন তা নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করতে বলা হয়।
এ কমিটির সদস্য হবেন,স্বাস্থ্য সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ওষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআরের পরিচালক ও সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরের পরিচালক। এ কমিটিকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সংক্রমণ প্রতিরোধী উপকরণের তালিকা তরির নির্দেশ দেয়া হয়। সেই তালিকা ধরে ৭ দিনের মধ্যে উপকরণ সংগ্রহ ও সরবরাহ করতে বলা হয়। আর এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিতেও বলা হয়।
এ নির্দেশনার দু’দিন পর করোনার কারণে বন্ধ হয়ে যায় হাইকোর্ট। এ বিষয়ক পরবর্তী শুনানি আর হয়নি। তবে ২৪ মার্চ স্বাস্থ্য অধিদফতর আদালতে দাখিলের উদ্দেশ্যে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে একটি প্রতিবেদন জমা দেয় বলে জানা গেছে। কিন্তু কি আছে ওই প্রতিবেদনে-সেটি প্রকাশ করা হয়নি। তবে রিটের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ গতকাল সোমবার ‘ইনকিলাব’কে বলেন, সরকার আদালত বন্ধের আগেই একটি প্রতিবেদন জমা দিয়েছে বলে শুনেছি। করোনা মোকাবেলায় ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের কি কি উপকরণ দরকার তার একটি তালিকা করার কথা ছিলো। এ লক্ষ্যে আইনে নির্দেশিত পদ্ধতিতে একটি উপদেষ্টা কমিটিও করার কথা। কমিটি করেছে কি না আমি জানতে পারিনি। তালিকা করেছে কিনা তাও জানি না। করলে নিশ্চয়ই এটি মিডিয়ায় আসতো। তাই আইনানুগ কোনো কমিটি গঠন হয়নি বলেই আমার মনে হয়। যদি নির্দেশনা অনুসরণ না করে তাহলে এর দায়-দায়িত্ব ব্যক্তিগতভাবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ওপর বর্তায়। বিষয়টি আদালত খুললে আমরা দেখবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।