পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গার্মেন্টস খোলার সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই করোনার এই প্রাদুর্ভাবে গ্রাম থেকে শ্রমিকদের ফিরিয়ে না আনার অনুরোধ করেছে পোশাক মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)। বিজিএমইএর ওয়েবসাইটে সদস্যদের উদ্দেশে এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে সংগঠনটি। তবে সংগঠনটির কোনো কোনো মালিক সীমিত আকারে গার্মেন্টস খোলার পক্ষে। সেজন্য আবার গার্মেন্টস শ্রমিকরা গ্রাম থেকে নানাভাবে ঢাকায় আসতে শুরু করেছে।
বিজিএমইএর নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দেশের অর্থনীতিকে চলমান রাখতে সার্বিক পরিস্থিত বিবেচনায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার নির্দেশনা দেবে বিজিএমইএ। সেই নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত যেসব শ্রমিক গ্রামে আছে, তাদের ঢাকায় আসতে না বলার জন্য অনুরোধ করা হলো।
ঢাকা, সাভার, গাজীপুর, আশুলিয়া, নারায়ণগঞ্জে পর্যায়ক্রমে পোশাক কারখানা খোলার নির্দেশনা দেয়া হবে যা নিয়ে বিজিএমইএ বলেছে, শুরুতে কারখানা সীমিত আকারে খোলা রাখা যাবে। ফলে প্রথম ধাপে কারখানার আশপাশে যেসব শ্রমিক থাকে, তাদেরই কাজে যোগদান করতে বলা যাবে। মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় কোনো শ্রমিক ছাঁটাই না করার অনুরোধও করে পোশাক মালিকদের সংগঠনটি। এছাড়া বিরূপ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের ঢাকায় নিয়ে আসা হলে বিজিএমইএর পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা করা হবে না বলেও জানিয়ে দেয়া হয়। তবে গত ২২ এপ্রিল সরকারি আদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে চলমান সাধারণ ছুটি আরও ১০ দিন বাড়ানো হয়েছে। সাধারণ ছুটির সময় গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রামে চলে যাওয়া শ্রমিকদের কাজে যোগ দিতে মালিকরা যেন বাধ্য না করে সেজন্য বিজিএমইএ এই নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে ঢাকায় ফিরতে শুরু করছেন পোশাক শ্রমিকরা।
গতকাল শনিবার সকালে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথ ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ধরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার কয়েক শতাধিক মানুষকে ফিরতে দেখা গেছে। একই চিত্র দেখা গেছে ঢাকা-ময়মনসিংহ রোড ও ঢাকা-টাঙ্গাইল রোডে। লকডাউনের মধ্যেই পায়ে হেঁটে ও ভ্যানে শ্রমিকদের ঢাকার দিকে আসতে দেখা যায়।
তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা ও আশপাশের শিল্প কারখানা ও গার্মেন্টস খুলবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। সে জন্য বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়েই কাজে যোগ দিতে কর্মস্থলে ফিরছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, রিকশা, পায়ে ঠেলা ভ্যান ভাড়া নিতে হয়েছে। কেউ কেউ পায়ে হেঁটেই রওনা হয়েছে গন্তব্যের উদ্দেশে।
মানিকগঞ্জ ট্রাফিক বিভাগের পরিদর্শক মো. রাসেল আরাফাত বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে ঢাকামুখী পোশাককর্মীদের ভিড় চোখে পড়েছে। সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী পুলিশ সদস্যরা তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। কোনো ধরনের গণপরিবহন বন্ধ, পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকে পায়ে হেঁটেও যাচ্ছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।