Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডাক্তার না কসাই সিলেটের এ নারী ডাক্তার !

সিলেট ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৩২ পিএম

অসময়ে ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী নচিকেতার ‘ও ডাক্তার’ গানের বাস্তবতা দেখা মিলেছে পেশাগত চরিত্রে সিলেটে এক নারী ডাক্তারের। অথচ বৈশি^ক করোনা পরিস্থিতিতে মানবিক এক পরিবেশ সর্বত্র। বলতে গেলে বাঘে মহিষে এক ঘাটে জল পানেও এখন আপত্তি নেই কারো । তারপরও স্বাভাবিক পরিবেশ প্রতিবেশের আকুতি। ভয়াল পরিস্থিতিতেও রীতিমতো অস্বাভাবিক ভিজিট নেয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে সিলেট জালালাবাদ রাগীব-রাবেয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপিকা এবং প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাদিরা বেগমের। এক দুই টাকা নয়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরামর্শ দিয়ে ৮০০ টাকা ফি নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এই মহিলা চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সরাসরি চেকআপ না করে এমনভাবে ফোনের মাধ্যমে রোগীকে পরামর্শ দেয়া যুক্তিযুক্ত নয় এবং সঠিক পদ্ধতির আওতায় পড়ে না- এমনটা বক্তব্য বিশেষজ্ঞদের।
জানা গেছে, ডাক্তার নাদিরা বেগমের কাছে নিয়মিত চেকআপ ও স্বাস্থ্য পরামর্শ নেন শহরতলীর মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা খালেদ শাহের স্ত্রী। গতকাল (২০ এপ্রিল- সোমবার) স্বাস্থ্য পরামর্শের প্রয়োজনে ডাক্তার নাদিরা বেগমের ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল করেন খালেদ। খালেদ শাহ জানান, ‘আমার স্ত্রীর গাইনি রিলেটেড প্রবলেমের জন্য গতকাল (সোমবার) প্রফেসর নাদিরা বেগম ম্যাডামকে ফোন দেই। তিনি আমাকে বলেন- করোনার কারণে চেম্বারে রোগী দেখছেন না তিনি। সিরিয়েলের যে নাম্বার আছে তাতে ফোন দিতে বলেন আমাকে। আমি সে নাম্বারে কল দিলে আমাকে একটা বিকাশ নাম্বারে ৮২০/- টাকা বিকাশ করতে বলা হয়। আমাকে আরও বলা হয়- টাকা না দিলে ম্যাডাম পরামর্শ দিবেন না।’ খালেদ শাহ আরো বলেন, ‘নাদিরা ম্যাডামকে ইতিপূর্বে ওয়েসিস হাসপাতালে যতবার আমার স্ত্রীকে দেখিয়েছি, ফি বাবদ ৭০০টাকা রাখতেন তিনি। অথচ বর্তমান করোনার কঠিন সময়ে তিনি ফি-তো বাড়িয়েছেনই, শুধুমাত্র ফোনে পরামর্শ দেয়ার কারণে নিতে চাচ্ছেন ৮০০ টাকা। নাদিরা ম্যাডামের এমন অমানবিক আচরণ আমাকে মর্মাহত করেছে এবং আমি আর পরবর্তীতে টাকা বিকাশ করিনি, তার পরামর্শও নেইনি।’
খালেদ শাহর অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে সংবাদকর্মীরা প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নাদিরা বেগমের মোবাইল ফোনে কল দিলে ৮২০ টাকার বিনিময়ে মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেয়ার কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, যথেষ্ট সময় নিয়ে রোগীর সঙ্গে কথা এবং প্রয়োজনে ভিডিও কলে পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেই তাদের। করোনা পরিস্থিতিতে রোগী সমাগম করা যাবে না তাই আমি এমনটি করছি এবং এটি আমার কাছে সঠিকই মনে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছেন- এটি মোটেও ঠিক নয়। এরকম হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এবিষয়ে সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, এটি মোটেও সঠিক পদ্ধতি নয়। আর এই সময়ে এই পরিমাণে ফি নেয়াটাও মানবিক নয়।



 

Show all comments
  • Md Imon Ahmed ২২ এপ্রিল, ২০২১, ২:৫৫ পিএম says : 0
    সত্যি খুবই অমানবিক একজন ডাক্তার,, ডাক্তার নাকি কসাই আমিও আমার স্ত্রীকে একবার উনাকে দেখিয়েছিলাম ভিজিট নিয়েছেন ১০০০/- আর কোনকিছু ভালো করে পর্যবেক্ষণ করার আগে একগাদা টেস্ট এর লিস্ট ধরিয়ে দেন যার মূল্য ছিল ৪৫০০/- টাকার মতো। পরবর্তীতে আমি আর এই ডাকাত নামের ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়নি। ডাক্তার নামের পবিত্র পেশার এরা কলংক।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ