Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কারাগারগুলো পরিণত হতে পারে করোনার প্রজনন কেন্দ্রে

দ্য ইকোনোমিস্ট | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

কোভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধ সর্বত্রই কঠিন। এবং কারাগারে বন্দীদের মুক্তি দেয়াটাও বড় ধরনের ঝুঁকি বহন করে। তবে বিশ্বব্যাপী কারাগারগুলি করোনার সংক্রমণের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ জায়গাগুলোর অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সময় মতো সঠিক পদক্ষেপ না নিলে কারাগুলি করনাভাইরাসের প্রজনন ক্ষেত্রে পরিণত হকে পারে এবং ব্যাপক প্রাণহানি ঘটতে পারে।
পেনাল রিফর্ম ইন্টারন্যাশনাল’র সমীক্ষা অনুসারে, সারা বিশ্বের কারাগারগুলিতে প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ কয়েদি রয়েছে। বেশিরভাগ ধনী দেশ, বা দরিদ্র অঞ্চল প্রায় সবখানেই কারাগারগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। লোকেরা প্রায়শই আসে এবং যায়। সেখানে কার্যকর সামাজিক দূরত্ব অসম্ভব।
কারাগারে বন্দি হওয়া বিভিন্ন ধরনের লোকের অন্যান্য সমস্যা যেমন, মাদক বা মদে আসক্তি, বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা রয়েছে, যা তাদের ভাইরাস সংক্রমণে প্রতি সংবেদনশীল করে তুলতে পারে এবং অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে যেতে পারে। সব বন্দিরা সহযোগিতার মনোভাবাúন্ন নয় এবং কারাগারে লোকেরা যে আঁটসাঁট জায়গায় আবদ্ধ থাকে, সেগুলো চাইলেই লকডাউন করে দেয়া যাবে না।
ঝুঁকি হ’ল ভাইরাসটি কারাগারে প্রবেশ করলে এটি নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব বলে প্রমাণিত হবে। করোনা সংক্রমণ যে শুধু বন্দি এবং প্রহরীদের মৃত্যু ঘটাতে পারে তাই নয়, এটি স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উপর চাপ আরো বাড়িয়ে দিতে পারে এবং বাকী জনসংখ্যার মধ্যেও আতঙ্ক ছড়িয়ে দিতে পারে। খারাপ অবস্থা ও যখন ভাইরাস একসাথে মিশ্রিত হয়ে, অরাজকতা তৈরি করতে পারে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কারাগারে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে।
বন্দিদের মুক্তি দিলে ভেতরে ভিড় কমতে পারে, তবে ভাইরাসটি ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ায় নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। সমৃদ্ধ ও দরিদ্র উভয় বিশ্বেই করোনাভাইরাসকে কারাগারমুক্ত রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্তৃপক্ষ যদি কারাগারে গোপনে মাদক, মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য নিসিদ্ধ সামগ্রীর আদান-প্রদান বন্ধ রাখতেই হিমশিম খায়, তবে তারা কীভাবে একটি অদেখা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণের আশা করতে পারে?
বিশ্বের বেশিরভাগ কারাগারে অনিবার্য বিপর্যয় শুরু হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যখন একটি মহামারী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে, তখন লোককে কারাবন্দী করার বিকল্প ব্যবস্থা করা কঠিন হতে পারে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ