Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অবিরাম বর্ষন দক্ষিণাঞ্চলে উঠতি বোরো ধানের জন্য ঝুকি বৃদ্ধি করছে

বরিশাল ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৯ পিএম

বৈশাখের অবিরাম প্রবল বর্ষনে দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি জেলার মাঠে থাকা প্রায় সাড়ে ৩ লাখ হেক্টর জমির উঠতি বোরো ধানের জন্য মারাত্মক ঝুকি সৃষ্টি করছে। এবার বরিশাল বিভাগের ৬টি ও ফরিদপুর অঞ্চলের আরো ৫টি জেলায় প্রায় সোয়া ৩ লাখ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদের মাধ্যমে প্রায় ১৭ লাখ টন চাল সংগ্রহের লক্ষে কাজ করছেন কৃষকগন। কিন্তু ২০ এপ্রিল থেকে কালবৈশাখীতে ভর করে লাগাতর বৃষ্টিপাতে প্রধান দানাদার খাদ্য ফসল বোরো ধানের জন্য বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে বলে শংকিত কৃষকগন। গত কয়েকদিনের অবিরাম বর্ষনে অনেক বোরো ধানের জমিতে পানি জমতে শুরু করেছে। 

চলতি রবি মৌশুমে দেশে প্রায় ৪৮ লাখ ৬৬ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের মাধ্যমে ২ কোটি ৪ লাখ টন চাল উৎপাদনের লক্ষ নির্ধারন করেছে কৃষি মন্ত্রনালয়। আবাদ লক্ষ্যও অর্জিতও হয়েছে বলে জানা গেছে।
অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকা হওয়ায় দক্ষিণাঞ্চলে বোরোর আবাদ যথেষ্ঠ বিলম্বিত হওয়ায় ধান কর্তনও হয় দেরিতে। উত্তরবঙ্গ সহ হাওর অঞ্চলে ইতোমধ্যে ৫০Ñ৬৫% জমির বোরো কাটা শেষ হলেও বরিশাল বিভাগের ৬টি জেলায় কর্তন শুরুই হয়নি । ফরিদপুর অঞ্চলের ৫টি জেলার ১০% জমির ধানও কাটা হয়নি। বেশীরভাগ জমির ধানই সবুজ । তবে কিছু জমিতে সোনালী রঙ ধারন করতে শুরু করলেও তা কাটার উপযোগী হতে আরো ১৫-২০ দিন সময় লাগবে বলে কৃষকগন জানিয়েছেন।
কিন্তু এরই মধ্যে গত ২০ এপ্রিল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে হালকা থেকে মাঝারী কাল বৈশাখীতে ভর করে। গত এক সপ্তাহে বরিশালে প্রায় দেড়শ মিলিমিটার বৃৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। ফরিদপুর অঞ্চলেও প্রায় একই অবস্থা। অথচ বর্ষা মাথায় করে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌশুমী বায়ু দক্ষিন উপক’লে প্রবেশ করার কথা মে মাসের শেষ থেকে জুনের প্রথম সপ্তাহে।
গত ২০ এপ্রিল বরিশালে প্রথম কালবৈশাখীর বৃষ্টি হয়েছে ১২ মিলিমিটিার। এর পর থেকে প্রতিদিনই দুপর থেকে সন্ধার মধ্যে বৃষ্টিতে সয়লাব হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি থেকে বিশাল জনপদ। ২১ এপ্রিল বরিশালে ২মিলিমিটার, ২২ এপ্রিল ৯.৪ মিলি, ২৩ এপ্রিল ৬মিলি, ২৪ এপ্রিল ৫৫.২ মিলি, ২৫ এপ্রিল ৪৭.৮ মিলি এবং রবিবার এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত আরো প্রায় ২৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বরিশালে।
কৃষি মন্ত্রনালয় সার্বিক পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। বিষয়টি নিয়ে কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের বরিশাল অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের সাথে আলাপ করা হলে তিনি জানান, ‘গত এক সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এখনো ঝুাকপূর্ণ পরিস্থিতির সৃষ্টি না হলেও এ বর্ষন অব্যাহত থাকলে মাঠে থাকা বোরো ধানের জন্য ক্ষতির কারন হতে পারে’। তবে তিনি জানান, ‘এ বৃষ্টিপাত আউশ সহ বিভিন্ন রবি ফসলের জন্য যথেষ্ঠ উপকারী হবে। আউশের বীজতলা তৈরী থেকে রোাপন উপযোগী হতে জমিতে যে আদ্রতা প্রয়োজন, সেজন্য বৃষ্টির প্রয়োজন ছিল’ বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে এ বৃষ্টিপাতের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকলে তা কৃষিক্ষেত্রে দুঃসংবাদও বয়ে আনতেপারে’।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ