Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

গোদাগাড়ীতে ওএমএস চাল ডিলারদের কোন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি সহ্য করা হবেনা-উপজেলা চেয়ারম্যান

মোঃ হায়দার আলী, গোদাগাড়ী রাজশাহী | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ৭:০৫ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় সরকারি চাল কেলেঙ্গারি ঘটনার পর উপজেলার সকল চাল ডিলারদের দুর্নীতি রোধে কঠোর হুশিয়ারি দিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ।

রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক শিল্প প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরীর নির্দেশনায় সোমবার বেলা ১১ টায় উপজেলা মিলনায়তনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে এক জরুরী সভা বসে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

এই সভায় গোদাগাড়ী উপজেলার ৯ টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ও ১০ টাকা কেজি ওএমএস চালের ২৮ জন ডিলার উপস্থিত ছিলেন।

শুরুতেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, করোন সংক্রমনে বিশ্ব আজ মহামারিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশও ক্লান্তিলগ্ন সময় পার করছে। সারা দেশের বিভিন্ন জায়গাতেও আপনার মিডিয়ার মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছেন ত্রাণের চাল চুরি করে ধরা পড়ছে ও শাস্তি হচ্ছে। গোদাগাড়ীতেও এমন ঘটনা ঘটলো তা দুঃখ জনক। এমন বদনাম নিয়ে আমাদের পরিচয় বহন করা খুব লজ্জার। তাই বলি যা ঘটনা ঘটছে তা থেকে শিক্ষা নিয়ে আপনারা যারা চাল ডিলার আছেন তারা সততার সাথে চাল বিক্রয় করবেন। কোন দুর্নীতি সহ্য করা হবে না ।

চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর কঠোর হুশিয়ারি বার্তা দিয়ে বলেন ,যদি কোন ডিলার মনে করেন তাদের ডিলারগিরি করে ব্যবসায় লাভ হচ্ছে না তাহলে ছেড়ে দেন। আমাদের কাছে তথ্য আছে ডিলাররা নিজেদের ভাই, ভতিজা, নানা,চাচা ,খালুর নামে কার্ড তৈরী করে নিজেরাই চাল তুলে খান তাই সেগুলো নিজেরা সংশোধন করে নেয় নইলে কোন ছাড় হবে না। ইউএনও তাদের বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। পাকড়ী আওয়ামীলীগের সভাপতি চাল নিয়ে ধার পড়েছে আমরা কেউ তার জন্য সুপারিশ করিনি। এই সময় আপন আপন বাঁচতে হবে কেউ কারো না। এছাড়াও এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর এটাও বলে দিয়েছেন যে, কেউ যদি ১ কেজির চালেরও অনিয়ম করে তাকেও ছাড় নেই। আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। প্রধান মন্ত্রী দরিদ্রদের জন্য সহায্য করছে আর তা কেউ মেরে খাবে তা হতে দেওয়া হবে না।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল ইসলাম সরকার বলেন, আমি গোদাগাড়ীতে রাজনীতি করতে আসিনি। সরকারের দায়িত্ব প্রাপ্ত হয়ে দাপ্তরিক কাজ করতে এসেছি। আমি আমার দায়িত্ব পালনে চুল পরিমান পিছু পা হবো না।

এই সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোদাগাড়ী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোঃ জামাল উদ্দিন, উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম সরকার, গোদাগাড়ী প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক এম. আব্দুল বাতেন, গোদাগাড়ী ইউনিয় পরিষদের চেয়ারম্যান রুহুল আমিন, মাটিকাটা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোঃ নয়ন আলী, চর আষাড়িয়াদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সানাউল্লাহ প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ