পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকানোর লকডাউন না মানায় রাজধানীর স্বামীবাগে ইসকন মন্দিরের পুরোহিত, সেবায়েতসহ ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে ইসকন মন্দিরটি লকডাউন করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে ইসকন অনুসারীদের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর শনিবার রাতে মন্দিরটি লকডাউন করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবকিছুই যখন বন্ধ, মানুষ ঘরবন্দি; তখনো ইসকন অনুসারীরা নিজেদের মতো করে চলাফেরা করেছে। কয়েকজন ভারতীয় আসায় সবাই এক সঙ্গে মন্দিরে অবস্থান করেছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারাদেশে সরকারি ছুটি চলছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সরকার থেকে মানুষকে বাধ্য করা হচ্ছে। এমনকি সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করতে সব ধর্মীয় উপাসনালয়ে লোকজন কম যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সামাজিক দূরত্ব রক্ষার প্রয়োজনে শুক্রবার জুম্মায় মুসুল্লিদের না যেতে এবং রমজান মাসেও মসজিদে তারাবিহর নামাজ ১২ জনের বেশি না পড়ার কঠোর নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। ঘরেই তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য রোজাদারদের অনুরোধ করা হয়। নির্দেশ অমান্য করলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। সরকারের এ নির্দেশনা সবাই মানলেও দেশের ইসকন সম্প্রদায় মানেনি। তারা করোনা মহামারীতে লকডাউনের মধ্যেই সরকারের নির্দেশ অমান্য করে মন্দিরে দলবদ্ধভাবে অবস্থান করেছেন। এতে করে সংক্রমণ রোগ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার স্বামীবাগের ইসকন মন্দিরে ৩৬ জন।
স্থানীয় ভাবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মন্দিরে কিছুদিন আগে ভারত থেকে ইসকন অনুসারী কয়েকজন লোক আসেন। তাদের মাধ্যমেই ভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আগ্ েথেকেই মন্দিরে পুলিশি পাহারা বসানোই ছিল। স্থানীয়দের মন্দিরের আশেপাশে কাউকে যাতায়াত করতে দেয়া হয়নি। স্বামীবাগের আশপাশের বাসিন্দারা জানান, ইসকন মন্দিরে তিনশ’র বেশি লোক অবস্থান করছে। আক্রান্তের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ্ ইফতেখারুল ইসলাম বলেন, মন্দিরে এই ৩৬ জনই অবস্থান করছিলেন। এর মধ্যে কয়েকজনের সর্দি কাশি হলে সবার করোনা পরীক্ষা করায় মন্দির কর্তৃপক্ষ। প্রথম পরীক্ষায় সবারই করোনা ‘পজিটিভ’ এসেছে। আজ (সোমবার) দ্বিতীয় দফায় পরীক্ষা করানো হবে। পুলিশের একজন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মন্দিরের নিরাপত্তার তত্ত্বাবধানে ছিলেন। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
গেন্ডারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজু মিয়া বলেন, ইসকন কর্তৃপক্ষ বহু আগেই মন্দিরে বাইরের কারও প্রবেশ বন্ধ করে দিয়েছিল। যারা ছিলেন তারা সব সময় ভিতরেই অবস্থান করতেন। এখন ইসকন মন্দির লকডাউন করা হয়েছে। দাপ্তরিকভাবে আমরা ৩৬ জন করোনাভাইরাসে আক্রন্ত হওয়ার তথ্য পেয়েছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।