Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মে’র প্রথম সপ্তাহে ভারতে সংক্রমণ শীর্ষে পৌঁছাবে

দ্য উইক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫২ পিএম

মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ভারতে করোনা সংক্রমণ সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছতে পারে। তারপরেই ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ কমবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতে করোনা সংক্রমণের হার আগের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৩২৯ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট ১৫,৭০৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৫০৭। এই আতঙ্কজনক পরিস্থিতির মধ্যেই উদ্বেগজনক এই খবর জানা গেল। মূল্যায়নের কাজের সঙ্গে যুক্ত এক কর্মকর্তা একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, পরের এক সপ্তাহ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে। দেশে করোনার পরীক্ষা ব্যাপকহারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। যাদের জ্বর, সর্দি-কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সমস্যা রয়েছে, তাদের প্রত্যেকের পরীক্ষা করা হবে। এ ছাড়া সারাদেশে বাড়িতে বা হাসপাতালে কোয়ারেন্টিনে থাকা প্রায় সবার পরীক্ষা করা হবে। প্রায় প্রত্যেকের কোভিড-১৯ টেস্ট হবে হটস্পটগুলিতে। স্বাভাবিকভাবেই টেস্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আক্রান্তের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে।

তবে এই অবস্থায় করোনা মোকাবিলায় একমাত্র ভরসা লকডাউন। এই সময়ে লকডাউনে যাবতীয় নিয়ম মেনে চললে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। করোনা সংক্রমণ নিয়ে ভারত সরকার দেশজুড়ে একটি অভ্যন্তরীণ মূল্যায়ন শুরু করেছে। যে সমস্ত রাজ্য আগেই লকডাউন ঘোষণা করেছিল, সেখানে সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই তালিকায় উঠে এসেছে তিনটি রাজ্যের নাম- রাজস্থান, পাঞ্জাব ও বিহার। অন্যদিকে, দেরিতে লকডাউন ঘোষণা করে বিপাকে পড়েছে মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মতো রাজ্যগুলি। শুধু মহারাষ্ট্রেই মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ২০৫। মৃত ১৯৪ জন। যার মধ্যে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি ধারাভিতে সংক্রমিত হয়েছেন ১০১ জন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ক্লাস্টারগুলির চেয়েও বিচ্ছিন্ন সংক্রমণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। কেননা, বিচ্ছিন্ন সংক্রমণ আটকানো খুব কঠিন। তবে লকডাউনের ফলে করোনা সংক্রমণের ক্ষেত্রে অনেকটাই রাশ টানা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। যুগ্মসচিব লব আগরওয়াল বলেছেন, লকডাউনের আগে আক্রান্তের সংখ্যা তিনদিনে দ্বিগুন হচ্ছিল। কিন্তু গত এক সপ্তাহের হিসেবে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুন হতে সময় লেগেছে ৬.২ দিন। দেশের ১৯ রাজ্য ও কেন্দ্রাশাসিত অঞ্চলে আক্রান্তের গড় দেশের হিসেবের তুলনায় কম।

ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের (আইসিএমআর) এক সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, ভারতে প্রতি ২৪ জনের মধ্যে মাত্র একজনের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। সেখানে ইতালিতে প্রতি ৬.৭ জনে একজন, আমেরিকায় প্রতি ৫.৩ জনে একজন ও ব্রিটেনে প্রতি ৩.৪ জনে একজন আক্রান্ত হয়েছেন। অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারত ভালো জায়গায় থাকলেও করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে যে কোনওমতেই রাশ আলগা করা হবে না, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত দেশে ৩ লক্ষ ১৯ হাজার ৪০০টি পরীক্ষা হয়েছে। সংক্রমিতদের জন্য ১ হাজার ৯১৯টি বিশেষ হাসপাতালে ১ লাখ ৭৩ হাজার আইসোলেশন বেড ও ২১ হাজার ৮০০টি আইসিইউ বেড রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সারাদেশে এখন ৩৬ হাজারেরও বেশি মানুষ কোয়ারেন্টিন কেন্দ্রে বা বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের প্রায় প্রত্যেকের কোভিড-১৯ টেস্ট করা হবে।

 

 

 

 



 

Show all comments
  • Jewel Jewel ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না। [ সুরা নিসা :৭৮
    Total Reply(0) Reply
  • Jewel Jewel ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৪ এএম says : 0
    তোমরা যেখানেই থাক না কেন; মৃত্যু কিন্তু তোমাদেরকে পাকড়াও করবেই। যদি তোমরা সুদৃঢ় দূর্গের ভেতরেও অবস্থান কর, তবুও। বস্তুতঃ তাদের কোন কল্যাণ সাধিত হলে তারা বলে যে, এটা সাধিত হয়েছে আল্লাহর পক্ষ থেকে। আর যদি তাদের কোন অকল্যাণ হয়, তবে বলে, এটা হয়েছে তোমার পক্ষ থেকে, বলে দাও, এসবই আল্লাহর পক্ষ থেকে। পক্ষান্তরে তাদের পরিণতি কি হবে, যারা কখনও কোন কথা বুঝতে চেষ্টা করে না। [ সুরা নিসা :৭৮
    Total Reply(0) Reply
  • Mahfuzar Rahman Mahfuz ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    চিকিৎসা,সচেতনতার পাশাপাশি যার যেভাবে সৃষ্টকর্তাকে বিশ্বাস সেভাবেই তার কাছে সহায়তা চাওয়া উচিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Helal ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৫ এএম says : 0
    ভারতের জন্য বাংলাদেশ কোন আপসোস করে লাভ নেই, এরা মুসলিমের পরম শত্রু,
    Total Reply(0) Reply
  • Rubel Hasan ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:২৯ এএম says : 0
    হিন্দুদের বড় জমায়েত হলে সেখানে করোনা ভাইরাস যায় না ।কারণ ভারতের সরকার প্রধান এখন নরেন্দ্র মোদি,তিনি হয়তো করোনা ভাইরাস এর চেয়ে বেশী শক্তিশালী ।যত দোষ শুধু তাবলিগ জামায়াতের অর্থাৎ মুসলিমদের ।
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mintu ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    আমরা মানুষ হিসেবে বলতে চাই যাতে সকলে আমরা জাতি ধর্মের উর্ধ্বে উঠে একসাথে এই মহামারী মোকাবিলা করতে পারি.. ভাই ঝগড়াঝাটি করতে পারবো অনেক.. তবে এখন আমাদেরকে একসাথে কাজ করার সময় এসেছে... হয়তো উপরওয়ালা চাইছেন যে আমরা যাতে মিলেমিশে থাকি একে অপরকে দোষারোপ না করি বা কাউকে ধর্ম বর্নের কথা না বলে একসাথে এই করোনার মোকাবিলা করি...
    Total Reply(0) Reply
  • MD Mintu ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
    আমরা মানুষ হিসেবে বলতে চাই যাতে সকলে আমরা জাতি ধর্মের উর্ধ্বে উঠে একসাথে এই মহামারী মোকাবিলা করতে পারি.. ভাই ঝগড়াঝাটি করতে পারবো অনেক.. তবে এখন আমাদেরকে একসাথে কাজ করার সময় এসেছে... হয়তো উপরওয়ালা চাইছেন যে আমরা যাতে মিলেমিশে থাকি একে অপরকে দোষারোপ না করি বা কাউকে ধর্ম বর্নের কথা না বলে একসাথে এই করোনার মোকাবিলা করি...
    Total Reply(0) Reply
  • জোহেব শাহরিয়ার ২০ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৩ এএম says : 0
    আলহামদুলিল্লাহ,এভাবেই ইসলামের শত্রু ও বাংলাদেশের শত্রু ভারত ধ্বংস হোক। আল্লাহ এদের উপর চুড়ান্ত গজব নাজিল করুন। আমিন।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ