পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ২০১৪-১৫ অর্থবছরে টাকার অঙ্কে শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে। পুঁজিবাজারকে সহায়তা দিতে এমনটি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। আইসিবি সবচেয়ে বেশি বিনিয়োগ করেছে কেমিক্যাল ও ওষুধ খাতে। এর পর জ্বালানি খাত। সবচেয়ে কম বিনিয়োগ করেছে পেপার ও প্রিন্টিং খাতে। আলোচ্য বছরে শেয়ার ক্রয়ের পরিমাণ বাড়ালেও মার্জিন ঋণের পরিমাণ কমেছে। পুঁজিবাজারকে সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে গঠিত প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ক্রয় বাড়ানোর বিষয়টি ইতিবাচকভাবে দেখছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সাবেক চেয়ারম্যান মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, আইসিবির শেয়ার ক্রয় বাড়ানো শেয়ারবাজারের জন্য ইতিবাচক। শেয়ারবাজারকে সাপোর্ট দেয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটি এই বিনিয়োগ বাড়িয়েছে বলে মনে হয়। যা সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসাবে আইসিবির নৈতিক দায়িত্ব। আইসিবির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ২ হাজার ২২২ কোটি টাকার শেয়ার ক্রয় করেছে। যা এর আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৯৯ কোটি টাকা বেশি। আলোচ্য অর্থবছরে আইসিবি বিক্রয় করেছে ৬১৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি বিক্রির তুলনায় সাড়ে তিনগুণ বা ১ হাজার ৬০৩ কোটি ১৭ লাখ টাকার বেশি শেয়ার কিনেছে। এর আগের অর্থবছরে (২০১৩-১৪) প্রতিষ্ঠানটি ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকার শেয়ার ক্রয় করেছিল। এর বিপরীতে বিক্রি করেছে ৬৭৫ কোটি ৭৪ লাখ টাকার শেয়ার। অর্থাৎ ওই অর্থবছরে শেয়ার বিক্রির তুলনায় ক্রয় বেশি ছিল ১ হাজার ৯২৩ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এ হিসাবেও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৪-১৫ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটির শেয়ার ক্রয় বেড়েছে। আইসিবি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে ১ হাজার ৪৯৩ কোটি ৯২ লাখ টাকা বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির ২০১৫ সালের ৩০ জুনে তালিকাভুক্ত কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের পরিমাণ ৬ হাজার ৩৭৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আগের বছর এই বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৮৮২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। আইসিবি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শেয়ার ব্যবসা থেকে ৪৭২ কোটি ৮২ লাখ টাকা মুনাফা করেছে। আগের বছরে যা ছিল ৪৪১ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। এ হিসাবে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে শেয়ার ব্যবসা থেকে মুনাফা বেড়েছে ৩১ কোটি ৯ লাখ টাকা। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে আইসিবির মার্জিন ঋণের পরিমাণ কমেছে। অর্থবছর শেষে মার্জিন ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩৮১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। যা আগের বছরে ছিল ৪০৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আইসিবি পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ১৯টি খাতের কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে। এই কোম্পানিগুলো থেকে শেয়ার ক্রয়ে ব্যয় হয় ৫ হাজার ৭৯৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে এগুলোর বাজারমূল্য দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৩৭৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতিষ্ঠানটির আন-রিয়েলাইজড গেইন রয়েছে ৫৭৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। আইসিবির সব থেকে বেশি বিনিয়োগ রয়েছে কেমিক্যাল ও ওষুধ খাতে। এ খাতে বিনিয়োগের পরিমাণ ১ হাজার ৫২১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। আগের বছরে এ খাতে বিনিয়োগ ছিল ৭৯১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া জ্বালানিতে ১ হাজার ১০১ কোটি ৬৩ লাখ, ব্যাংকে ৭৩৬ কোটি ১৬ লাখ, খাদ্য ও বিবিধে ৫৩৯ কোটি ৫১ লাখ, টেলিকম খাতে ৫৩৫ কোটি ৯৬ লাখ, সিমেন্ট খাতে ৫২১ কোটি ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। সবচেয়ে কম বিনিয়োগ রয়েছে পেপার ও প্রিন্টিংয়ে ৩৪ লাখ ৬২ হাজার টাকা। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানিতে আইসিবির বিনিয়োগ রয়েছে ২৫৩ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এ বিনিয়োগ সাধারণত প্লেসমেন্টের মাধ্যমে করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।