পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
যেসকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নভেল করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীকে সরাসরি চিকিৎসা সেবা প্রদান করবেন তারা করোনা পজিটিভ হলে সরকারি বিধি মোতাবেক গ্রেড অনুযায়ি সরকার ঘোষিত প্রণোদনা পাবেন। এমন একটি পরিপত্র গত ২৩ এপ্রিল জারি কওে সরকার। সরকারের এই পরিপত্রকে বিতর্কিত ও বৈষম্যমূলক বলে দাবি করেছে ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি প্রফেসর ডা. হারুন আল রশিদ ও মহাসচিব ডা. মো. আব্দুস সালাম এক যৌথ বিবৃতিতে চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীর জন্য প্রণোদনা দাবি করেন।
সরকারের সমালোচনা করে তারা বলেন, বিশ^ মহামারী করোনা ভইরাস (কোভিড-১৯) এর প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকেই বাংলাদেশের সরকারী-বেসরকারী সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে প্রতিরোধ ও প্রতিকারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছে। বিশে^র অন্য যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে পরীক্ষা অনেক কম হওয়ায় প্রকৃত করোনা রোগী সনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছেনা, বিধায় সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী প্রবল স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছে। কোন রোগী করোনা পজেটিভ, কে পজেটিভ নন বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে তা অনুধাবন করা সহজ নয়। ইতোমধ্যে বিএসএমএমইউ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল বলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালের বহির্বিভাগে, অন্তঃবিভাগ, অপারেশন থিয়েটার, আইসিইউ ও ফিভার ক্লিনিকসমূহে দায়িত্ব পালনকারী ২৫৮জন চিকিৎসকসহ ছয় শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনা ভাইরাস এ আক্রান্ত, ক্রমাগতভাবে যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কোভিড-১৯ ডেটিকেটেড হাসপাতালের বাইরে কর্মরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীরাই বেশী সংখ্যক আক্রান্ত হয়েছে। সুতরাং এদের প্রণোদনার বাইরে রাখা অনৈতিক, অন্যায়, নীতিবহির্ভূত।
ড্যাবের এই দুই নেতা বলেন, আমাদের স্বাস্থ্য কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালরকারী বেসরকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার বাইরে রাখা হয়েছে যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় বিরাট বিভাজন, বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে ও নিকট ভবিষ্যতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থা মুখ থুবড়ে পড়বে।
তারা বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ঐক্যবদ্ধভাবে সমন্বিত ব্যবস্থপনা, করোনা যোদ্ধাদের উৎসাহিত করা বিশ্ব মহামারী করোনা ভইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলার একমাত্র উপায়। সেখানে সরকারের এই প্রজ্ঞাপন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য কর্মীদের হতাশ করেছে, তাদের মধ্যে বিরাট বিভাজন সৃষ্টি করেছে। বিভাজনের দেয়াল তুলে অপ্রতুল জনবল নিয়ে করোনার মহাপ্রলয়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়লাভ শুধু কঠিন নয় বরং অসম্ভব। নেতৃদ্বয় জারিকৃত পরিপত্রটি অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে দেশের সকল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রণোদনার আওতায় আনার দাবি জানান। অন্যথায় বাংরাদেশে করোনা মহামারী প্রতিরোধ করা সম্ভব হবেনা বলেও উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।