Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

করোনা আক্রান্তের তালিকায় বাংলাদেশ ৪৭তম : জন হপকিন্স

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৫৬ পিএম

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে (কভিড-১৯) আক্রান্তের দিক দিয়ে ১৮৫ দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে ৪৭ তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তালিকা অনুসারে, শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৬৮৯ জন। মারা গেছেন মোট ১৩১ জন। এখন পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে এই ভাইরাসের বলির শিকার হয়েছেন ১ লাখ ৯১ হাজারের বেশি মানুষ। আক্রান্ত হয়েছেন ২৭ লাখের বেশি।
হপকিন্স ইউনিভার্সিটির আক্রান্তের তালিকার শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ লাখ ৬৯ হাজারের বেশি। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৪৯ হাজার ৯৬৩ জন।
এছাড়া, আক্রান্তের তালিকার শীর্ষে থাকা অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে যথাক্রমে স্পেন (২১৩,০২৪), ইতালি (১৮৯,৯৭৩), ফ্রান্স (১৫৯,৪৬৭), জার্মানি (১৫৩,২১৫), যুক্তরাজ্য (১৩৯,২৪৬), তুরস্ক (১০১,৭৯০), ইরান (৮৭,০২৬), চীন (৮৩,৮৮৪) ও রাশিয়া (৬৮,৬২২)।

আক্রান্তের তালিকায় প্রতিবেশী দেশ ভারত /৭২২) ও পাকিস্তান (১১,১৫৫/২৩৭) রয়েছে যথাক্রমে ১৬ ও ২৯তম স্থানে।
এদিকে, তালিকার একেবার তলানিতে রয়েছে যথাক্রমে ইয়েমেন (১), সাও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপি (৪), দক্ষিণ সুদান (৫), পশ্চিম সাহারা (৬), মৌরিতানিয়া (৭), ভূটান (৭), পাপুয়া নিউ গিনি (৮), এমএস জান্দাম (৯), ভ্যাটিকান সিটি (৯) ও সুরিনাম (১০)।

দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ভারতে। দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২৩,৫০২ জন। মারা গেছেন ৭২২ জন। এছাড়া, পাকিস্তানে আক্রান্ত হয়েছেন ১১ হাজার ১৫৫ জন। মারা গেছেন ২৩৭ জন। পুরো অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে কম আক্রান্ত দেখা গেছে ভূটানে। সেখানে মাত্র ৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। করোনায় কোনো মৃত্যু হয়নি দেশটিতে। মালদ্বীপ (১১৬) ও নেপালেও (৪৮) এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হয়ে কেউ মৃত্যুবরণ করেননি। দেশটিতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন ১১৬ জন। এছাড়া, শ্রীলঙ্কায় ৩৭৩ জন ও আফগানিস্তানে ১,২৭৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।



 

Show all comments
  • এম এ জামান ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ৮:৪৭ পিএম says : 0
    একটি রাষ্ট্র প্রধান জনগনের মালিক বাঁচাতে মারতে সবাই সম্ভব সকলের আস্তর স্থান রাষ্ট্র প্রধান সে খানে সঠিক তথ‍্য না দেওেয়ার কারনে জনগন ক্ষতি বা বিপদে পড়ে যায় তার জন‍্য জনগনের ক্ষতি কে পুরণ করবে!
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Shah Alam Khan ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৫০ পিএম says : 0
    এই সংবাদটা আমরা যারা বিদেশে আছি তাদের জন্যে একটা সুসংবাদ। আমাদের দেশ বাংলাদেশ এখনও একটা ভাল অবস্থানে আছে। যদিও আরো ভাল থাকার কথা ছিল। আমাদের দেশের (বাংলাদেশের) জনগণ যদি সভ্য মানে ভদ্র ও প্রকৃত শিক্ষিত হতো তাহলে তারা সরকারের কথা অর্থাৎ আইন মেনে চলতে শিখতো… তাহলে আজ বাংলাদেশ ভূটান, মালদ্বীপ বা নেপালের মত অবস্থানেই থাকতো। ইতালী ফেরৎ বেপরোয়া বাংলাদেশীরা সাথে অন্যন্য দেশ থেকে আগত হাজার হাজার বাংলাদেশীরা তাদের কর্মস্থল থেকে দেশ ফিরছে তখন বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত হয়েগেছে এবং এনারা সেই বিদেশ থেকে করোনাভাইরাস সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন এটাই সত্য। তাই সেই মুহূর্তে তাদেরকে ঢাকা বিমান বন্দরে করোনার লক্ষন না দেখে ঘরে গিয়ে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কারন করোনাভাইরাস কাওরও সাথে থাকলে তখনই সেটা ধরা নাও পড়তে পারে কিন্তু ১৪ দিনের মধ্যে অবশ্যই ধরা পরবে, বিমান বন্দর থেক এদেরকে নিয়ম কানুন জানানো হয়েছিল। এসব দেশে ফেরৎ ব্যাক্তিরা যদি বেপরোয়া না হয়ে ভদ্রলোকের মত সরকারের দেয়া নির্দেশ মান্য করে ঘরে আব্ধ থেকে কোয়ারেন্টাইন করে যেত তাহলে আজ দেশের এই অবস্থা হয় না। এখন যে যতই সরকারকে দোষারুপ করুক না কেন সেটা কোন জ্ঞানবান লোকেরা গ্রহণ করবেনা। সরকারের যথেষ্ট প্রচেষ্টা ছিল করোনাভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত রাখার। আল্লাহ্ আমাকে সহ সবাইকে সত্য বুঝার, জানার ও সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ