বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দক্ষিণাঞ্চলে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল জমা না নেয়ায় ৬টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সহ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী-ওজোপাডিকো’র অন্তত ১০টি বিতরন বিভাগের অর্থনৈতিক ভীত দূর্বল হতে শুরু করেছে। করেনা ভাইরাসের কারনে গত ২৫ মার্চের পর থেকে সারাদেশের মত দক্ষিণাঞ্চলেও সরকারী ছুটি চলছে। ইতোমধ্যে বরিশাল ও পটুয়াখালী জেলাকে লকডাউন করা হয়েছে। বরিশাল বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা প্রায় ৬৫। সর্বত্রই আতংক আর উদ্বেগের মধ্যে বানিজ্যিক ব্যাংকগুলো সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সিমিত আকারে খোলা থাকলেও বিদ্যুৎ সহ কোন ইউটিলিটি বিল গ্রহন করছে না।
যদিও বিভিন্ন মোবাইল এ্যাপসসহ অন লাইন লেনদেনে বিদ্যুৎ বিল দেয়ার সুবিধা চালু রয়েছে বলে জানান হচ্ছে, কিন্তু মোবাইল বা বিকাশ সহ ঐসব লেনদেনের জন্য যে রিচার্জ করতে হবে তাও সম্ভব হচ্ছেনা ভেন্ডরদের দোকান খোলা না থাকায়।
বিদ্যুৎ বিতরন ও বিপনন সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রগুলেরা জানিয়েছে, যখনই ব্যাংকগুলো বিল জমা নেবে, তখনই গ্রাহকগন কোন ধরনের বিলম্ব মাসুল ছাড়া তা জমা দিতে পারবেন। তবে এ বিলম্ব যদি দীর্ঘায়িত হয়, তবে ওজোপাডিকো এবং পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর অর্থনৈতিক অবস্থা নাজুক হয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্টগন। কারন পিডিবি’র কাছ থেকে বিদ্যুৎ কিনে তা বিতরন ও বিপনন কর হয় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং ওজোপাডিকো’কে। তাদেরকে টাকা দিতে হবে। উপরন্তু কর্মকর্তাÑকর্মচারীদের বেতন-ভাতা সহ প্রশাসনিক ব্যায় ছাড়াও অনেক সময়ই জরুরী রক্ষনাবেক্ষন ব্যায়ও স্থানীভাবে মেটাতে হয়।
কিন্তু বরিশালের দুটি সমিতি ছাড়াও পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর ও ঝালকাঠী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ বিল জমা হচ্ছে না । এসব গ্রাহকের কাছ বিক্রীত বিদ্যুৎ থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে সমিতিগুলো মাসে প্রায় ৬০ কোটি টাকা বিল সংগ্রহ করার কথা। কিন্তুভীড় এড়ানোর লক্ষেই ব্যাংকগুলো কোন ইউটিলিটি বিল গ্রহন করছে না বলে একাধীক মহলের অভিযোগ। তবে একাধীক ব্যাংক কর্মকর্তা জািনয়েছেন, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের কোন নির্দেশনা নেই।
অপরদিকে ওজোপাডিকো দক্ষিণাঞ্চলে ৬টি জেলা সদর এবং ৪টি উপজেলা সদর সহ ১০টি বিতরন বিভাগের মাধ্যমে তার প্রায় পৌনে ৩ লাখ গ্রাহকের কাছ থেকে গত ২৫ মার্চের পরে কোন বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতে পারেনি। বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা ও ঝালকাঠী জেলা সদর ছাড়াও নলছিটি, বোরহানউদ্দিন, চরফ্যাশন ও মনপুরা উপজেলা সদর এলাকায় বিক্রীত বিদ্যুৎ থেকে ওজোপাডিকো মাসে প্রায় ১৫ কোটি টাকা বিল পাবার কথা।
পুরো বিষয়টি এখন সম্পূর্ণভাবে সরকারী সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভরশীল বলে মনে করছেন বিভিন্ন বানিজ্যক ব্যাংক এবং বিদ্যুৎ বিতরন ও বিপনন প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তাগন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।