Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়া দৌলতপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে বিড়ি কারখানা

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৩:২৫ পিএম

কুষ্টিয়ারার দৌলতপুরে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে চলছে বিড়ি কারখানাসহ বিভিন্ন কারখানা। সেইসাথে হাট-বাজারগুলোতে দীর্ঘ হচ্ছে মানুষের সারি। মানতে চাচ্ছে না কেউ সামাজিক দূরত্ব। তবে প্রশাসনের কড়া নজরদারি ও টহল অব্যাহত থাকলেও প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জনসমাগম ঘটানো হচ্ছে হাট-বাজার ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে।গতকাল শনিবার উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, সরকারী নির্দেশ অমান্য করে হোসেনাবাদ আকিজ বিড়ি কারখানায় জনস্রোত ও শত শত শ্রমিকের দীর্ঘ সারি। ভোরের আলো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ার আগেই আকিজ বিড়ি কারখানার কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শ্রমিকদের ঢল নামে হোসেনাবাদ আকিজ বিড়ি কারখানায়। সেখানে মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের নিয়ম নীতি। শ্রমিকদের গাদাগাদি করে বিড়ি কারখানায় প্রবেশ করে কর্মে নিয়োজিত হতে দেখা গেছে।

এছাড়াও আল্লারদর্গা বাজারের আশপাশ দিয়ে গড়ে ওঠা বিড়ি, সিগারেট, কয়েল, ম্যাচ, রাইসমিল ও তামাক প্রক্রিয়াকরণ কারখানারও একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে।এছাড়াও সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত আল্লারদর্গা বাজারে থাকে জনস্রোতের উপচে পড়া ভিড়। করোনা প্রতিরোধের কোন নিয়ম মানা হয়না এ বাজারে। কাচাবাজার, সবজি বাজার, বিভিন্ন দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে লোকসমাগম স্বাভাবিক অবস্থার তুলনায় কোন অংশে কম লক্ষ্য করা যায়নি।একই অবস্থা দৌলতপুর থানা বাজার, তারাগুনিয়া বাজার, মথুরাপুর বাজার, প্রাগপুর বাজার, খলিশাকুন্ডি বাজার, মহিষকুন্ডি বাজার, ভাগজোত বাজার, ফিলিপনগর আবেদের ঘাট এলাকাসহ বিভিন্ন এলাকার দৃশ্য প্রায় একই।

এরমধ্যেও প্রতিনিয়ত ঢাকা ও নারায়নগঞ্জ থেকে আসা লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গোপনে বিভিন্ন উপায়ে তারা দৌলতপুরে এসে বাড়িতে অবস্থান নিচ্ছে।

ফিলিপনগর আবেদের ঘাট এলাকার তছিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী শিল্পি করোনায় আক্রান্ত হয়ে একইভাবে গোপনে দৌলতপুরে নিজ বাড়িতে আসার সময় প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তারা কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এ দম্পতি প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিতে না পারলেও অনেকেই এভাবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে। রাতের আধারে বিভিন্ন গনপরিবহন ভাড়া করে করোনা আক্রান্ত এলাকা থেকে প্রতিনিয়ত আসছে এসব লোকজন। এদের থেকে দৌলতপুরে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশংকা একেবারে খাট করে দেখার উপায় নেই।

তাই হাট-বাজার ও শ্রম নির্ভর কারখানাসহ ঢাকা, নারায়নগঞ্জ থেকে লোকজন আসা বন্ধে প্রশাসনের নজরদারি আরো বাড়ানো দরকার বলে দৌলতপুরবাসী দাবি।

জনসমাগম না ঘটানো ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আক্তার, দৌলতপুর সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আজগর আলী ও দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমানসহ দৌলতপুর থানা পুলিশ দিনরাত অভিযান অব্যাহত রেখেছেন। যার কারনে দৌলতপুর এখনও করোনা ভাইরাস মুক্ত রয়েছে। তবে তা কতক্ষন এ প্রশ্ন সচেতন মহলের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ