পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসে সৃষ্ট সংকটে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক মনোভাবের ওপর গুরুত্বারোপ করে বিশ্ব সম্প্রদায়কে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবাইকে এক সঙ্গে সংকটের মোকাবেলা করতে হবে। বিশ্বের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাঁচটি বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারে বিষয়ক এক ভার্চুয়াল সম্মেলনে এ আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।
এনহ্যান্সিং রিজিওন্যাল কো-অপারেশন ইন সাউথ এশিয়া টু কমব্যাট কোভিড-১৯ রিলেটেড ইমপ্যাক্ট অন ইটস ইকোনোমিকস’ শীর্ষক এ ভার্চুয়াল সম্মেলনের আয়োজন করে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব সম্ভবত গত একশো বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় সংকটের মুখোমুখি। সুতরাং সবাই এক সঙ্গে সঙ্কটের মোকাবেলা করা দরকার। প্রতিটি সমাজ থেকে সমন্বিত দায়িত্বশীলতা এবং অংশীদারিত্বমূলক মনোভাব প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ব ইতিমধ্যে জলবায়ুর পরিবর্তনের সঙ্গে লড়াই করছে। এখন, করোনাভাইরাস আমাদের অস্তিত্বকে চ্যালেঞ্জ করছে। বিশ্বায়নের বর্তমান পর্যায়ে একটি দেশকে পুরো বিশ্ব থেকে আলাদা রাখা সম্ভব নয় এবং এখানে বিচ্ছিন্নতার নীতি আর কাজ করবে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জানি না এই মহামারী কতদিন থাকবে। এটি ইতোমধ্যে অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অর্থনীতি, ব্যবসা ও সমাজের স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে, ভয় এবং ট্রমা কাটাতে জনগণকে সহযোগিতা করতে হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব একটি সংকটময় পরিস্থিতি অতিক্রম করছে। এই সংকট মোকাবেলায় আমাদের যথাযথ পদক্ষেপসমূহ গ্রহন করতে হবে। বিশ্বের বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতি মোকাবেলায় পাঁচটি বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রথমত: সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীর মধ্যে দারিদ্র এবং বৈষম্য দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। গেল এক দশকে আমরা আমাদের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর অর্ধেক দারিদ্রসীমা থেকে বের করে এনেছিলাম। তাদের অনেকে এখন আবার পূর্বের অবস্থানে ফিওে যেতে পারে। সুতরাং বিশ্বকে মানবকল্যান, বৈষম্যদূরীকরণ, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং কোভিড-১৯ এর পূর্বের অর্থনৈতিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে নতুন করে ভাবতে হবে।
দ্বিতীয়ত: আমাদের প্রয়োজন জি-৭, জি-২০ এবং ওইসিডি’র মতো সংগঠনগুলো হতে দৃঢ ও পরিকল্পিত বৈশ্বিক নেতৃত্ব। জাতিসংঘ নেতৃত্বাধীন বহুপাক্ষিক ব্যবস্থাকেও এগিয়ে আসা উচিত। আমি অধ্যাপক সোয়াবকে (বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরোমের প্রতিষ্ঠাতা) প্রশংসা করছি। কারন তিনি সংক্রামক রোগগুলোকে ২০২০ এর বৈশ্বিক ঝুঁকি সম্পর্কিত প্রতিবেদনে অন্যতম মুখ্য ঝুঁকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সুতরাং ফোরাম এবং জাতিসংঘের উচিত সরকার এবং বিশ্ব ব্যবসাকে এ বিষয়ে একত্রিত করা এবং নেতৃত্ব দেওয়া।
তৃতীয়: আমরা ইতিমধ্যে বিশ্বব্যাপী ব্যবসা, কাজ এবং উৎপাদনে পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছি। কোভিড পরবর্তী সময়ে, নতুন নীতি, স্ট্যান্ডার্ড ও পদ্ধতি দেখবো। ইতিমধ্যে আমরা দেখছি সরবরাহ চেইনে থাকা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডকে যথাযথ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিচ্ছে না। সুতরাং আমাদের এমন কৌশল ও বাস্তবমুখী সহায়তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে যেন বাংলাদেশের মতো দেশগুলো টিকে থাকতে পারে।
চতুর্থত: অভিবাসী কর্মীরা বেকারত্বসহ অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতি পার করছেন। এটি দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং বোঝা ও দায়িত্ব শেয়ার করার মতো আমাদের এমন একটি অর্থপূর্ণ বৈশ্বিক কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে।
পঞ্চম: এই মহামারীর সময়ে আমরা কার্যকরীভাবে বেশকিছু ডিজিটাল প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতির ব্যবহার করেছি। যেমন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সংক্রমন চিহ্নিত করা। ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য আমরা বিভিন্ন সেক্টরে এই রকম উদ্ভাবনী মূলক ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।