পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্টার : বেনিফিশারি ওনাস (বিও) হিসাবের সংখ্যা এখন ৩১ লাখ ১৪ হাজার। নবায়ন না করায় এক লাখ বিও অ্যাকাউন্ট বন্ধ করায় এই সংখ্যা হয়েছে পুঁজিবাজারে। শেয়ার সংরক্ষণকারী কোম্পানি সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) সূত্রে জানা গেছে, ২৫ জুনের আগে শেয়ারবাজারে মোট বিও অ্যাকাউন্টের সংখ্যা ছিল ৩২ লাখ ১৮ হাজার। সর্বশেষ ১৭ জুলাই-এর হিসাবে দেশের শেয়ারবাজারে মোট বিও হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ ১৪ হাজার। অর্থাৎ বিও হিসাব বন্ধ হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি। বিও নবায়নের জন্য শেষ সময় ছিল ৩০ জুন। তবে ব্রোকারেজ হাউসগুলো বিনিয়োগকারীদের ২৫ জুন পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল। এ সময়ের মধ্যে যেসব বিও হিসাবধারী নবায়ন করার লক্ষ্যে ফি জমা দেয়নি, ব্রোকারেজ হাউসগুলো সেসব বিও হিসাব বন্ধের জন্য তালিকা পাঠায়। বর্তমানে মোট বিও হিসাবের মধ্যে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের রয়েছে ২৯ লাখ ৫০ হাজার ৯৮০টি। প্রবাসী বাংলাদেশিদের ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৬১টি ও বিভিন্ন কোম্পানির ১০ হাজার ৭৪৪টি বিও হিসাব রয়েছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজার থেকে ভালো মুনাফা করতে না পারায় অনেকের আগ্রহ কমে যাচ্ছে। এজন্য তারা বিও হিসাব নবায়ন করছেন না। প্রবাসী ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হিসাবের মধ্যে পুরুষদের ২২ লাখ ৬০ হাজার ৬৮১টি ও মহিলাদের ৮ লাখ ৪২ হাজার ৭৬০টি বিও হিসাব রয়েছে। বর্তমানে বিও অ্যাকাউন্ট নবায়ন করতে ৫০০ টাকা লাগে। এরমধ্যে সিডিবিএল ১৫০ টাকা, হিসাব পরিচালনাকারী ব্রোকারেজ হাউস ১০০ টাকা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশন (বিএসইসি) ৫০ টাকা এবং বিএসইসির মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে ২০০ টাকা জমা হয়। আর এ খাত থেকে গত বছর সরকারকে ৮১ কোটি টাকা দিয়েছিল বিএসইসি।
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) ডিপোজিটরি (ব্যবহারিক) প্রবিধানমালা, ২০০৩-এর তফসিল-৪ অনুযায়ী, বিও হিসাব পরিচালনার জন্য ডিপোজিটরি অংশগ্রহণকারী বা বিনিয়োগকারীকে নির্ধারিত হারে বার্ষিক হিসাবরক্ষণ ফি দিয়ে হিসাব নবায়ন করতে হয়। সিডিবিএল অনুযায়ী, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ১৫ লাখ ৯১ হাজার ৫১৮টি সক্রিয় বিও ছিল। এগুলোতে শেয়ার আছে এবং এগুলো থেকে নিয়মিত লেনদেন হয়। এছাড়া ১১ লাখ ২৫ হাজার ২৩৩টি বিওতে কখনো কখনো শেয়ার থাকলেও গত বছরের জানুয়ারি থেকে তা শূন্য হয়ে যায়। ৪ লাখ ৮৪ হাজার ১০১টি বিও অ্যাকাউন্টে কখনই শেয়ার ছিল না। এসব বিও অ্যাকাউন্ট সাধারণত আইপিওর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।