পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা সংকটের মধ্যেই মন্ত্রিসভা এবং প্রশাসনের বড় বড় কর্মকর্তাদের মধ্যে রদবদল আসছে। চলতি মাসে না হলে ঈদের পর পরই স্বল্প পরিসরে মন্ত্রিসভায় পরিবর্তন আনার সম্ভবনা রয়েছে বলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে। যেসব মন্ত্রণালয় করোনা সংকট পরিস্থিতির সঙ্গে সরাসরি সসম্পৃক্ত সেগুলোতেই রদবদলের সম্ভাবনা বেশি। দায়িত্বপালনে হিমশিম ও তদারকির ব্যর্থতার কারণে এসব মন্ত্রণালয়ের একাধিক মন্ত্রীকে সরিয়ে দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে। এদিকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ ৫/৬জন সচিব আগামী মাসে অবসরে যাচ্ছেন। এ বছর সরকারের বেশ কয়েকজন চৌকস ও বিশ্বস্ত সচিব অবসরে যাবেন। আগামী মাসে সচিব পদে বড় ধরনের নিয়োগ আসছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামীলীগের এক প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান,করোনাভাইরাস আমাদেরকে একটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস কাজ করছেন। নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিন্তু তার ওইসব নির্দেশনা সবাই সঠিকভাবে অনুসরণ করতে পারছেন না। তিনি বলেন, এতে সমস্যার সমাধান হতে গড়িমসি হচ্ছে। তাই আমরাও শুনছি হয়তো স্বল্প পরিসরে মন্ত্রিসভায় রদবদল হতে পারে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের ওপর। কারণ কাকে দিয়ে মন্ত্রণালয় ভালো চলবে আর কাকে দিয়ে চলবে না এটা তাঁর থেকে আর কেউ ভালো বলতে পারবেন না।
অন্যদিকে বিভিন্ন জেলায় খাদ্য সামগ্রী বিতরনে সঠিক নির্দেশনা মানতে না পারায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রদবদল আনা হতে পারে। করোনা সংকটকালে মন্ত্রিসভা ও দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যারা রয়েছেন, তাদের বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে হাইকমান্ড। এছাড়া সারাদেশ ৬৪জন সচিবকে দায়িত্ব দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। এসব সচিবের ৬৪ জেলার রিপোর্ট আসার পরে হয়তো মন্ত্রিসভায় রদবল হতে পারে।
বর্তমান সরকারর মন্ত্রিসভায় ৪৮ সদস্য এর মধ্যে পূর্ণ মন্ত্রী ২৫, প্রতিমন্ত্রী ১৯ ও উপমন্ত্রী ৩ জন রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে আছে জনপ্রশাসন এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যারা আছেন তারা হলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক, শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চলতি বছরের ১৩ই ফেব্রুয়ারি মন্ত্রিসভায় সর্বশেষ রদবদল করা হয়। ওইসময় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান খসরুকে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়। এছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।