বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের নাকাইহাটে হাট-বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বসতবাড়ি এবং মোটর গ্যারেজে দফায় দফায় সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ১০জন আহত সহ প্রায় ৩৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতির অভিযোগ করা হয়েছে ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্র জানিয়েছে, উপজেলার নাকাইহাট ইউনিয়নের নাকাইহাট-বাজারের ইজারা ও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান সান এর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান মেসার্স সান ট্রেডার্স সহ তাঁর আতœীয় ও ব্যবসায়ীক পার্টনারদের সাতটি দোকানে গত শনিবার ও রবিবার দফায় দফায় হামলা করে স্থানীয় কুঞ্জ নাকাই গ্রামের আসকর আলী ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য যুবলীগ নেতা সাজু মিয়া ও তাঁর লোকজন।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী সাদেকুর রহমান সান জানান, পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস আগে সে আমার ভাগিনাকে মারপিট করে পায়ের রগ কেটে দিয়েছিল। এরপর সে ঘটনায় পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। বর্তমানে সে আদালত থেকে জামিনে বেড়িয়ে আসে এবং হাট-বাজার ইজারা সংক্রান্ত বিষয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে দুই দিনে দফায় দফায় ৮০/৯০জন লোক নিয়ে আমার নিজের, আমার ভাইয়ের এবং আমার ব্যবসায়ীক পার্টনাদের সাতটি দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর করেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের হামলায় দোকানের কর্মচারীসহ ১০জন আহত হয়।
রবিবার দুপুরে তাঁরা সান ট্রেডার্সের মালিকানাধীন একটি গ্যারেজে রাখা মাইক্রোবাস, পিকআপ ভ্যান সহ বেশ কয়েকটি যানবাহন ভাংচুর করে। এরপর তাঁরা সন্ত্রাসী কায়দায় একে একে সাদেকুর রহমান সান এর ভাই এবং ব্যবসায়ীক পার্টনারদের সাতটি দোকানে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট ও ভাংচুর চালায়। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী এ হামলায় স্থানীয় লোকজন আতংকিত হয়ে পড়ে। খবর পেয়ে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় স্থানীয় মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখাদিলে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ প্রধান, সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজির হোসেন ও গোবিন্দগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম মেহেদী হাসান সহ অন্যান্য কর্মকর্তার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকলকে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোবিন্দগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আফজাল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এ বিষয়ে থানা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই হামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁরা হলো ওই এলাকার গোলজার মন্ডলের পুত্র আবু রায়হান মন্ডল (২৫), সাহেব আলীর পুত্র হাবিব মিয়া (২৫), মহির উদ্দিনের পুত্র মোখলেছুর রহমান (৩৬) এবং ফুল মিয়ার পুত্র রফিকুল ইসলাম (২৮) কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।