Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

করোনাকালেও সরকার দমন-নিপীড়ন অব্যাহত রেখেছে- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২২ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৫৪ পিএম

করোনার আঘাতে গোটা বিশ্ব বদলে গেলেও বাংলাদেশ সরকার বদলায়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, করোনা সঙ্কটের কারণে অর্থনীতির চরম বিপর্যস্ত অবস্থা বিরাজ করছে। খাদ্যের সংকটে চারিদিকে হাহাকার শুরু হয়েছে। পৃথিবী যেন হঠাৎ করেই বদলে গেছে। কিন্তু বদলায়নি বাংলাদেশ সরকার। তারা নিপীড়ন-নির্যাতন বিরোধীদল দমন ও সরকারের সমালোচনাকে উচ্ছেদ করতে স্বভাবসুলভ স্বৈরাচারী নীতিরই জয়জয়কার অব্যাহত রেখেছে।

বুধবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে কর্মহীন মানুষের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে এসব কথা বলেন। দাউদপুর ইউনিয়নে স্থানীয় বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে থানা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক চেয়ারম্যান শরীফ আহমেদ টুটুলের ব্যাবস্থাপনায় খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়।

এসময় রুহুল কবির রিজভী বলেন, নিরন্ন, ক্ষুধার্ত মানুষের অন্ন কেড়ে নিয়ে চাল, ডাল, তেল, আলু চলে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ঘরের ভিতরে। ক্ষমতাসীনরা যখন মানুষের চাল-ডাল-তেল চুরি করছে তখন দেশজুড়ে খাদ্যসামগ্রী নিয়ে গরিব, দুঃখি, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। কিন্তু অনাহারী মানুষকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়ার জন্য সরকার বিএনপি ও এর অংঙ্গসংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের ত্রাণ কার্যক্রমে বাধা দিচ্ছে। তাদেরকে মিথ্যা মামলা জড়িয়ে গ্রেফতার করা হচ্ছে। অথচ সরকারি দলের নেতাকর্মীদের সরকারি ত্রাণ নিয়ে তেলেসমাতির মহাধুমধাম মহাসমারোহে চলছে।

রিজভী বলেন, সাধারণ ক্ষুধার্ত মানুষ ত্রাণের দাবিতে সড়ক অবরোধ করছে, বিক্ষোভ করছে। অথচ ইসলামপুরে, সিরাজগঞ্জে, লালমনিরহাট, হাতিবান্ধা, বকশিগঞ্জ, জামালপুর, দিনাজপুরসহ দেশের নানা স্থান থেকে হাজার হাজার বস্তা চাল, আটা, ভোজ্য তেল প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে। আর এই হাজার হাজার বস্তা লুটপাটে শাসকদলের লোকেরাই জড়িত। বিনাভোটে ক্ষমতায় থাকা, নানাধরনের কালো আইন প্রণয়ন, বিরোধীদলকে নিশ্চিহ্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং সরকারের সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যাবহার করার কারনেই আত্মসাৎ, চুরি ও লুটের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। যার ফলে বাংলাদেশে করোনার পদধ্বনী শোনার পরেও কোন প্রস্তুতি গ্রহণ না করে নির্বিকার থেকেছে ক্ষমতাসীনরা।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ২২ এপ্রিল, ২০২০, ১০:২৭ পিএম says : 0
    লন্ডনের বসে তারেক মিয়া যেভাবে বিএনপির রাজনীতিকে মিথ্যার রাজনীতি হিসাবে দাড়া করিয়ে জনগণ থেকে দলকে বিচ্ছিন্ন করছে এটা এইমূহুর্তে বুঝার জ্ঞান তারেক মিয়ার হচ্ছে না এটাই বারবার তাঁর একমাত্র বিশ্বস্ত লোক রেজভী মিয়া ফুটিয়ে তুলছেন। দেশের কথা ভাবতে গেলে এটা স্বভাবত এসে যায় যে, দেশের মঙ্গলের জন্যে একটি শক্তিশালী বিরোধী দলের প্রয়োজন। কিন্তু আমাদের দেশে শক্তিশালী বিরোধী দল আজ ৫০ বছরেও দাড়াতে পারেনি। ইতিহাস দেখলে কি দেখা যায়, বাংলাদেশ ’৭১ মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হবার পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা কারি দল আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ছিল। এরপর জাসদের জন্ম হয় সন্ত্রাসের মাধ্যমে আর ’৭৫ সালে আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ গোলযোগের কারনে একপক্ষক সামরিক জান্তার সাহয্য ও সমর্থন নিয়ে ক্ষমতা দখল করে। এরপর দলের অপর শক্তির সমর্থনে খালেদ মোশাররফ ক্ষমতা নেয় কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে জাসদের সমর্থিত সামরিক জান্তারা সেনা বিপ্লব ঘটিয়ে জিয়া মিয়াকে ক্ষমতায় আনে। এরপর জিয়া মিয়া ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে দেশের পাকিস্তান সমর্থিত আমলা কমলাদের সহায়তা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সাথে আঁতাত করে দেশে ইসলামি ধর্মীয় দল জামাত, মুসলিম লীগ ও ভাসানী ন্যাপের সাহায্য নিয়ে জিয়া মিয়া তাঁর ক্ষমতা পাকাপোক্ত করে নেয়। তিনি পুরোপুরি সেনা সমর্থিত দল গড়ে তুলেন নাম দেন বিএনপি এরপর সেনাদের মধ্যে মতান্যক্যের কারনে জিয়া মিয়া ক্ষমতা চুত্য হয়ে এরশাদ মিয়া ক্ষমতায় আসে। যাইহোক কথা হচ্ছে দেশে আওয়ামী লীগের পর সেনা সমর্থিত দুইটা দলের জন্ম হয় একটা মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষদের নিয়ে বিএনপি অপরটি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কিছু আওয়ামী লীগ আবার মুসলিম লীগের তবে জামাত নয় এদের নিয়ে জন্ম নেয় জাতীয় পার্টি। এভাবে দেশে তিনটি বড় রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। এখন বিএনপি জামাতের সাথে থাকার কারনে বিলুপ্তি প্রায় অপরদিকে জাতীয় পার্টিতে মুসলিম লীগের লোকজন ছিটকে চলে যাওয়াতে আওয়ামী লীগের সমর্থকেরা এই দলকে আওয়ামী লীগের সাথে ক্ষমতা ভাগা ভাগি করে লেজুর দল হিসাবে চিহ্নত করেছে। যে কারনে দেশে এখন শক্তিশালী বিরোধী দল নেই, ফেলে আওয়ামী লীগ এখন বাংলাদেশে একছত্র ক্ষমতাসীন হয়েছে এটাই সত্য। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশে সরকারি দলের ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল দাড়া করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেন এটাই মহান আল্লাহ্‌র দরবারে আমাদের প্রার্থনা। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রিজভী

৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ