Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাফরুল্লাহ ও ওষুধ প্রশাসন মুখোমুখি

ইস্যু করোনা শনাক্তকরণ কিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ কিট নিয়ে গণস্থাস্থ্য কেন্দ্র ও ওষুধ প্রশাসন মুখোমুখি অবস্থানে চলে গেছে। গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাস শনাক্ত করার আবিষ্কৃত কিট অনুমোদনের ক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে জাফরুল্লাহ চৌধুরীর এমন অভিযোগ প্রত্যাখান করেছেন ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর।
সংস্থাটির ডিজি মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান বলেছেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রকে সর্বাত্মক সহযোগিতায় প্রস্তুত ছিলাম, এখনও আছি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) নির্দেশনা না মানায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ওষুধ প্রশাসন যায়নি।

এর আগে গত শনিবার করোনাভাইরাস শনাক্তকরণ টেস্ট কিটের স্যাম্পল হস্তান্তর করেছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং ঘুষ দুর্নীতির প্রসঙ্গ টেনে বলেন, আমি কাউকে ঘুষ দিয়ে কিট টেস্টের জন্য দেব না। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর ব্যবসায়িক কারণে জাতীয় স্বার্থের বিপক্ষে কাজ করছে। নানা অজুহাত দেখিয়ে গণস্বাস্থ্যের করোনা পরীক্ষার কিট গ্রহণ করেনি।

জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অভিযোগের জবান দেয় ওষুধ প্রশাসন। গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের ডিজি বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র যেটা বলছে সেটা সঠিক নয়। ওনারা যখন যেভাবে চেয়েছেন আমরা সহযোগিতা করেছি। ওনারা একটা টেস্ট ডেভেলপ (উদ্ভাবন) করেছেন। আমরা সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত ছিলাম। ওনারা বলছেন ওনাদের কাজ শতভাগ সফল। সেটি ট্রায়াল করতে হবে। বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) থেকে রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আমরা পদক্ষেপ নিব। কিন্তু তারা বিষয়টিকে অসত্যভাবে উপস্থাপন করে ওষুধ প্রশাসনকে মানুষের কাছে হেয় করছেন। এটা দুঃখজনক। আমি অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করছি।

এদিকে ‘গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উদ্ভাবিত কিটের পরীক্ষা ও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় সরকারের অনীহা ও চিকিৎসকদের হয়রানি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের ৫৫ জন নাগরিক। নিজ নিজ ক্ষেত্রে অবদান রাখা অধ্যাপক, চিকিৎসক, লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনৈতিক কর্মী, আইনজীবী, মানবাধিকার কর্মী, নারী আন্দোলন কর্মী, শিল্পী ও আলোকচিত্রীরা বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন। তারা বলেছেন, জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জনসমক্ষে হেয় প্রতিপন্ন ও তার উদ্যোগকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা চলছে।

৫৫ নাগরিক গতকাল বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের দ্রæত বিস্তার রোধে সরকারের প্রতিকার এবং প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সীমাবদ্ধতা দেশের মানুষকে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। সমাজ ভিত্তিক গণস্বাস্থের করোনা কিটের পরীক্ষা, অনুমোদন ও উৎপাদনের অনুমতি প্রদানে সরকারের অনীহা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জনসমক্ষে ‘মিডিয়া ট্রায়াল’ করে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, অধ্যাপক আকমল হোসেন, অধ্যাপক আহমেদ কামাল, অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ডা. নায়লা জামান খান, অধ্যাপক মেঘনা গুহঠাকুরতা, ফরিদা আক্তার, অধ্যাপক গীতি আরা নাসরিন, অধ্যাপক সৌভিক রেজা, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ