পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করেনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও সর্তক করতে মানবতায় সাধারন মানুষকে আপন করে নিয়ে মাঠপর্যায়ে সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিয়ে যাওয়া সেই পুলিশেও এখন ক্রমেই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুধুমাত্র ঢাকা মহানগর পুলিশেই (ডিএমপি) ১১৮ জনসহ দেশজুড়ে ২২০ জন পুলিশ সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। গত বুধবার পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় পুলিশের প্রায় ৮০০জন সদস্যকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইতোমধ্যেই পুলিশের এই সদস্যরা সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের কাছে অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন। পুলিশের এই ত্যাগে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই এগিয়ে আসছেন মানুষের সেবায়। পুলিশ তাদেরকেও সহায়তা করছে মানবিক কাজে।
পুলিশ সদর দপ্তরের গত বুধবার বিকেল পর্যন্ত সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় পুলিশের ২২ সদস্য করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন, এর মধ্যে শুধু ডিএমপিতেই দায়িত্বরত ১৭ জন। দেশজুড়ে সব ইউনিট মিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা গতকাল পর্যন্ত দাঁড়িয়েছে ২২০ জনে, যাদের কেউ এখনো সুস্থ হননি। আর আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ১১৮ সদস্যই ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের, এর মধ্যে চার জন সিভিল স্টাফ রয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত সারাদেশে ২১৮ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে কনস্টেবল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা রয়েছেন। কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন অনেকেই। আক্রান্ত এই পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পুলিশের হাসপাতাল গুলোতে প্রয়াজনীয় সব ধরণের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, মানুষের সুরক্ষায় হাসিমুখে জীবনের ঝুঁকি নিচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা। হচ্ছেন আক্রান্ত ও স্থাপন করছেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। আমাদের দুই লক্ষাধিক সদস্যের একটি বড় অংশ সরাসরি মাঠে থেকে করোনার বিস্তাররোধে কাজ করছেন। তাদেরকে যথাসম্ভব সুরক্ষা সামগ্রী সরবরাহ করা হয়েছে। এখনও অনেক চাহিদা রয়েছে। চাহিদা পূরণে কাজ করছি আমরা।
তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছু করা হচ্ছে। যে কোনো সমাবেশ ও লোকসমাগমে আইনি ব্যবস্থা, অপরাধ দমন, আসামী গ্রেফতার ও তাকে আদালতে প্রেরণ, মানুষের বেঁচে থাকার জন্য আবশ্যিক খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে নিরাপত্তা দেয়া, দ্রব্য সামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, মজুতদারি ও কালোবাজারি রোধ, সরকারি ত্রাণ ও টিসিবির পণ্য বিতরণে অনিয়মের ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ, সামাজিক দূরত্ব বাস্তবায়ন, খোলা স্থানে বাজার স্থানান্তর, নিভৃতে সাধারণ মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নিজস্ব উদ্যোগে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেয়া, কৃষি ও অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখতে বিভিন্ন স্থানে ধান কাটার শ্রমিক প্রেরণ, অসুস্থ সাধারণ রোগীকে হাসপাতালে পৌঁছে দেয়া ও চিকিৎসা পেতে সহায়তা করা, প্রিয়জন পরিত্যক্ত ও পথের পাশে পড়ে থাকা মৃতব্যক্তির পাশে যখন আর কেউ নেই তখন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ও যথাযথ সম্মানের সঙ্গে সৎকার করার মতো হাজারো ইনোভেটিভ কাজ করছে বাংলাদেশ পুলিশের দেশপ্রেমিক সদস্যরা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ডিএমপির পর সর্বোচ্চ গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে (জিএমপি) ২৭জন সদস্য করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১৬জন, গোপালগঞ্জে আক্রান্ত ১৮জন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) ৩জন, বিশেষ শাখার (এসবি) ৫জন, পুলিশের টিঅ্যান্ডআইএম’এ ১জন, এপিবিএন-২ ময়মনসিংহে ১জন, নৌ পুলিশে ১জন, এন্টি টেরোরিজম ইউনিটে ১জন, কিশোরগঞ্জে ৯জন, গাজীপুরে ৭জন, নরসিংদীতে ৬জন, শেরপুরে ৩জন, ঢাকা জেলায় ২ ন ও মুন্সিগঞ্জে ১ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন। গত ৮ মার্চেও পর থেকে গত বুধবার কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয় পুলিশের ৭৮৭ জন সদস্যকে। এদের মধ্যে ২৯৮ জন কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর মধ্যে হোম কোয়ারেন্টিনে ২৫৯ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ১৬৩ জন। আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬ জন এবং আইসোলেসন থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন ৫ জন। গত বুধবার ২২ এপ্রিল ভিডিও কনফারেন্সে পুলিশের মহাপরিদর্শক ড. বেনজীর আহমেদ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নানা ধরনের নির্দেশনা দেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা করার কথা বলেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।