Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আজ অমবশ্যা বৃষ্টি ও বজ্রপাত হলে হালদায় মা মাছ ডিম ছাড়তে পারে

আসলাম পারভেজ | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৫:০৮ পিএম

আজ অমবশ্যা তাই এই মৌসুমের ১ম দফা এশিয়ার বিখ্যাত মৎস্যা প্রজনন ক্ষেত্র জোয়ার ভাটার নদী হালদায় মাতৃ মাছেরা ডিম দেওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। যদি তীব্র বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন, পাহাড়ী ঢল হালদা নদী দিয়ে ঢলের ¯্রােত আসলে মা মাছ ডিম ছাড়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর এই সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে হালদা পাড়ের ডিম সংগ্রহকারীরা হাদলার দিকে নজর দিয়ে হালদা পাড়ে অপেক্ষা করছে। আজ অমবশ্যা হলেও মা মাছ ডিম দেওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ না থাকলে ডিম দিতে পারবে না মা মাছ। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি ও হালকা বজ্রপাত দেখা দেওয়াতে সমান্য ঢলে হালদা নদীর পানি কিছুটা পরিবর্তন দেখা দিয়েছে। পানি পরিবর্তন দেখা দিলেও ডিম দেওয়ার পরিবেশ হয়নি। হালদার পানি সমান্য গোলা দেখা দেওয়ায় মঙ্গলবার ডিম সংগ্রহকারী ও হাটহাজারী নির্বাহী অফিসার মোঃ রুহুল আমিন হালদার পাড়ে গিয়ে কয়েকজন স্থানীয় ডিম সংগ্রহকারীদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এই সময় তিনি ডিম সংগ্রহকারীদের উদ্দেশ্য বলেন করুনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে দুরুত্ব বাজায় রেখে ডিম সংগ্রহ করার পরামর্শ দেন। ডিম সংগ্রহ করার পর হেচারীতে যেন সবাই দুরুত্ব বাজায় রেখে এবং জটলা সৃষ্টি না করে ডিম গুলো পরিচর্চা করে সে দিকে কিয়াল রাখার জন্য ডিম সংগ্রহকারীদের পরামর্শ দেন। তবে ডিম ছাড়ার আসংখ্যায় গতকাল মঙ্গলবার হালদার পাড়ে অপেক্ষায় ছিল ডিম সংগ্রহকারীরা। আজ অমবশ্যা কিন্তু এখনো পর্যন্ত বৃষ্টি-বাদল ও মেঘের গর্জন দেখা মিলেনি। প্রতি বছরের মতো এবারও মা মাছগুলো হালদা নদীতে এসেছে। মাছের পেট ভর্তি ডিম নিয়ে চৈত্র মাসের অমাবস্যা ও পূর্ণিমা এই দুটি বড় তিথি চলে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় মা মাছ ডিম ছাড়েনি। নদীতে ডিম ছাড়তে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ প্রয়োজন। বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের বেগ প্রবল হলে মা মাছগুলো উজানে এসে ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার চৈত্র মাসে সামান্য বৃষ্টি হলেও প্রবল বর্ষণ হয়নি। বর্ষণ না হওয়ায় হালদা নদীতে ঢলের বেগ না থাকায় মা মাছ চৈত্র মাসে ডিম ছাড়েনি।আজ অমবশ্যা জো রয়েছে তাই বৃষ্টি বাদল হলে ডিম চাড়তে পারে মা মাছ। ডিম সংগ্রহকারী প্রদিপবড়ুয়া জানান রাতের বেলায় বৃষ্টি হলে হইত ডিম ছাড়তে পারে। এই প্রহর গুনছে ডিম সংগ্রহকারীরা।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ