বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও ফেনসিডিল পাচারে পিছিয়ে নেই সমাজের উঁচু তলার মানুষও। শিক্ষক, আইনজীবি, ডাক্তার,ব্যাংক কর্মকর্তা, ও বড় ব্যবসায়িরাও নেমে পড়েছে লাভজনক এই মাদক ব্যবসায়।
বেনাপোল থেকে এক বোতল ফেনসিডিল বরিশালে নিতে পারলেই নীট মুনাফা ৫ 'শ টাকা। আর তাই তো ফেনসিডিল নিতে সুদুর বরিশাল থেকে বেনাপোলে মটর সাইকেল হাকিয়ে ছুটে এসেছে সমাজের মানুষ গড়ার কারিকর এক স্কুল শিক্ষক। ধাওয়া খেয়ে ৫ জন পালিয়ে গেলেও বিজিবি'র চোখ ফাঁকি দিতে পারেনি বরিশাল শহরের নামিদামি সরকারী স্কুলের এক শিক্ষক।
যশোর ৪৯ বিজিবি'র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল সেলিম রেজা জানান, বিজিবির নিজস্ব গোয়েন্দা সূত্রে খবর পেয়ে আজ সোমবার দুপুরে সীমান্তবর্তী পুটখালি সড়ক দিয়ে বেনাপোল বাজারে হয়ে বরিশাল যাওয়ার পথে শিকড়ি বটতলা নামক স্থানে টহল বিজিবি সন্দেহভাজন এক মটর সাইকেল আরোহী কে থামিয়ে তার ঘাড়ে ঝুলানো স্কুল ব্যাগ তল্লাশি করে ৮০ বোতল ফেনসিডিল দেখতে পায়। আটক ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম সুমন,পিতার নাম মকবুল আহমেদ । তিনি বরিশাল গভঃ মডেল স্কুল এবং কলেজের সহকারি শিক্ষক।
আটক নজরুল ইসলাম সুমন সাংকাদিকদের বলেন, তারা ৬ জন বরিশাল থেকে মটর সাইকেল যোগে বেনাপোলে ফেনসিডিল নিতে এসেছিল। ইতিপূর্বে অনেকবার তারা ফেনসিডিল নিয়ে গেছে একইভাবে। গোটা বরিশাল শহরের মাদকের নিয়ন্ত্রন তাদের হাতে।
সুমন জানায়, তাদের সাথে ছিল বরিশালের সদর হাসপাতালের ডাক্তার মিঠু, উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা ডোনা, বিশিস্ট ব্যবসায়ি বুলেট এবং মনির। তারা বিজিবি'র চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে গেছে। আটক ব্যাক্তি কে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।