Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

তিন মাসে ২৫.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় হুয়াওয়ের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৬:১৫ পিএম

করোনা মহামারীসহ নানান প্রতিকূলতার মধ্যেও গত তিন মাসে প্রায় ২৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আইসিটি সরঞ্জাম সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ে। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের নিট মুনাফার হার প্রায় ৭ দশমিক ৩ শতাংশ।

বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনা ভাইরাসে বিপর্যস্ত এই সময়ের মধ্যেও হুয়াওয়ের ব্যবসা আগের মতোই চলছে এবং বছরের প্রথম প্রান্তিকে আশানুরূপ মুনাফা অর্জিত হয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের শুরুতেই হুয়াওয়ে এবং এর অংশীদাররা দ্রুততার সাথে ৫জি এবং এআই নির্ভর অনেকগুলো মেডিকেল অ্যাপ্লিকেশন চালু করেছে। যোগাযোগ প্রযুক্তিতে নিজেদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার সর্বোচ্চ ব্যবহার করে করোনা মোকাবেলা এবং জীবন রক্ষায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে হুয়াওয়ে। এআই নির্ভর করোনা ডায়াগনোসিস সমাধানের মাধ্যমে সিটি স্ক্যান পর্যালোচনার সময় ১২ মিনিট থেকে ২ মিনিটে নেমে এসেছে, যা করোনা চিকিৎসায় ডাক্তারদেরকে দারুণ সাহায্য করছে।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ৫জি নির্ভর ‘ভিডিও পরামর্শ’ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের ঘাটতি পূরণের পাশাপাশি করোনা শনাক্তকরণ ও গুরুতর রোগির চিকিৎসা প্রদানের দক্ষতা বাড়িয়েছে। এআই নির্ভর থার্মাল ইমেজিং যন্ত্র সন্দেহভাজন রোগির শরীরের তাপমাত্রা মাপতে পারছে, যা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

করোনা মোকাবেলায় বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, ফিলিপিন্স, সিঙ্গাপুর, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, লাওসসহ এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এবং আসিয়ানভূক্ত অনেক দেশের পাশে দাঁড়িয়েছে হুয়াওয়ে। অভিনব প্রযুক্তি সহায়তার মাধ্যমে যোগাযোগ ঝুঁকি চিহ্নিত করার পাশাপাশি নিবিঘœ সংযোগসহ অন্যান্য দরকারী সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে প্রতিষ্ঠানটি।

করোনা চিকিৎসায় সম্প্রতি ব্যাংককের সিরিরাজ হাসপাতালে এআই নির্ভর সমাধান চালু করা হয়েছে, যেটি প্রদান করেছে থাইল্যান্ডের ডিজিটাল অর্থনীতি ও সমাজ মন্ত্রণালয় এবং হুয়াওয়ে।

৫জি নেটওয়ার্ক নির্ভর এআই প্রযুক্তি রোগ নির্ণয়ের সক্ষমতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করেছে। এতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ২০ হাজার সিটি স্কানের ফলাফল বিশ্লেষণ করা যায়। এছাড়া বিদ্যমান ডেটাবেসের নমুনার সাথে তুলনা করে এটি সহজেই রোগ শনাক্ত করতে পারে। উপরন্তু এর টেলিকনসালটেশন সুবিধা স্বাস্থ্যকর্মীদের সংক্রমণ ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি বিভিন্ন প্রান্তে রোগ নিয়ন্ত্রণ সক্ষমতা গড়ে তোলার ঝামেলা থেকেও মুক্তি দেয়।

হুয়াওয়ের রোটেটিং চেয়ারম্যান এরিক জু বলেন, “আমরা আশাকরি, বৈশ্বিক এই মহামারী শিগগিরই থেমে যাবে। সারাবিশ্বে করোনায় আক্রান্ত প্রতিটি রোগী যথাযথ চিকিৎসা পাবে এবং দ্রুতই সেরে উঠবে বলেও আমরা আশাকরি। ভয়াবহ এই করোনা বিপর্যয় আমাদেরকে আবারও মনে করি দিলো যে, আমরা একই দুনিয়ায় বাস করি এবং আমাদের পরিণতিও এক। এই ধরণের বিপর্যয় মোকাবেলায় আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকা দরকার। কারণ ভাইরাস কোনো সীমানা মানে না। জাতি-বর্ণ, ধনী-গরীব নির্বিশেষে এটি যেকোনো সময় যে কাউকেই নিজের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করতে পারে।

করোনা মহামারীর প্রকোপ কখন থামবে, সেটা নিশ্চিকভাবে বলা হয়তো অসম্ভব; কিন্তু হুয়াওয়ে পরিবার বিশ্বাস করে যে, ঐক্যবদ্ধভাবে থাকলেই এই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হুয়াওয়ে


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ