Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

করোনা পরীক্ষায় শৃঙ্খলা আসেনি

সক্ষমতার চেয়ে কম পরীক্ষা হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

আইইডিসিআরসহ দেশের ২১টি প্রতিষ্ঠানে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৬৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। নতুন নমুনা পরীক্ষায় ৫০৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। ফলে দেশে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৬৮৯ জন। আর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৭৭৬টি। প্রথম দিকে কম নমুন পরীক্ষা করা হলেও বর্তমানে নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যাও।

কিন্তু করোনা কিট নিয়ে যেমন অস্পষ্টতা রয়েছে; তেমনি নমুনা পরীক্ষায় শৃংখলা ফিরে আসেনি। সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) তথ্য মতে দেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। তবে গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে চীনের উহানে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হয়। ভাইরাসটি ক্রমে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনা পরীক্ষার বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন প্রথমে করোনাভাইরাসের ভয়াবহতাকে গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এখন ২১টি কেন্দ্রে শনাক্তকরণের পরীক্ষা করা হলেও প্রয়োজন অনুপাতে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়েনি। আবার আগের চেয়ে পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়লেও শনাক্তকরণ কিটের মজুন নিয়ে ধোয়াশা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ায় করেনা পরীক্ষা বাড়ানো অপরিহার্য। কিন্তু পরীক্ষা বাড়াতে চাইলে শনাক্তকরণ কিটের মজুত বাড়াতে হবে। কিন্তু দেশে কিটের মজুত কতটুকু কর্তৃপক্ষ সেটা প্রকাশ করছে না।

তবে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র করোনা শনাক্তকরণ কিট তৈরি করেছে বলে দাবি করেছেন সংস্থাটির প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি আজ (শনিবার) নমুনা কিট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করবেন বলে জানান। জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, করোনার শনাক্তকরণ কিট তৈরিতে আমরা খুব ভালো সফল হয়েছি। রক্ত পরীক্ষা করার পরে আমরা শতভাগ সফল হয়েছি। নমুনা দেব, পরীক্ষা করার পর অনুমোদন দেয়া হলে প্রথমে দেব ১০ হাজার, তারপরে ১ লাখ।

জনসংখ্যার অনুপাতে পরীক্ষা কম হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত দেশে ৩৯ হাজার ৭শ ৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতে ১০ লাখ মানুষের মধ্যে গড়ে ১৯৮ জনের করোনাভাইরাস শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। মোট জনসংখ্যার অনুপাতে যা খুবই কম।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের করোনাবিষয়ক হালনাগাদ তথ্য দিয়ে আসছে ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটারস। তাদের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বাংলাদেশে প্রতি ১০ লাখে ১৯৮ জনের করোনার পরীক্ষা করা হচ্ছে; অথচ ভুটানে প্রতি ১০ লাখে ১১ হাজার ৬০৩ জনের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর মধ্যে মালদ্বীপে প্রতি ১০ লাখে ৮ হাজার ৬৮৮, পাকিস্তানে ৫৬৪, শ্রীলঙ্কায় ৩৪৫, নেপালে ৩০১ এবং ভারতে ৩৬৩ জনের পরীক্ষা করা হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপের দেশগুলোতে এই পরীক্ষার অনুপাত অবশ্য অনেক বেশি।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন বাংলাদেশ সক্ষমতার অর্ধেক পরীক্ষা করছে। যে ২১টি ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে, এর মধ্যে ঢাকায় ১০টি এবং ঢাকার বাইরে ১১টি। গতকাল পর্যন্ত এসব ল্যাবরেটরিতে এক দিনে সর্বোচ্চ পরীক্ষা হয়েছে ৩ হাজার ৬৮৬টি। অথচ এসব ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা কমবেশি ৬ হাজার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যবস্থাপনায় সমন্বযের অভাবের কারণে এখনো পরীক্ষায় পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কিটের অভাবে কি নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে? ##



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ