Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পঞ্চগড়ের টমেটো যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে

পঞ্চগড় জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৬ পিএম

করোনা পরিস্থিতির কারণে ক্ষতির মূখে পড়া টমেটো চাষিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসন। পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় তারা টমেটো কেনার জন্য শরিয়তপুর থেকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় ৩৮ জন বেপারিকে পঞ্চগড়ে নিয়ে এসেছেন। এসব বেপারিকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হলেও তারা তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমে টমেটো কেনা শুরু করার বাড়তে শুরু করেছে কাঁচা টমেটোর দাম। এসব বেপারীর কেনা টমেটো আড়তে পাকিয়ে গত শনিবার রাতে পঞ্চগড় সদর উপজেলা থেকে প্রশাসনের ব্যবস্থাপানায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে গেছে ৬/৭ টি ট্রাক। এসময় জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার সাদাত সম্রাট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আব্দুল মান্নান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক আবু হানিফ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। তারা টমেটো বিক্রির ব্যবস্থাপনা ও বিভিন্ন আড়ত ঘুরে দেখেন। এ সময় তারা চাষিদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির বিষয়ে কোন সমস্যা হলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
পঞ্চগড় জেলায় এবার গ্রীষ্মকালীন উন্নত জাতের টমেটো চাষ হয়েছে ৯৩০ হেক্টর জমিতে। ফলনও হয়েছে ভাল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে টমেটো বিক্রি করা নিয়ে বিপাকে পড়েন চাষিরা। অনেকের টমেটো ক্ষেতেই নষ্ট হতে শুরু করে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি টমেটো দুই থেকে আড়াই টাকা দরে বিক্রয় করে তাদের যাতায়াত খরচও উঠত না। বাইরে থেকে বড় বেপারিরা টমেটো কিনতে আসতে না পারায় এই সংকট তৈরি হয়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ ও প্রচার হলে টমেটো চাষিদের সহায়তায় এগিয়ে আসে জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা শরিয়তপুর থেকে ৩৮ জন বেপারিকে বিশেষ ব্যবস্থাপনায় পঞ্চগড়ে আনার ব্যবস্থা করেন। পঞ্চগড়ে এনেই তাদের একটি আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়। কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ শেষ হলেই তারা মাঠে গিয়ে সরাসরি চাষিদের কাছ থেকে টমেটো কিনতে শুরু করবেন। এরমধ্যেই তারা স্থানীয় প্রতিনিধি দিয়ে টমেটো কেনা শুরু করে দিয়েছেন। বেড়ে গেছে টমেটোর দামও। আগে ১’শ টাকা মণ দরে বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩’শ টাকা মণ। পুরোদমে বেপারিরা টমেটো কেনা শুরু করলে টমেটোর দাম আরও বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী বলেন, লকডাউনে মানুষের মধ্যে একটা ধারণা তৈরি হয়েছে যে কোন কৃষি পণ্য আনা নেয়া করা যাবে না। আমরা চাষী, ব্যবসায়ী সবাইকে আশ^স্ত করতে চাই কৃষি পণ্য পরিবহণে কোন বাঁধা নেই। চাষিদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রির বিষয়ে যে কোন সমস্যায় পুলিশ সহযোগিতা করবে বলেও আশ্বস্ত করেন তিনি।
জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, চাষিরা যেন তাদের উৎপাদিত পণ্যের ভাল দাম পায় আমরা সে বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছি। বাইরের বড় বড় বেপারিদের পঞ্চগড়ে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মধ্যেই টমেটোসহ অন্যান্য শাক সবজির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আগামি কয়েক দিনের ব্যবধানের কৃষকদের উৎপাদিত কৃষি পন্যের দাম বৃদ্ধি পেলে কৃষকরা সরাসরি লাভবান হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ