Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

সচিবালয়ে নীরবতা ভেঙেছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণে সাধারণ ছুটি কয়েক দফায় বৃদ্ধি করা হলেও জরুরি সেবার সরকারি প্রায় সব অফিস খুলেছে। প্র্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র সচিবালয়ে সীমিত পরিসরে লোকবল দিয়ে জরুরি সেবার কাজ শুরু করেছে কর্মকর্তারা। এদিকে দীর্ঘ প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার কারণে প্রশাসনের প্রাণকেন্দ্র ছিল নীরব, নিশ্চুপ।

সাধারণ কর্মদিবসে যেখানে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার কর্মব্যস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারী-দর্শনার্থীর পদচারণায় মুখরিত থাকে। সেখানে করোনাভাইরাসের প্রভাবে সরকারের সাধারণ ছুটিতে খাঁ খাঁ করছে সচিবালয়। যে সব মন্ত্রণালয় খুলছে সেই সব মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে শুধু করোনা নিয়ে আলাপ আলোচনা করতে দেখা গেছে। সেখানে নেই কোনো কোলাহল, নেই কোনো গাড়ির জট। নেই কোনো দর্শনার্থী। সব মিলে নীরবতা ভেঙে সচিবালয় প্রাণ ফিরে পেয়েছে।

গতকাল রোববার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ইনবিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপকতা বৃদ্ধির কারণে সাধারণ ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। কিন্তু দেশের জনগণের নাগরিক সেবা দেয়ার জন্য সরকারি কর্মকর্তারা অফিস করছেন। প্রধানমন্ত্রী সব সময় তা মনিটরিং করছেন।

ছুটিতেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা অফিস করছেন। গতকাল বেলা ১২টার সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও সচিব, কৃষি মন্ত্রী ও সচিব, তথ্যমন্ত্রী ও তথ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সচিব, প্রাণিসম্পদ সচিব, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী, দুর্যোগ ব্যবস্থপনা ও ত্রাণ সচিব, বাণিজ্য সচিব অফিস করেছেন।

দুর্যোগকালীন সময়ে সহায়তা দিতে সরকারের কাজ অব্যাহত রাখার অংশ হিসেবে কিছু অফিস খোলা রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ত্রাণ নিয়ে অনিয়ম এখন নিয়ন্ত্রণে আছে। ত্রাণ নিয়ে কোনো অনিয়ম সহ্য করা হবে না। কৃষি মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগে থেকেই মাঠ পর্যায়ের অফিসগুলো খোলা ছিল। এখন মন্ত্রণালয়ের বেশিরভাগ ডেস্কের কর্মকর্তা-কর্মচারী অফিস করছেন।

গতকাল (২৬ এপ্রিল) থেকে আগামী ৫ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করে গত ২৩ এপ্রিল সরকারি আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এই ছুটিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অধীন দপ্তরসহ ১৮টি মন্ত্রণালয়-বিভাগের দপ্তরসমূহ সীমিত পরিসরে খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, জনগণের জন্য জরুরি সেবায় প্রায় সব অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছে। এখন থেকে অফিস চলবে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় খোলা রাখা সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গতকাল (২৬ এপ্রিল) থেকে সরকারি দাপ্তরিক সময়সূচি অনুযায়ী যথারীতি খোলা থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক, প্রকল্প পরিচালক, পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালক এবং সকল উইংয়ের সমপর্যায়ের কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিসে উপস্থিত থাকবেন। মহাপরিচালক এবং উইং প্রধানদের পর্যালোচনা করে নিজ নিজ উইংয়ের সাপোর্ট স্টাফের দৈনিক উপস্থিতি সংখ্যা নির্ধারণ করার নির্দেশনা দিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উইং বা শাখায় কর্মরত সাপোর্ট স্টাফের ২৫ শতাংশের বেশি না হওয়াই বাঞ্ছনীয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ