পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার মধ্যেই ভার্চুয়াল কোর্ট চালুর বিষয়ে হাইকোর্টের বিধি সংশোধনে মহামান্য প্রেসিডেন্টের কাছে আবেদন জানাবে সুপ্রিম কোর্ট। ওই সংশোধনীতে ‘ভার্চুয়াল কোর্ট’ স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে অধ্যাদেশ জারির অনুরোধ জানানো হবে। এর আগে এ বিষয়ক একটি কমিটি গঠন করা হবে।
গতকাল রোববার সুপ্রিম কোর্ট ফুলকোর্ট সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ সভায় সভাপতিত্ব করেন। ভার্চুয়াল এ সভায় আপিল বিভাগের বিচারপতি এবং হাইকোর্ট বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি অংশ নেন।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্র্টের স্পেশাল অফিসার ব্যারিস্টার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান জানান, গতকাল রোববার ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে ফুলকোর্ট সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় একটি অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে ভার্চ্যুয়াল কোর্ট স্থাপন করতে মহামান্য প্রেসিডেন্টকে অনুরোধ জানানোর সিন্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সেই সঙ্গে হাইকোর্ট বিভাগের রুলস সংশোধন করে ভার্চ্যুয়াল আদালত স্থাপনের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফুলকোর্ট সভা।
এ সভায় আপিল ও হাইকোর্ট উভয় বিভাগের অধিকাংশ বিচারপতি অংশ নেন। তিনি আরও জানান, ইতোপূর্বে গৃহিত সীমিত পরিসরে আদালত চালুর সিদ্ধান্ত স্থগিত থাকবে। হাইকোর্টের বিধি সংশোধনের পর ভার্চ্যুয়াল স্থাপনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ।
সিদ্ধান্তহীনতায় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন
করোনা প্রকোপে আদালত চালুর প্রশ্নে সিদ্ধান্তহীন কিংকর্তব্য বিমূঢ় হয়ে পড়েছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে বিভাগটির গুরুত্ব যেমন তীব্র-তেমনি করোনা সংক্রমণরোধে সংশ্লিষ্টদের নিরাপত্তার স্বার্থেই বিভাগ চালু করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে একবার সীমিত পরিসরে চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিলেও পরিস্থিতি বিবেচনায় স্থগিত করা হচ্ছে সেই সিদ্ধান্ত।
এভাবে গত এক মাস ধরেই এক ধরণের সিদ্ধান্তহীনতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে উদ্ভ‚ত পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে অন্যান্য বিচারপতিগণের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।
সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল দফতরের তথ্যমতে, গত ২৪ মার্চ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ২৯ মার্চ থেকে ২ এপ্রিল পর্যন্ত দেশের সব আদালতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। গত ২৩ এপ্রিল ছুটি বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। গতকালের সিদ্ধান্ত অনুসারে এই স্থগিতাদেশ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রার জেনারেল দফতরের তথ্যমতে, করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে গত ২৬ মার্চ থেকে ৫ দফা সাধারণ ছুটি বাড়ানো হয়। ফলে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে আদালত বন্ধ রয়েছে।
করোনা বিস্তারের শুরুতে সীমিত পরিসরেও আদালতের কার্যক্রম চালু না রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন। তবে শুধুমাত্র দৈনন্দিন গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার স্বার্থে চালু রাখা হয় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট। কিন্তু এতে নতুন গ্রেফতার হওয়া আসামি, কারাবন্দি আসামিদের জামিন সম্ভব হচ্ছিল না। এ প্রেক্ষিতে আইনজীবীদের একটি অংশ নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার প্রয়োজনে যেকোনো আদলে আদালত চালু করার অনুরোধ জানান।
এ প্রেক্ষিতে গত ২৩ এপ্রিল জেলা ও দায়রা জজ, মহানগর দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্রেট আদালত এবং চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কার্যক্রম সপ্তাহে দুই দিন পরিচালনার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া সিদ্ধান্ত হয় হাইকোর্টের একটি একক বেঞ্চ, আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টও চালুর। কিন্তু করোনা ভয়াবহ বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্তকে ‘আত্মঘাতি’ হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা আসতে থাকে বিচার বিভাগ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে। পরে ২৫ এপ্রিল এ সিদ্ধান্ত ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। গতকাল রোববার অনুষ্ঠিত ‘ফুলকোর্ট সভায় স্থগিতাদেশ ৫ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সীমিত পরিসরে আদালত চালুর উদ্যোগও স্থগিত থাকছে।
এর আগে সকালে জনসমাগম এড়াতে শুধুমাত্র ভার্চ্যুয়াল কোর্ট চালুর অনুরোধ জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন জানায় সুপ্রিম কোর্ট বার। এছাড়া গতকাল সকালে আদালত সংশ্লিষ্ট সর্বস্তরের কর্মকর্তা,কর্মচারি, আইনজীবী,সহকারি,বিচারপ্রার্থী, নিরাপত্তাকর্মীদের জীবন রক্ষায় আদালত বন্ধের দাবি জানিয়ে প্রধান বিচারপতির কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ‘সাধারণ আইনজীবীদের অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ নামক একটি সংগঠন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।