পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ ছুটির নামে দেশে যে লকডাউন চলছে তাতে গত প্রায় একমাস নিত্যপণ্যের মূল্য স্বাবাবিক ছিল। সব কিছু বন্ধ থাকায় পণ্যপরিবহন স্বাভাবিক ছিল না। তাতে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ ছিল কম। একই ভাবে সবাইকে ঘরে থাকার নির্দেশ দেওয়ায় বাজারে ক্রেতার সংখ্যাও ছিল কম। এতে বাজার একেবারেই ঝিমিয়ে পড়েছিল। তবে রোজার কাছাকাছি আসতেই বাজার আবার উত্তাপ ছড়াচ্ছে। সবজি থেকে শুরু করে, ডাল, ছোলা, মাছ-গোশত, আদা, রসুন, মশলাসহ অনেক পণ্যের দাম বেড়েছে। ফলে রোজা শুরুর ঠিক আগে আগে যারাই বাজারে গেছেন তাদের গুনতে হয়েছে বাড়তি টাকা। শুক্রবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর খিলগাঁও রেল গেট কাঁচাবাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজি প্রতি ৫ থেকে ১০ টাকা করে বেড়েছে আলু, শিম, শশা, করলা, ঝিঙ্গা, টমেটো, বেগুন, বরবটি, গাজরের মতো সবজিগুলোতে। আলুর দাম প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে যা গত সপ্তাহে ছিল ২০টাকা। শিম ৪০ টাকা, করলা, বেগুন ও ঝিঙা ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, শশা ও গাজর ৪০ টাকা। গত সপ্তাহের ২০ টাকার শশাও বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়। ৫ টাকা বেড়ে টমেটো ও পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজিতে। পটল ৩০ টাকা থেকে ৪৫ টাকায়। করোনা আক্রমণের শুরু থেকেই বাড়তি দামে বিক্রি হওয়া লেবুর হালি ছোট বড় আকার অনুযায়ী ছিল৪০ থেকে ৮০ টাকা।
বাজারে এসেছিলেন শাহজাহাপুরের বাসিন্দা বাদল। তিনি বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় আজ সব সবজির দাম কেজিতে ১০/১৫ টাকা বেশি। একদিকে রোজা, অন্যদিকে করোনার আঘাত। আমাদের দম বন্ধ হওয়ার মতো অবস্থা। এভাবে চলতে থাকলে কিভাবে বাঁচব?
সবজির বাজারের মতো গোশতের বাজারেও লেগেছে রোজার ‘উত্তাপ’। গত সপ্তাহে ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া ব্রয়লার মুরগির দাম আজ ছিল ১৪০ টাকা। গত সপ্তাহে দেশি মুরগি বিক্রি হয়েছিল ৩২০ ও ৩৫০ টাকায়। এখন তার দাম ৪শ টাকা। কেবল খাসির গোশতের দামই অপরিবর্তিত, কেজি ৮শ টাকা।
মুরগির দাম বেশি কেন জানতে চাইলে ব্যবসায়ী হাসান মিয়া বলেন, গত এক সপ্তাহ ধরে জেলা থেকে কোনো গাড়ি আসেনি। আমরা তো আর মুরগি পুষি না। তাই মার্কেটে মুরগি নেই। আর মুরগি না থাকলে বেশি দামেই তো বিক্রি করতে হবে।
মাছের বাজারেও একই অবস্থা। সব মাছের দামই কিছু না কিছু বেড়েছে। কাঁচকি ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা, বড় পুঁটি ৬০০ টাকা, শিং (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, রুই ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা, পাঙাস ২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ টাকা, টেংরা আকারভেদে ৪৫০ থেকে ৬০০ টাকা ও ছোট কৈ ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছ ব্যবসায়ী রুবেল জানালেন, মুরগি ও সবজির মতো কয়েকদিন ধরে রাজধানীতে মাছও আসছে কম। ফলে আমাদের বেশি দামে কিনতে হচ্ছে, বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, প্রচুর পণ্য মজুদ রয়েছে। কারসাজি করে পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরও সব পণ্যের দাম কেন বাড়ছে এর কোন উত্তর মেলেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।