গফরগাঁও উপজেলার বিভিন্ন ছোটবড় হাটবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলছে । তবে দেখার কেউ নেই । মশুরীর ডাল উন্নত মানের কেংগারো প্রতিকেজি ১শত ২০টাকার স্থলে ১শত ৪০টাকা থেকে ১শত ৫০টাকা , মাঝারী ধরনের মশুরীর ডাল প্রতি কেজি ৬০টাকার স্থলে ৮০/৯০ টাকা ,ছোলা প্রতিকেজী ৬০টাকার স্থলে ৭০/৮০টাকা , খেসারী ডাল ৭৫টাকা প্রতি কেজির স্থলে ১শত টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে । সয়াবিন তৈল ১লিটার ৮০টাকার স্থলে ৮৫/৯৫ দরে বিক্রি হচ্ছে । অন্যান্য তৈলের দামও অনুরুপ ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে । গত ১৫দিন আগে পাইকারি ১ কেজি পিয়াঁজের দাম ছিল ৩৩টাকা ,এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০/৫৫টাকা দরে । রসুন এক কেজি ৭০টাকার স্থলে এখন বিক্রি হচ্ছে ১শত টাকা থেকে ১শত ৪০টাকা । আদা প্রতিকেজি ১শত ৫০টাকার স্থলে ২শত ২৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে । বিভিন্ন রকমের চালের দাম অনুরুপ ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে । গফরগাঁও সালটিয়া নতুন বাজারের পিয়াঁজ ,রসুন ,আদা ,হলুদ ও মরিচের বিশিষ্ট আড়ৎদার মের্সাস মায়ের দোয়া বাণিজ্য ভান্ডারের মালিক মোঃ কামরুল ইসলাম জানান , পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি হওয়ার ফলে পিঁয়াজ রসুনসহ অন্যান্য দ্রবাদ্রির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে উল্লেখিত দ্রবাদ্রির দাম অনেকটা বৃদ্ধি পেয়েছে । ৪৯নং চাল ৫০ কেজি ১৭শত টাকার স্থলে ২হাজার ৩শত দরে ও মোটা চাল ৫০ কেজি ১৬শত টাকার স্থলে ২হাজার দরে বিক্রি হচ্ছে । গরুর গোছত ৫শতটাকা প্রতি কেজির স্থলে ৬শত টাকা বিক্রি হচ্ছে । তবে কাঁচা মাল কড়লাসহ বিভিন্ন তরিতরকারীর দাম কমে গেছে । ডিমের দাম অনেকটা কমে গেছে । ১৫দিন আগে ছিল ডিম একডরজন ৯৬টাকা, এখন বিক্রি হচ্ছে ৭২টাকা । গফরগাঁও বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মেসার্স মামুন ষ্টোরের মোঃ মামুন জানান, পর্যাপ্ত পরিবহন না থাকায় ফলে চাহিদা মোতাবেক মালামাল আসতে পারছেনা । ফলে বাজারের কিছু কিছু পণ্য দাম বেড়েই চলছে । তবে সামনে রমজান মাস উপলক্ষ্যে পর্যাপ্ত পরিবহন থাকায় দরকার । তাহলেই বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রবাদ্রির দাম কমে যাবে । সড়ক লক ডাউনের ভয়ে পরিবহন আসতে সাহস করছে না ।