Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নির্মাণাধীন ব্রীজের বিকল্প সড়কটি দেবে ছাগলনাইয়া বক্সমাহমুদ যান চলাচল বন্ধ

ছাগলনাইয়া (ফেনী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০২০, ৩:০৮ পিএম

ছাগলনাইয়া থেকে বক্সমাহমুদ সড়কে রৌশন ফকির দরগাহ মাদরাসা রোড়স্থ ফুলছরি খালের ওপর নির্মানাধীন রৌশন ফকির ব্রীজের পাশে বিকল্প রাস্তাটি বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় পাহাড়ি ঢলে বন্যার পানিতে খালের দুই পাড়ে পাহাড়ি পানির চাপে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। যার কারনে ছাগলনাইয়া বক্সমাহমুদ যান চলাচল সকাল ১০ঘটিকা থেকে বন্ধ হয়ে যায়। এসময় উত্তর যশপুর সড়কের বড় একটি অংশ খালে বিলীন হয়ে যায়।

সম্প্রতি বারি বর্ষন ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলের পানির স্রোত আসতে থাকে। এদিকে রৌশন ফকির মাজার ব্রীজ নির্মাণের কারনে ফুলছরি খালের পানি যাওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। সে কারনে খালের পানি সড়কের ওপর বেয়ে রৌশন ফকির মাজার, রৌশন ফকির জামে মসজিদ, রৌশন ফকির দরগাহ মাদরাসা'র মাঠসহ কবরস্থানের অনেক ক্ষতি হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নির্মাণাধীন ব্রীজের বিকল্প যে রাস্তা করা হয়েছিল তা পাহাড়ি ঢলে ভেঙ্গে যায়। সাথে সাথে আশপাশের প্রচুর গাছগাছালির বাগান ও দুপাশের কাচা সড়কের অনেকাংশে ফুলছরি খালে বিলীন হয়ে যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ব্রীজ নির্মানের ডিজাইন ও নির্মান পরিকল্পনায় ভুল হওয়ায় দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ফুলছরি খালের পানি যাওয়ার জন্য বিকল্প পথ সৃষ্টি করা হলে এ দুর্ভোগ সৃষ্টি হতো না। এখনই ভাঙন ঠেকানো না গেলে বাঁধের ভাঙা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হবে বলে আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। বর্তমান পরিস্থিতিতে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ফুলছরি খালের উপর ব্রীজ নির্মাণ না হওয়া পর্যন্ত একটি স্টীলের সেতু নির্মাণ করে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমান করার দাবি স্থানীদের।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মামুনুল হক পাটোয়ারী মামুন বলেন, ভাঙনে যশপুর গ্রামের রাস্তাটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে। রাস্তাটি রক্ষা করতে হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বর্তমান বর্ষা মৌসুম হওয়ায় রাতে মানুষের চোখে ঘুম থাকবেনা। বৃষ্টি নামলেই দুই পাড়ের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হবে। নির্মাণ কাজটি শুরু করার আগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খালের দুই পাড়ের পানি যাওয়ার রাস্তা তৈরি করে দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়া ও করোনা প্রতিরোধে লকডাউন ঘোষণা করার ফলে সাময়িক কাজ বন্ধ ছিলো। আজকে তীব্র ভাঙনের ফলে রাস্তাঘাট, বাগান ফসলি জমি বেশকিছু পানিতে ভেসে গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, প্রকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে এমনটি হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ ব্যবস্থা চলমানসহ ভাঙনকবলিত স্থানে কাজ করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ