পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রাম বন্দরে জট হ্রাসের উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আমদানি কন্টেইনারের চাপ ও জট আংশিক সামাল দেয়া যাবে। বেসরকারি আইসিডিতে (অফডক) আরও ৬ ধরনের পণ্য খালাসের অনুমতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে বন্দরজট সমস্যা-সঙ্কটের মূলে সমাধানে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। জটগ্রস্ত রেকর্ড পরিমাণ নিত্য ও খাদ্যপণ্য, শিল্পের কাঁচামাল প্রভৃতি সরবরাহ কবে কীভাবে নিশ্চিত হবে? বিশেষত রোজা উপলক্ষে আমদানি খাদ্যসামগ্রী দেরিতে হলেও খালাস, ডেলিভারি, পরিবহনের মাধ্যমে সারাদেশে সাপ্লাই চেইন সচল রাখা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর সাথে ভোক্তা জনস্বার্থ জড়িত।
এরজন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের আহŸানসহ ৬ দফা প্রস্তাবনা সহকারে চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অর্থাৎ বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ী মহল সরকারের কাছে গত ১৭ এপ্রিল এক জরুরি পত্র পাঠায়। বন্দর-শিপিং, কাস্টমস সংশ্লিষ্ট ও বন্দর ব্যবহারকারী সব মিলিয়ে ২০ থেকে ২৫টি সরকারি, বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা-বিভাগ, ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তাদের সংগঠন চট্টগ্রাম বন্দর কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত। সরকারি তদারকিতে তাদের সমন্বয়ে এই টাস্কফোর্স গঠনের প্রস্তাব এসেছে।
করোনা সংক্রমণরোধে টানা ছুটি-বন্ধের সঙ্গেই চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, আঞ্চলিক মহাসড়ক ও আন্তঃজেলা সড়কপথ, নৌপথে পণ্যসামগ্রী পরিবহন ব্যবস্থাও সম্পূর্ণ বন্ধ। এ ক্ষেত্রে টাস্কফোর্সের তদারকিতে প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সেনাবাহিনীর সহায়তায় বিশেষ ব্যবস্থায় রমজানের নিত্যপণ্য সারাদেশে পরিবহন, সরবরাহ ও বাজারজাত সম্ভব হবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার ও জাহাজজট হ্রাসে এখন থেকে আরো ৬ ধরনের পণ্যভর্তি কন্টেইনার বেসরকারি আইসিডিতে (অফডক) রাখার অনুমোদন মিলেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) শনিবার তা চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়।
বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, কন্টেইনার জট নিরসনে আইসিডিগুলোতে (অফডক) আগের অনুমোদিত ৩৮ পণ্যের সাথে আরো ৬টি পণ্য সাময়িকভাবে সংরক্ষণের অনুমতি মিলেছে। ফলে অফডকে পণ্য রাখার সংখ্যা ৪৪-এ উন্নীত হলো। এনবিআর-এর আদেশ ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
তবে বন্দর ব্যবহারকারীদের মতে, অব্যাহত তীব্র জট কমাতে এটি ‘মন্দের ভাল সিদ্ধান্ত’। বন্দরজটে টেকসই সমাধান নয়। উক্ত ৬ ধরনের আমদানি পণ্যের কন্টেইনার খুব বেশি আসে না। অফডকগুলোতে সাড়ে ১৮ হাজারের বেশি কন্টেইনার রাখার সুযোগ আছে। ৬টি পণ্য নির্দিষ্ট করে দেয়ায় জট সমস্যা ব্যাপক কমবে না।
চট্টগ্রামের ১৯টি এবং এর বাইরে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুরে সামিট এলায়েন্সের আইসিডিতে পণ্যগুলো রাখা যাবে। কমলাপুর ডিপোগামী সবধরনের কন্টেইনার নৌপথে সামিটের নৌ টার্মিনালে নেয়া যাবে।
চট্টগ্রাম বন্দরে সবকটি ইয়ার্ডে কন্টেইনার মজুত আছে ৪৮ হাজার ৭৫০ টিইইউএস। ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার ১৮ কন্টেইনার। জেটিতে আমদানি পণ্যভর্তি ১১টি জাহাজের কন্টেইনার খালাস কাজ চলছে। জেটিতে ভিড়তে বহির্নোঙরে জটে দাঁড়িয়ে আছে আরও ৩৬টি জাহাজ। আগমনের সিডিউলে রয়েছে সপ্তাহজুড়ে জাহাজের সারি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।