Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তারাবির নামাজ নিয়ে সরকারি নির্দেশনা না মানলে ব্যবস্থা

সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ এপ্রিল, ২০২০, ১২:১৪ পিএম | আপডেট : ৬:৫৬ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২০

পবিত্র রমজান মাসে এশার জামাত ও তারাবির নামাজে ইমাম, খতিব, ২জন হাফেজ, মুয়াজ্জিন, খাদেমসহ ও সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য সকল মুসল্লিদের নিজ নিজ ঘরে বসে তারাবিহ আদায় করতে হবে।

সরকারি এই নির্দেশনা না মানলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
আজ শুক্রবার ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা রমজানে তারাবির নামাজ ঘরে আদায় করার নির্দেশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করােনাভাইরাস মহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বর্তমান পরিস্থিতিতে মুসলিম জনসাধারণকে মসজিদে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে সর্বোচ্চ ৫ জন এবং জুমার নামাজে সর্বোচ্চ ১০ জন মুসল্লির উপস্থিতিতে নামাজ আদায় করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করে গত ৬ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। আগের বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় নতুন এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে এশার জামায়াতে ইমাম, খতীব, ২ জন হাফেজ, মুয়াজ্জিন, খাদিমসহ সর্বোচ্চ ১২ জন অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অন্যান্য মুসল্লিরা নিজ নিজ ঘরে এশা ও তারাবিহ নামাজ আদায় করবেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে কুরআন তিলাওয়াত, জিকির ওদোয়ার মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির প্রার্থনা করবেন।

প্রত্যেকের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার স্বার্থে মাহে রমজান উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ইফতার মাহফিলের আয়োজন বা যোগদান করতে পারবেন না বলে নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।
নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বাধ্য হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধে জানানো হয়েছে।



 

Show all comments
  • গ্রাম অঞ্চলে মানছে না তারাবির নামাজ সম্পর্কিত নির্দেশনা। আমাদের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ভরপুর মুসল্লি, যেমন আমাদের হুলাইন গ্রামের হুলাইন এয়াছিন আউলিয়া হামেদিয়া জামে মসজিদে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে তারাবির নামাজে জড়ো হচ্ছে।প্রশাসন যদি এমনি এক ভয়াবহ দুৃর্যোগ মুহুর্তে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন না করে, তাহলে অনতিবিলম্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অত্যধিক।
    Total Reply(0) Reply
  • গ্রাম অঞ্চলে মানছে না তারাবির নামাজ সম্পর্কিত নির্দেশনা। আমাদের পটিয়া উপজেলার বিভিন্ন মসজিদে ভরপুর মুসল্লি, যেমন আমাদের হুলাইন গ্রামের হুলাইন এয়াছিন আউলিয়া হামেদিয়া জামে মসজিদে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এসে তারাবির নামাজে জড়ো হচ্ছে।প্রশাসন যদি এমনি এক ভয়াবহ দুৃর্যোগ মুহুর্তে বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহন না করে, তাহলে অনতিবিলম্বে করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অত্যধিক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ