Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ০৪ জুলাই ২০২৪, ২০ আষাঢ় ১৪৩১, ২৭ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

লক্ষাধিক বাংলাদেশিকে ফেরাতে বাড়ছে চাপ

করোনা প্রাদুর্ভাবে মালদ্বীপে গৃহবন্দি

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ২৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০২ এএম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে পর্যটন নির্ভর মালদ্বীপে লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মীকে দেশে ফেরাতে বাড়ছে চাপ। দেশটির পর্যটন খাত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এসব বাংলাদেশি কর্মী চরম খাদ্য সঙ্কটের মুখে পড়েছে। দেশটির পক্ষে কর্মহীন এসব কর্মীদের তিন বেলা খাওয়ানো মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাদের পরিবার পরিজনরাও চরম উৎকন্ঠায় দিন কাটাচ্ছে। মালদ্বীপ সরকার দেশটিতে বসবাসকারী এক লাখ বিশ হাজার বাংলাদেশিকে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ সরকারের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত চার মাস ধরে মৎস্য আহরণ ছাড়া অন্য ধরনের অর্থনৈতিক কার্যক্রম নেই দেশটিতে। দেশটিতে এক লাখ বিশ হাজার বাংলাদেশি পর্যটন খাত, সেবাসহ বিভিন্ন সার্ভিস সেক্টরে কাজ করতো। বর্তমানে বেকার অভিবাসী কর্মীদের নিয়ে বেকায়দায় রয়েছে দেশটির সরকার। মালদ্বীপ সরকার এসব বাংলাদেশিদের দ্রিত ফেরত নিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চাপ দিচ্ছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, পাঁচ লাখের কিছু বেশি জনসংখ্যার মালদ্বীপে পর্যটন ও মৎস্য শিল্প ছাড়া অন্য তেমন কোনও শিল্প নেই। কৃষিপণ্যের প্রায় প্রতিটি তাদের আমদানি করতে হয়। এই পরিস্থিতিতে লক্ষাধিক বিদেশিকে কোনও কাজ ছাড়া তাদের পক্ষে খাওয়ানো মুশকিল বলে তারা আমাদের জানিয়েছেন। ইতোমধ্যে আমরা তাদের খাদ্য সহায়তা দিয়েছি এবং সব বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
গতকাল সোমবার প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমদ মনিরুছ সালেহীন এক প্রশ্নের জবাবে ইনকিলাবকে বলেন, এক সময়ে মালদ্বীপে কর্মরত বাংলাদেশিরা ভালোই ছিল। অতিরিক্ত সচিব বলেন, চলমান সঙ্কটকালে কিছু দেশ থেকে প্রবাসীদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া চলছে। তার মধ্যে মালদ্বীপের নামও রয়েছে। এ ব্যাপারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সমন্বয় করছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রবাসীদের ব্যাপার নিয়ে এ যাবত আমরা চারটি মিটিং করেছি। আরো মিটিং করা হবে। প্রবাসীদের সর্ম্পকে কথা বলার জন্য গতকাল মালদ্বীপস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব টি কে এম মুশফিকুর রহমানের মোবাইলে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ