বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রোজার মাসে সেহরি ও ইফতারে নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য নিশ্চিত করতে বিএসটিআইর সার্ভিলেন্স কার্যক্রম জোরদারের নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। পাশাপাশি তিনি যে কোনো পরিস্থিতিতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মান পরীক্ষাসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য জরুরি সেবা চালু রাখার নির্দেশ দেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) রমজান উপলক্ষে ভোক্তাদের জন্য নিরাপদ ও মানসম্মত খাদ্য পণ্য নিশ্চিতকরণ, শিল্পখাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন ও করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর ৩১ দফা নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কার্যকর কৌশল নির্ধারণ বিষয়ক সভায় শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
শিল্পসচিব মো. আবদুল হালিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন এবং বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন ও বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের মহাপরিচালক, এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন সুপার শপ এবং চালু থাকা খাদ্যপণ্যের দোকানগুলোতে সার্ভিলেন্স বাড়িয়ে নিরাপদ খাদ্য পণ্যের যোগান নিশ্চিত করতে হবে। পণ্যের উৎপাদক, ক্রেতা-ভোক্তা সাধারণসহ সবাইকে মানসম্পন্ন খাদ্য পণ্য উৎপাদন ও ব্যবহারের বিষয়ে বিএসটিআই সম্প্রতি যে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে, তার আওতা বাড়াতে হবে। তিনি খাদ্য উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে গুণগতমানের পণ্য উৎপাদন এবং বিপণনের জন্য বিএসটিআইয়ের পক্ষ থেকে সতর্কতামূলক পত্র প্রেরণের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় জনসচেতনতামূলক বিজ্ঞপ্তি প্রচার এবং মোবাইল এসএমএস প্রেরণ করে সবাইকে সচেতন করার পরামর্শ দেন। একই সঙ্গে তিনি রমজান উপলক্ষে ইফতার ও সেহরিতে অধিকাহারে ব্যবহৃত যেসব পণ্যের নমুনা ইতিমধ্যে বাজার থেকে সংগ্রহ করে বিএসটিআইয়ের ল্যাবরেটরীতে টেস্টিং চলছে, সেগুলোর ফলাফল দ্রুত প্রকাশ করে গণমাধ্যমের সহায়তায় ভোক্তা সাধারণকে জানিয়ে দেয়া নির্দেশনা দেন।
করোনার ফলে কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী বলেন, এসব উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয় ও বাজারজাতকরণে শিল্পমন্ত্রী পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহায়তা দেয়া হবে। তিনি এসএমই শিল্পোদ্যোক্তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে অর্থাৎ ই-কমার্স এর মাধ্যমে তাদের উৎপাদিত পণ্য বিক্রয়ে সহযোগিতা বাড়াতে এসএমই ফাউন্ডেশনকে নির্দেশনা দিচ্ছি।
শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্পের জন্য প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ যাতে শুধু ক্ষতিগ্রস্ত উদ্যোক্তারা পান সেটি অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে কোন প্রকার দুর্নীতি হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।
সভায় জানানো হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের আওতাধীন ১৫টি চিনিকলে ৬৫ হাজার মেট্রিক টনেরও বেশি চিনি মজুদ রয়েছে। এছাড়া বিসিআইসির আওতাধীন সার কারখানা ও গোডাউনসমূহে বর্তমানে মোট ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৭৩ মে. টন ইউরিয়া সার মজুদ রয়েছে। গত বছর একই সময়ে ইউরিয়া সারের মোট মজুদের পরিমাণ ছিল ৮ লাখ ৬০ হাজার ৭৬৯ টন। চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশে ইউরিয়া সারের মোট চাহিদা ২৫ লাখ ৫০ হাজার টন । ইতিমধ্যে প্রায় ২২ লাখ ৬৯ হাজার ৭১১ মে. টন সার কৃষকদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে।
দেশে এখন লবণেরও পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। করোনার প্রকোপের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে লবণ মাঠ এবং লবণ মিলগুলোতে উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে। চলতি লবণ মৌসুমের গত সোমবার পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার লবণ চাষী ১২ লাখ ৮৩ হাজার মেট্রিক টন লবণ উৎপাদন করেছে, যা গত মৌসুমের এই সময়ের চেয়ে ৭০ হাজার মেট্রিক টন বেশি। এ বছর লবণের মোট চাহিদা ছিল ১৮ লাখ ৪৯ হাজার মেট্রিক টন। গত বুধবার পর্যন্ত জাতীয় চাহিদা মিটিয়ে লবণ মাঠে উৎপাদন, লবণ মিলসহ সব উৎস মিলে বর্তমানে দেশে ১১ লাখ ৮৪ হাজার মেট্রিক টন লবণ মজুদ রয়েছে। এছাড়াও দেশের সকল জেলার ডিলার, পাইকারী ও খুরচা বিক্রেতাপর্যায়ে আয়োডিনযুক্ত ভোজ্য মজুদ রয়েছে। সব মিলিয়ে বর্তমানে মজুদকৃত লবণ দিয়ে আগামী ১০ মাস পর্যন্ত অনায়াসে দেশের লবণের চাহিদা পূরণ করা যাবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।