Inqilab Logo

বুধবার ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আরো ৫ জনের মৃত্যু

করোনা উপসর্গ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০৩ এএম

করোনা উপসর্গে প্রতিদিন মরছে মানুষ। জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গে নিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নাম। গতকাল যুক্ত হলো আরো নতুন চার নাম। যশোরে ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারী ও ১ বৃদ্ধ মারা যান।
যশোর ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে যশোর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে চিকিৎসাধীন ২৪ বছর বয়সী ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক মহিলা ও ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ মারা যান। গতকাল শুক্রবার সকালে তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
যশোর হাসপাতালের সুপার ডা. দীলিপ কুমার রায় জানান, হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া দুইজনের সংস্পর্শে থাকা ৫ জনকে হাসপাতালের আইসোলেশনে ভর্তি করা হয়েছে। তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। হাসপাতালের আরএমও ডা. আরিফ আহমেদ জানান, ঝিকরগাছা উপজেলার বর্নি গ্রামের শাকিলা খাতুন (২৪) নামে গর্ভবতী মহিলা মারা গেছেন। তিনি করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪০মিনিটে হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে ভর্তি হয়। রাত ১২টা ৩০মিনিটে তিনি মারা যান। অপরদিকে ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধ চৌগাছা উপজেলার জামিরা গ্রামের বাসিন্দা। তিনিও করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে রাত ১টা৩০মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন। ভোর ৪ টায় তার মৃত্যু হয়।

সিলেট ব্যুরো জানায়, করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া এক ব্যাক্তি মারা গেছেন সিলেটের শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে। হাসপাতালে ভর্তির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার বিকেল চারটায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। হাসপাতালের আরএমও ডা. সুশান্ত কুমার মহাপাত্র জানান, করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া বড়লেখা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিহতের লাশ গ্রামের বাড়িতে দাফনের জন্য পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। শামসুদ্দিন হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন ৮ জন করোনা রোগীসহ ২২ জন। সবার অবস্থা এখন স্থিতিশীল।

চাঁদপুর থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া গ্রামে ৫৫ বছরের এক ব্যক্তি ঢাকায় মারা গেছেন। তিনি ঢাকাতেই চিকিৎসাধীন ছিলেন করোনা সন্দেহে। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার লাশ গ্রামের বাড়ি বালিয়ায় আসে। করোনা সন্দেহভাজন হিসেবেই রাত প্রায় ১২টায় সময় তাকে বিশেষ ব্যবস্থায় দাফন করা হয়। মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম খোরশেদ আলম। বাড়ি পূর্ব সাপদী, ৫নং ওয়ার্ড।

তিতাস (কুমিল্লা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় সর্দি, জ¦র ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধায় এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মৃত বৃদ্ধ উপজেলার তাড়িয়াকান্দি গ্রামের মো. সোনামতি (৬০)। মৃত্যুর খবর পেয়ে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মীরা ঘটনা স্থলে গিয়ে মৃত ব্যাক্তির জানাযা ও দাফন সম্পূর্ণ করেন। এসময় তার পরিবারের কোন সদস্য বা গ্রামের আশেপাশের কেউ কোন প্রকার সহযোগিা করেনি। মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে আসে স্বাস্থ্য কর্মীরা পরে জানাযা ও দাফন সম্পন্ন করেন তারা।



 

Show all comments
  • Sangjukta Chowdhury ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৯ এএম says : 0
    উফফফ..... আর নিতে পারছিনা.... এভাবে আর কতদিন.... শুনলাম আমার নিজ জেলার নিজ গ্রামে ৬ বছরের একজন শিশু করোনায় মারা গেছে। আমি নিজেও একজন ৬ বছরের শিশুর মা, খবরটা শুনে ভিতরটা দুমড়েমুচড়ে যাচ্ছে... ঘরের মধ্যেও নিজেকে আর নিরাপদ লাগছে না। কদিন পর হয়তো শুনবো এই ভাইরাস বৈশিষ্ট্য পাল্টে বাতাসে ভেসে খোলা জানলা দিয়েও ঘরে ঢুকে পড়ছে....
    Total Reply(0) Reply
  • Bashir Mrb ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
    কারফিউ জারি করা হোক ঢাকা,নারায়নগন্জ ও গাজীপুর জেলায় । কারন এই তিন জেলার লোক ভাইরাস বহন করে দেশের অনান্য জেলার লোককে সংক্রামিত করছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • মোহাম্মদ কাজী নুর আলম ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০০ এএম says : 0
    কারফিউ বাড়ানো হোক। মানুষকে গৃহবন্দি রাখতে বাধ্য করা হোক। করোনার যেমন কোনো ঔষধ বের হয়নি ঠিক তেমনি বাংলার মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করতে হবে বাংলার আকাশে করোনা নামক সেই অদৃশ্য কালো মেঘটা যেভাবে ধীরে ধীরে ঘনীভূত হচ্ছে তা অচিরেই প্রকোট আকার ধারন করবে তা বলা বাহূল্য
    Total Reply(0) Reply
  • Paul Tipu ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
    বাড়ি ভাড়ার বিষয় সরকার প্রধানের কাছ থেকে কোন সুনির্দিষ্ট নির্দেশ আসছে না,, এই বিষয় আমার সুপ্রিয় জননেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, ৷৷ ইতিমধ্যে অনেক বাড়ির মালিক, ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ভাড়া দিতে নির্দেশ দিয়েছে, আবার অনেক বাড়িয়ালা, ভাড়াটিয়াদের ঘর ছাড়তে বাধ্য করছে,,, এই বিষয়ে জননেত্রীর দিকনির্দেশনা থাকা প্রয়োজন,,, এবং জরুরি ভিত্তিতে এই বিষয় আপনার সু দৃষ্টি কামনা করছি,,,,
    Total Reply(0) Reply
  • Shakhawat Hossain ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০১ এএম says : 0
    আমার মনে হয় বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থাৎ ২৫/০৪/২০২০ বা ২৬/০৪/২০২০ ইংরেজি তারিখ যদি গার্মেন্টস কারখানা গুলো খুলে দেওয়া হয় তবে সেটা হবে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এবং এই ভুলের মাশুল দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ তৈরি থেকো
    Total Reply(0) Reply
  • Md Albaky ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    সংক্রমণ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া আর কোনো অপশন নেই। কঠোর হতে হবে এখনই।
    Total Reply(0) Reply
  • Jannatul Amima ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১:০২ এএম says : 0
    কিছুদিন আগে যখন শুনতাম আজকে আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচজন অথবা 10 জন তখন অনেক ভয় লাগতো কিন্তু এখন যখন 400-500 আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন তখন আগের মত আর ভয় কাজ করে না। জানিনা এমন টা কেন হয় আর সবারই এমনটা হয় কিনা সেটাই আমার জানার ইচ্ছা সবার কাছে ‌।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ